Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed

নতুন চুল গজানোর সহজ উপায় | Notun Chul Gojanor Sohoj Upay

নতুন চুল গজানোর সহজ উপায়

 Notun Chul Gojanor Sohoj Upay
মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায়

প্রথম পদ্ধতি

প্রথম পদ্ধতি হলো ম্যাসাজ করা। নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং স্ক্যাল্প উদ্দীপিত হবে। এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করতে থাকুন। ভিটামিন ই চুলের জন্য প্রয়োজনীয় নিউট্রিশন এর যোগান দেয়। ভিটামিন ই এর সাথে চা এর নির্যাস যোগ করতে পারেন। এই দুটো ভালো ভাবে মিশিয়ে হাতের তালু এবং আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। চুলগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে সম্পূর্ণ চুল আঁচড়ে নিন।
কিছুক্ষণ পর সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল গজানোর জন্য দিনে ৩ বার ম্যাসাজ করতে হবে এই নিয়মে। কিন্তু বারবার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি

চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন।
ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে।

তৃতীয় পদ্ধতি

এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যেটা আপনার স্ক্যাল্পের মৃত কোষগুলো ঝরে যেতে সাহায্য করবে। এই মৃত কোষগুলো স্ক্যাল্পের ফলিকল ব্লক করে রাখে, যে কারণে নতুন চুল গজাতে পারে না। কেননা তখন স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু নিয়ে মাথায় ম্যাসাজ়ের মত করে লাগিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এটা দিনে একবার করতে হবে।

চতুর্থ পদ্ধতি

এই পদ্ধতি হল মেডিকেশন। চুলের জন্য ওষুধ। অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর দুইটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২% আর ৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। এটা বাজারে জেনোগ্রো নামে পাওয়া যায়। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়।
এই পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে খাদ্যাভ্যাস আর কিছু সাধারণ যত্ন নিতে হবে।

খাদ্যাভ্যাস

০১. ভিটামিন সি
পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক।
০২. কালোজিরা
কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।
০৩. আয়রন আর জিঙ্ক
আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান।
০৪. প্রোটিন
পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।

কিছু সাধারণ যত্ন

০১. নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং আঁচড়ানো। কিন্তু অতিরিক্ত আঁচড়ানো চুল পড়া বাড়িয়ে দেয়।
০২. মেহেদি পাতা কিছু দিন ঘন ঘন ব্যবহার করুন। পাতা বেটে লাগিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
০৩. খাটি কালো জিরা তেল বা নির্যাস বেশি বেশি ব্যবহার করতে পারেন।
কথায় বলে যতনে রতন মেলে। নিয়মিত যত্ন নিন, পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন। দেখবেন আপনার মাথায় নতুন চুল গজাতে শুরু করেছে।
০৪. পেঁয়াজ এর রস চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন | নিয়মিত ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবে।
০৫. শুকনা আমলকি পানিতে ভিজিয়ে লাগাতে পারেন।

শিশুর জন্মের পর চুলপড়া প্রতিরোধে করণীয় | Shisur Jonmer Por Chul pora Protirodhe koroniyo

শিশুর জন্মের পর চুলপড়া প্রতিরোধে করণীয়

 Shisur Jonmer Por Chul pora Protirodhe koroniyo

নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান কোনটিতে বেশি চুল পড়ে

নরমাল ডেলিভারি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তাই হরমোনের মাত্রা কমে স্বাভাবিকভাবে আর সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনের পর হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায়। তাই সিজারের পর চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি।
মায়ের ঘুম না হলেও চুল পড়ে। শিশুকে খাওয়ানোর জন্য রাতে বার বার মাকে উঠতে হয়, সারা দিন মাকে হিমশিম খেতে হয় শিশু সামলাতে, নিজের দিকে খেয়ালই রাখা যায় না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ পরিবারেরই সদ্যপ্রসব করা নারীর তেমন খাওয়া-দাওয়াও হয় না। ফলে ঘুম হয় না। তখন চুল পড়ে।
এ চুল গজানোর জন্য ক্ষেত্রবিশেষে চিকিৎসক মাথায় স্টেরয়েড ড্রপ ম্যাসাজ করতে বলেন। তাতে খানিকটা কাজ হয়। তা ছাড়া মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজের জন্য রক্তসঞ্চালন বাড়ে, তাতে চুল গজায়।
সন্তান হওয়ার সাধারণত দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত চুল পড়ে। তবে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও যত্ন পেলে এই চুল আবার স্বাভাবিকভাবে গজিয়ে যায়।

