Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed

kalo ba Halka badami chuler jonno Sothik Rong | কালো বা হালকা বাদামি চুলের জন্য সঠিক রঙ

kalo ba Halka badami chuler jonno Sothik Rong | কালো বা হালকা বাদামি চুলের জন্য সঠিক রঙ

বর্তমানে সবাই কমবেশি চুলে কালার করে থাকেন। কেই পুরো চুলে রঙ করে থাকেন আবার কেই চুলের নির্দিষ্ট কোনো অংশে রঙ করে থাকেন। এখনএটাকে চুল হাইলাইট করা বলে।আজ থাকছে কালো বা একটু বাদামি চুলের জন্য কী কী রঙ ভালো মানাবে তা নিয়

    kalo ba Halka badami chuler jonno Sothik Rong | কালো বা হালকা বাদামি চুলের জন্য সঠিক রঙkalo ba Halka badami chuler jonno Sothik Rong | কালো বা হালকা বাদামি চুলের জন্য সঠিক রঙ

১) বিচ ব্রাউনঃ এই রঙ অনেকটা সমুদ্রের বালির মত।ব্রিচ ব্রাইন রঙটা কালো চুলে খুব দারুণ ভাবে মিশে যায় আর নিয়ে আসে একটা দারুণ নতুন লুক।

২) ক্যারামেলঃ এই রঙটা কালো চুলে বেশ মানায়। আপনার চুল ছোটো বা লম্বা যাই হোক না কেন এটা সব ক্ষেত্রেই বেশ মানানসই। এই রঙটা অনেকটা ব্রাউন আর গোল্ডেন এর মতো। এর জন্য এই রঙটা পুরো চুলে করলে একটা দারুণ কালো আর সোনালির হাইলাইট এফেক্ট নিয়ে আসবে আপনার চেহারাই।

৩) গোল্ডেন ব্রাউনঃ যারা একটু  বেশি ফর্সা তাদেরকে এই রঙটাতে আর উজ্জ্বল লাগবে। তবে একটু চাপা রঙেও বেশ মানাবে। কোঁকড়ানো চুলে এই রঙটা দারুণ লাগে।

৪) চেস্টনাটঃ যাদের চুল স্ট্রেট বা একটু ওয়েভি তাদের এই রঙটাতে খুবই ভালো লাগে। এই রঙটা লাগালে কিছুটা চুল একটু লাল লাগতেও পারে কিন্তু পুরো চুলে লাগালে একসাথে খুব বেশি  সুন্দর লাগে।

৫) মেহগনি রঙঃ যারা একটু বেটে তাদের জন্য এই রঙটা বেশি মানাই। কিন্তু এই রঙটা লাগালে আপনাকে একটু বেশি  যত্ন নিতে হবে আর মাঝে মধ্যে আপনাকে একটু আধটু টাচআপ করতে হবে নইলে কিন্তু রঙটা খুব ভালো বোঝা যাবে না। এই রঙটা খুব সহজেই কালো চুলে ভালো মানিয়ে নেই।

৬) আ্যাশ ব্রাউনঃ  এই রঙটা  আভিজাত্য এনে দেবে আপনার ব্যাক্তিত্বে মধ্যে। এই রঙটা চুলে একটা আলোআঁধারি রঙ এনে দেই।

৭) আ্যাশ ব্ল্যাকঃ এই রঙেটি সব থেকে ভালো। বিশেষ করে  আপনার চুলে যদি কিছুটা সাদা চুল বেরিয়ে থাকে সে ক্ষেতরে এই রঙটা সেটাকে খুব ভালো ভাবে ঢেকে দেবে আর কেউ সেটা দেখে বুঝতেও পারবেনা। এই রঙটা যুবক ও যুবতিদের সবার জন্য একদম পারফেক্ট।

Olpo Somoie chul ghono korar upai | অল্প সময়ে চুল ঘন করার উপায়

অল্প সময়ে চুল ঘন করার উপায়

সাধারনত ধুলো ময়লা, আবহাওয়া, রোদ এবং সঠিক যত্নের অভাবে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। চুলের ফলিকল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। এর  ফলে নতুনভাবে চুল গজানোর পরিমান একেবারেই কমে যায়। এবং চুল পড়ার হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। এসব  কারণে চুল হয়ে যায় পাতলা এবং একেবারে নিষ্প্রাণ।