যত্নআত্তি

সন্তান গর্ভে থাকাকালীন এই যত্ন শুরু হওয়া দরকার। গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ খাওয়ানো—এই দুই অবস্থাতেই মেয়েদের স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় ক্যালরির ওপরে আরো ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি অতিরিক্ত প্রয়োজন হয়। তাই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট—সবই ঠিকমতো খেতে হবে। একবারে না পারলে বার বার অল্প অল্প করে খাওয়া দরকার। ফল ও দুধ খেতে হবে পর্যাপ্ত। আমাদের দেশে সন্তান হওয়ার পর দুধ, সাগু খাওয়ার যে প্রথা প্রচলিত আছে তা ক্যালোরির জোগান দেয়।

খুব বেশি তেল-মশলা দেওয়া খাবার এবং অতিরিক্ত ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো।

রক্তস্বল্পতা একটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ মায়ের হিমোগ্লোবিন ১০ গ্রাম শতাংশের নিচে। এর চিকিৎসা অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী করতে হবে। চিকিৎসা মানে ইচ্ছেমতো আয়রন বড়ি বা ক্যাপসুল খাওয়া নয়। কোন ওষুধ কার ক্ষেত্রে কার্যকর তা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন। এ ছাড়া দেওয়া হয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
দুপুরের দিকে শিশুকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে যদি বাড়ির অন্য কোনো আত্মীয় বা পরিচারিকার কাছে রেখে মা নিজে অন্তত দু-তিন ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন, তাহলে খুব ভালো হয়। দরকার হলে এ সময় শিশুকে খাওয়ানোর জন্য বুকের দুধ বের করে সঞ্চয় করে রেখে দেওয়া যেতে পারে।
সপ্তাহে দুদিন নন-মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ঘষে ফেলুন। রাতে শোয়ার আগে মাথায় লাইট হেয়ার অয়েল তুলোয় ভিজিয়ে নিয়ে ম্যাসাজ করুন অন্তত পাঁচ মিনিট।
সন্তান জন্মদানের পর মায়ের শরীর-স্বাস্থ্যের সঙ্গে চুল ও ত্বকের পূর্ণাঙ্গ পরিচর্যা খুবই দরকার। অনেক সময় সন্তান জন্মদানের পর মা তার স্বাভাবিক জৌলুস হারিয়ে ফেলেন। চুলের প্রকৃত যত্ন না নেওয়ার ফলে মায়ের মাথায় টাক পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। তাই চুল পড়াকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ও চিকিৎসা নিন।

ত্বকের ও চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার | Tok O Chuler Jotne Dimer Bebohar

ত্বকের ও চুলের যত্নে ডিমের ব্যবহার

 Tok O Chuler Jotne Dimer Bebohar

ত্বকের যত্ন ঃ

ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিন। এতে আধা চা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ গলা ও হাতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত ও মসৃণ।
ডিমের সাদা অংশ আপনার লুকিয়ে থাকা ময়লাও দূর করে থাকে। ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া ও ২ চা চামচ দানাদার চিনি মেশান। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে শরীরে লুকিয়ে থাকা ধুলো-ময়লা দূর তো হবেই, সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।

একটি ডিমের শুধু সাদা অংশ নিন। এর সাথে মোটা দানার বাদামি চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি গলে যাওয়ার আগেই এটা দিয়ে মুখের যেখানে যেখানে ব্লাক-হেডস আছে সেখানে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মুখ ধোয়ার পর হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

চুলের যত্ন ঃ

চুল কোমল ও ঝলমলে করতে ডিমের তুলনা নেই। একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফাটিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। যাদের চুল বেশি তৈলাক্ত তারা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যখনই মাথায় মেহেদি লাগাবেন তার আগে মেহেদির সাথে একটি ডিম দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। যদি আপনার ডিমের গন্ধ নিয়ে সমস্যা হয় তাহলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশটা ব্যবহার করতে পারেন।