কিন্তু ঘন, কালো ও লম্বা চুলের সৌন্দর্য সকলেরই পাওয়ার ইচ্ছা থাকে। এইসব যন্ত্রণার পরও সামান্য যত্নে চুলের ঘনত্ব এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করাসম্ভব। সপ্তাহে মাত্র ২/৩ দিন খানিকটা সময় বের করে নিয়ে দুটো হেয়ার মাস্কের ব্যবহারেই পেতে পারেন ঘন, কালো ও উজ্জ্বল চুল।

Olpo Somoie chul ghono korar upai  | অল্প সময়ে চুল ঘন করার উপায়

Olpo Somoie chul ghono korar upai | অল্প সময়ে চুল ঘন করার উপায়

১/সরিষার তেল ও মেহেদী পাতা

সাধারণত চুলে সরিষার তেল একেবারেই ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু সরিষার তেল চুলের গোঁড়া মজবুত করে তুলতে বিশেষ ভাবে কার্যকর একটি উপাদান, যা চুল পড়া রোধ করে দেয় সহজেই। এর পাশাপাশি মেহেদী পাতা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ফলে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় বেশ কয়েকগুন।

পদ্ধতিঃ

২০০ গ্রাম সরিষার তেল একটি পাত্রে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এখন  এতে ১ কাপ পরিমাণ মেহেদী তাজা পাতা দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। যখন দেখবেন মেহেদী পাতা পুড়ে কালো হয়ে যাবে। তখন তা চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই তেল সংরক্ষণ করুন। এই তেল সপ্তাহে ৩ দিন চুলে ব্যাবহার করুন। সব চাইতে ভালো ফল পাবেন সারারাত চুলে তেল লাগিয়ে রেখে সকালে সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেললে।

২/ডিম ও অলিভ অয়েল

চুলের ঘনত্ব ব্রদ্ধির জন্য ডিম এর ব্যবহার অনেক প্রাচীন কাল থেকেই। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা চুল পরা রোধ করে থাকে । এছাড়া ডিমের মধ্যে রয়েছে সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়োডিন যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।

পদ্ধতিঃ

একটি বাটিতে একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল(জলপাই তেল) ও ১ চা চামচ মধু নিন( চুলের দৈর্ঘ্য ও পরিমাণ অনুযায়ী অলিভ অয়েল ও মধুর পরিমাণ বাড়াতে পারেন)। এরপর উপকরণগুলো খুব ভালোভাবে মেশান। যখন এটি মসৃণ পেস্টের আকার ধারন করবে তখন এত ব্যবহার উপযোগী হবে। মসৃণ পেস্টের মত হয়ে গেলে মাথার ত্বকে আলতো ঘষে মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগিয়ে ফেলুন। ২০ মিনিট পর প্রথমে ঠাণ্ডা পানি ও পরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ১ বার এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ভালো ফল পাবেন।

Chul Pora Bondho korar Upay | চুল পড়া বন্ধে কিছু কার্যকরী উপায়

Chul Pora Bondho korar Upay | চুল পড়া বন্ধে কিছু কার্যকরী উপায়
মাএ-দুই-দিনেই-চুল-পড়া-বন্ধ-করুন।-চুল-পড়ার-সমস্যার-সমাধান-(2)

সাধারণভাবেই প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল ঝরে পড়ে। যখন আমদের চুল পড়তে শুরু করে তখন কষ্টের আর শেষ থাকে না। প্রতিদিন ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকার কিছু নেই।

চুল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মাথায় প্রতিনিয়তই নতুন চুল গজায়। তবে চুল যদি বেশি পরিমাণে পড়তে থাকে, অর্থাৎ চুল পড়ার হার যদি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি হয় তাহলে তা চিন্তার কথা। তাই চুল বেশি পড়লে অবশ্যই আমাদের গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখতে হবে।