শ্যাম্পুর পর সুন্দর চুল পেতে করণীয় | Shampoor por Sundor Chul Pete Koroniyo

শ্যাম্পুর পর সুন্দর চুল পেতে করণীয়

 Shampoor por Sundor Chul Pete Koroniyo

চায়ের লিকার থেরাপি –
ঝলমলে চুলের জন্য দারুণ কাজ করে চায়ের লিকার। চুল যেমনি হোক না কেন তৈলাক্ত, শুষ্ক বা স্বাভাবিক- এই চায়ের লিকার মানিয়ে যাবে খুব সহজে।

এটা তৈরির জন্য দুই কাপ পানি নিন। তার মাঝে ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ চা পাতা দিন। এটাকে এখন অল্প আঁচে চুলায় ফুটতে দিন। ফুটে ফুটে লিকার ঘন হবে। এবং দুই কাপ পানি কমে এক কাপের কম হলে বুঝবেন যে রেডি।

এখন এটাকে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে এই মিশ্রণ মাখুন। ৫ মিনিট পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগারে চুলের চমক –
শ্যাম্পু করে ফেলছেন এবার ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। আধা কাপ ভিনেগার এক মগ পানিতে মিশিয়ে নিন। তারপর সেটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু করা চুল। ৫ মিনিট পর আবার একটু স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকিয়ে নিলেই পাবেন ঝলমলে চুল।

বেকিং সোডায় উজ্জ্বল চুল –
নিস্প্রান চুলকে ঝলমলে করে তুলতে বেকিং সোডার কোন বিকল্প নেই। এ কাপ হালকা গরম পানির মাঝে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করা ভেজা চুলে এই মিশ্রণ লাগান। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এবার চুলের চমক দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

মাত্র ৫ টি খাবার পারে চুল পড়া নিয়ন্ত্রন করতে | Matro 5 Ti Khabar Pare Chul Pora Niyontron Korte

মাত্র ৫ টি খাবার পারে চুল পড়া নিয়ন্ত্রন করতে

 Matro 5 Ti Khabar Pare Chul Pora Niyontron Korte
মাত্র ৫ টি খাবার পারে চুল পড়া নিয়ন্ত্রন করতে | Matro 5 Ti Khabar Pare Chul Pora Niyontron Korte 1

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫ টি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৩. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৪. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

৫.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।

মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

সুন্দর চুল পেতে মুলতানি মাটির ৪ হেয়ার প্যাক | Sundor Chul Pete Multani Matir 4 Ti Hair Pack

সুন্দর চুল পেতে মুলতানি মাটির ৪ হেয়ার প্যাক

Sundor Chul Pete Multani Matir 4 Ti Hair Pack
চুল মজবুত করতে
১ কাপ মুলতানি মাটি, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়া, ১ টি ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে।
মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহারে আগে চুল খুব ভাল ভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। ভাল ফল পেতে চাইলে আগের রাতে চুলে তেলদিয়ে রাখা ভাল।
সুন্দর চুল পেতে মুলতানি মাটির ৪ হেয়ার প্যাক | Sundor Chul Pete Multani Matir 4 Ti Hair Pack 2

সুন্দর চুলের জন্য মুলতানি মাটির ৪ হেয়ার প্যাক

তৈলাক্ত চুলের জন্য

একটি বাটিতে ৩/৪ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ টেবিলচামচ রিঠা পাউডার মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে রাখুন। প্যাকটি মিশিয়ে ১ /২ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে ভালভাবে লাগান। ১০/১৫ মিনিট পর তা ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার চুলকে সিল্কি এবং মজবুত করবে।

শুষ্ক চুলের জন্য
৪ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ কাপ টক দই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ভাল করে লাগান। ১/২ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া রোধ করার সাথে সাথে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে থাকে। এই প্যাকটির সাথে লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন। লেবুর রস আপনার চুলের খুশকি দূর করে থাকে। ২ টেবিল চামচ মধু যোগ করে নিতে পারেন চুলকে ঝরঝরে সিল্কি করার জন্য।

রুক্ষ্ম চুলের জন্য
রুক্ষ্ম চুল সিল্কি করার জন্য মুলতানি মাটি খুব ভাল কাজ করে। শ্যাম্পু করার আগের রাতে চুলে অলিভ অয়েল দিয়ে রাখুন। সকালে গরম পানিতে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর মুলতানি মাটি, টক দই দিয়ে তৈরি প্যাক চুলে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে এই প্যাকটি প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

Back to Top
Product has been added to your cart