নানা কারণেই আমাদের মাথার চুল পড়তে পারে ।  চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে, অ্যানিমিয়া থাকলে, মানসিক স্ট্রেস-টেনশন, চুলে খুশকি, বড় কোন অসুখে ভুগলে, বেশি মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলে ইত্যাদি নানা কারণেই চুল  পড়ে থকে । ফলে মাথার চুল পাতলা হয়ে যায়।

চুল পড়া বন্ধে করতে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে।আগে  কারণটা খুঁজে বের করে আগে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

চুল পরা রোধের উপায়

চুল পড়া বন্ধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে  হবে । নিজে নিজে চিকিংসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন । নিচে চুল পড়া রোধের কিছু  উপায়  দেওয়া হলো-

১।চুলের  জন্য ধূমপান খুবই ক্ষতিক্র ।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো  ও ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া অনেক বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ন  ধারন করে ।

২। অতিরিক্ত চা-কফি পান করা উচিত না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য অনেক  দায়ী।

৩।বেশিরভাগ  ক্ষেত্রেই লক্ষনীয় যে, শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে থকে । আয়রনের অভাবে আমাদের শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) মজবুত করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।

৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে , তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে । ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ করতে সাহাজ্য করে, যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে চুল পড়া রোধ হয়।

ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।

৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে । প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করতে হবে ।

৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া বন্ধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খআবেন । তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসবে । এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।

৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ব্যবহার করুন।

৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।

৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রখতে হবে ।

১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

টিপস

** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে  পারেন।চুল পরা কমে যাবে।

**যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মাসাজ করলে চুল ভাল থাকবে।

Khushki Mukto Chul Pete Koroniyo | খুশকি মুক্ত চুল পেতে করনিয়   

খুশকি মুক্ত চুল পেতে করনিয়

খুশকি সমস্যা কমবেশি সবারই হয়ে।  সাধারনত মাথার লোমকূপে ময়লা জমে এবং ছত্রাকের কারনে খুশকি হয়ে থকে । এছাড়া চুল রুক্ষ হয়ে গেলেও আর্দ্রতা কমে খুশকি হয়ে থাকে । খুশকি আমাদের সবার কাছেই অনেক বড় আতঙ্কের কারন । শুধু তৈলাক্ত স্কাল্প নয়, যাদের শুষ্ক স্কাল্প তারাও এর শিকার হয়ে থাকেন।  শীতকালে খুশকির প্রকোপটা বেড়ে যায়। যার অন্যতম কারণ হলো গরম পানি দিয়ে গোসল করা । এতে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে যায়।তবে একটু সচেতন হলেই খুশকির এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।

খুশকি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়া। চিরুনি ও চুল মোছার তোয়ালে আলাদা করে রাখা উওম । চুল খুশকি মুক্ত রাখতে প্রতিদিন  চিরুনি, তোয়ালে, বালিশের কভার ও চাদর পরিস্কার রাখা প্রয়োজন। এছাড়া ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো ভালো।

এছাড়া খাদ্যাভাসও চুলের খুশকি প্রতিরোধে অনেকটা ভূমিকা রাখে। এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং টাটকা ফল, সবজি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া।খুশকি দূর করতে অনেকেই ছুটে চলেন নামিদামি পার্লারে। কিন্তু যাদের নিয়মিত পার্লারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তারা ঘরে বসে নিজেই নিতে পারেন নিজের চুলের যত্ন।আসুন জেনে নেওয়া যাক এই টিপস গুলো –

  • জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগিয়ে, আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করলে খুশকি কমে যায়।
  • দূর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগিয়ে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • তুলসি পাতা বাটার সঙ্গে কর্পুর ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধঘণ্টা রেখে দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
  • কাঁচা আমলকি ছেঁচে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করে অথবা রোদে দুই তিন দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিতে হবে। সপ্তাহে দুদিন সেই তেল মাথায় লাগালে খুশকি চলে যাবে।
  • চুলে শ্যাম্পু করার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ দিতে হবে।
  • মেথী বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই, পানিতে পেস্ট করে মাথায় দিয়ে, আধঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
  • পেয়াঁজের রস মাথার তালুতে দিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • লেবু খুশকি দূর করে। চুল শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • হেনা পাউডার, রিঠা পাউডার দিয়ে তৈরি ভেষজ প্যাক ব্যবহার করতে পারেন এতে খুশকি দূর হবে।
  • লেবু এমন এক উপাদান যা ত্বক, চুল সব কিছুর জন্য খুবই  উপকারী। তবে সরাসরি লেবুর রস কখনই ব্যবহার করবেন  না। কেননা লেবুর রসে থাকা এসিড উপকারের বদলে অপকার করতে পারে। ৩/৪টি লেবুর খোসা ছাড়িয়ে ৪-৫ কাপ পানিতে ২০ মিনিট সিদ্ধ করে নিন। ঠাণ্ডা হলে এই সলিউশন দিয়ে শ্যাম্পু ত্বকে ম্যাসাজ করার পর চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আরেকটি প্যাকের কথা বলছি। ১ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ৫ চ চামচ নারকেলের তেল ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে ভালো ভাবে  লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস খুশকি দূরীকরণের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি স্কাল্প থেকে ফ্লেক পরিষ্কার করে দেয়।
  • ভিনেগার খুশকির হাত থেকে মুক্তির অন্যতম প্রধান উপাদান। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এতে থাকা পটাসিয়াম এবং এনজাইম ইচি স্কাল্প আর খুশকি সারিয়ে তোলে। একটি কটন প্যাডে ভিনেগার নিন। তারপর চুলে বিলি কেটে কেটে পুরো মাথায় ত্বকের মধ্যে লাগান। সপ্তাহে ২ দিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন।
  • বেকিং সোডা খুব ভালো অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে আর এর ব্যবহারও খুব সিম্পল। এক মুঠো শ্যাম্পুর সাথে এক টেবিল চামচ সোডিয়াম বাই কার্বনেট মিশিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে  ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন।
  • এক টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে দুই টেবিল চামচ রসুন পেস্ট মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। এই প্যাক ফ্লেক থেকে চুলের খুশকি দূরে রাখে। রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক যা স্কাল্পের চারপাশে থাকা ব্যাকটেরিয়ার বংশ ধ্বংস করে। এই অ্যান্টিডেনড্রাফ ট্রিটমেন্ট চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার  ধুয়ে ফেলবেন।
  • খুশকি থেকে মুক্তির জন্য আরেকটি ঘরোয়া উপায় হলো ৪ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। বেসন মাথার তালুর তেল শোষণ করে নেয়ার ক্ষমতা রাখে আর এভাবেই খুশকির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। গোসলের আগে এই প্যাক লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলবেন। চাইলে শুধু মাত্র পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
  • আপেলে থাকা এনজাইম ডেড স্কিন সেল দূর করে। দুই টেবিল চামচ ফ্রেশ আপেলের রস ১ চা চামচ পানির সাথে মিশিয়ে কটন প্যাডের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

জাঙ্ক ফুড খুব কম খাবেন কেননা এতে আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে খুশকির আক্রমণের আশংকা থাকে। এসব ভাজা পোড়া খাবারের বদলে জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খান আর আপনার প্রাত্যহিক কিছু অভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে , যেমন- যতবার বার শ্যাম্পু করবেন তার পরপর সদ্য পরিষ্কার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন । কেননা প্যাক লাগানোর পর আপনার চুল অনেকটা খুশকি মুক্ত হয়ে যায় কিন্তু আপনি যদি সেই আগের খুশকিযুক্ত বালিশের কাভার, চিরুনি আর তোয়ালে আবার ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু কোন লাভই হবে না।

এরপরও যদি চুলে খুশকি হয়, তাহলে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে হারবাল ট্রিটমেন্ট কিংবা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এভাবে চুলের যত্ন নিলে শুধু চুলের খুশকি দূর হবে না, সেইসাথে  চুল হবে সুস্থ ও সুন্দর।

3 dine chul pora komiya | ৩ দিনের মধ্যে চুল পড়া কমিয়ে ফেলুন 2

3 dine chul pora komiya | ৩ দিনের মধ্যে চুল পড়া কমিয়ে ফেলুন

3 dine chul pora komiya ৩ দিনের মধ্যে চুল পড়া কমিয়ে ফেলুন

৩ দিনের মধ্যে চুল পড়া কমিয়ে ফেলুন

সৌন্দর্যের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ও গুরুত্বপূর্ন অংশ হচ্ছে চুল।অনেক সমায় আমরা ঠিকমত চুলের যত্ন নেয় না যখন চুল পড়তে শুরু করে তখন আমাদের চিন্তার  আর শেষ থাকে না। তবে চুল পড়া নিয়ে চিন্তার কোনো কারন নেই। স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত আমাদের কিছু না কিছু চুল পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত   একশ’টা চুল পড়া স্বাভাবিক।কিন্তু চুল পড়ার হার যদি এর  চেয়ে অনেক বেশি হয় তাহলে তা শঙ্কার কথা। কাজেই চুল বেশি পড়লে বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য ও অনেক সময় চুল পড়ে। এ ছাড়া চুলের গোড়ার ঘাম থাকলে , অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খেলে, চুলের সঙ্গে মানানসই নয় এমন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও সাধারণত চুল পড়ে থকে । আর তার জন্য বিউটি পার্লারে চিকিৎসা গ্রহন করার চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা বেশ কার্যকরী ।কেননা  পার্লারে থেকে গ্রহন করা চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব হয় না। তার জন্য আমাদের দেওয়া সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া সহজে বন্ধ করুন।

নিয়মিত চুল পরিস্কার করা ভাল নয়

২-৩ দিন পর পর একবার চুল পরিস্কার উওম । কারণ নিয়মিত  চুল পরিস্কার করলে আপনার মাথার খুলি বেশি শুকনো হয়ে যায়, যা চুলকে ক্ষতিসাধন করে। তাই ২-৩ দিন পর  চুল পরিস্কার করুন এতে উপকার পাবেন। ১ম ই শ্যাম্পু দিয়ে বাবল তৈরী করুন, তারপর চুলে ম্যাসাজ করুন। কিছু সময় এভাবে রাখআর পর এবং তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার চুলে যদি তৈলাক্ততার পরিমান বেশি হয়, তাহলে একদিন বা দু’দিন পর পর চুল পরিস্কার করুন।

 

ঘণ চিরুনি দিয়ে ভিজা চুল আচঁড়ানো উচিত নয়:

ভিজা  চুলে গোড়া খুব দুর্বল থাকে। সেজন্য চুল পরিস্কারের পর ভাল ভাবে না শুকানো পর্যন্ত চুল আচঁড়ানো বা চুল শুকাতে কাপড় দিয়ে দ্রুত ও জোরে জোরে ঘর্ষণ করবেন না, এটা আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে। পরিস্কার শুকনো কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চুল বেঁধে রাখুন, কিছুক্ষণ পর খোলা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন। এটা আপনার চুল পড়ার পরিমানা কমিয়ে আনতে সাহায্য  করবে।

হালকা গরম তেল ব্যবহার:

প্রাকৃতিক তেলগুলো  যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি  তেলহালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে ম্যসাজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। অনেকেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করতে অভ্যস্ত।এই হেয়ার ড্রায়ার চুলের অনেক ক্ষতি করে থাকে।  আর এর জন্য চুল বাঁধার অভ্যাস বন্ধ করুন। কেননা বেঁধে রাখা চুল পরে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

  • অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না :

     চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন রাতে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন।প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান  কেননা ঘুম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কার্যকরী।

 

Chul Khushki Mukto Rakhar Upay | চুলকে খুশকি মুক্ত রাখার উপায়

শীতে চুলকে খুশকি থেকে মুক্ত রাখুন

সুন্দর এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুলের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো খুশকি থেকে মুক্ত। খুশকি চুলের অনেক সমস্যারই কারণ। খুসকির কারনে নষ্ট  হতে পারে চুলের উজ্জলতা, চুলের সোজা ভাব, সৌন্দর্যতা এমনকি চুলের আগা ফাটা ।

খুশকির সমস্যা দূর করার জন্য আমরা বাজারে নানা রকম  ব্র্যান্ডের এন্টিড্যান্ড্রাফ শ্যাম্পু , বিভিন্ন চুলের প‌্যাক,তেল আরও আছে আর্য়ুবেদিক সমাধানও। এরপরও খুশকি পুরোপুরি দূর হয় না এবং বার বার ফিরে আসে। কারণ শুধু বাহ্যিক যত্ন নিলেই হবেই না দিতে হবে দেহকে ভিতর থেকে পুষ্টি ।

খুসকি মুক্ত চুলের জন্য যা করতে হবে –

# সুষম খাবার খেতে হবে।বাসায় তৈরী খাবার যা কম তেলে রান্না করতে হবে।

# তাজা সবজি ও ফল রাখুন খাবার তালিকায়।

# খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দিন ।

# Vitamin B 12 গ্রহনে চুলের গোড়ায় শক্তি যোগায়।

# Vitamin C Scalpএ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

# Vitamin E অক্সিজেনের গ্রহন বাড়ায়।

# Vitamin B-3 B -5, B-6 চুলের স্বাস্হ্য ও বর্ধনে সাহায্য করে।

# Iron চুলের basic health ও strength রক্ষা করে।

# zinc ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ও চুলের বৃদ্ধিকে উৎদিপ্ত করে।

# Folic Acid গ্রহনে চুল পরা প্রতিরোধ করে।

# বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন-zinc, sulfur, biotin, ও selenium এর অভাবে খুশকি দেখা দেয়।সূর্যমুখীর বীচি, মটরশুটি,পালংশাক zincএর ভাল    উৎস।বাধাকপি,ফুলকপি,ব্রোকলি থেকে sulfur ও biotin পাওয়া যায়।বাদাম, মাংস থেকে selenium পাওয়া যায়।এসব উপাদান খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে  ।

# প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।

# কোন ধরনের শ্যাম্পু ও চুলের প্রসাধনী আপনার চুলের জন্য উপযোগী তা জেনে ব্যাবহার করুন ।

এছাড়া ঘরে বসেই করতে পারেন হারবাল ট্রিটমেন্ট আর এই হারবাল প্যাকটি তৈরী করার জন্য যা যা লাগবে-

উপকরণ –

# কাঁচা আমলকি ১০ গ্রাম

# ২৫০ মিলি সরিষার তেল

# ১০০ গ্রাম এর মতো মেহেদির কাঁচা পাতা

প্রণালি –

কড়াই এ সরিষারতেল গরম করে নিন।মেহেদি পাতা ঝরিয়ে নিন এবং একটা কাটা চামচ দিয়ে আমলকি কুচিয়ে নিন । মেহেদি পাতা এবং আমলকি কুচি পাতা একসাথে মিশান ।পাতা মচমচে না হওয়া পর্যন্ত ভেজে থাকুন ।একটা বড় বাটিতে তেল, মেহেদি আর আমলকির মিশ্রন ঠান্ডা করে নিন ।ঠান্ডা হয়ে গেলে আমলকি গুলো উঠিয়ে ফেলুন এবংমেহেদি পাতা গুলো হাত দিয়ে গুড়ো করে তেলের সাথে মিশিয়ে নিন।শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে চুলের গোড়ায় ও চুলে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করুন ।মাথায় একটা শাওয়ার ক্যাপ বা কাপড় পেচিয়ে নিলে ভালো বিছানা নষ্ট হবে না।পরের দিন শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

এই মিশ্রন অনেকদিন ফ্রিজ এ না রেখেই ব্যবহার করতে পারবেন।এভাবে সপ্তাহে ২-৩নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি পেতে পারেন খুশকিমুক্ত ঝকঝকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল।

https://youtu.be/qr0_Qbqrkh0

Back to Top
Product has been added to your cart