Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট | Sashtho Ujjol chul Pete ghorei Bebohar korun hair Treatment

ভিবিন্ন  উৎসবেরদিনে যেমন ঈদের দিনে ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুলে  পচ্ছন্দমত  সাজ দিতে কে না চায়। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না । আর এর জন্য  ঠিক ঈদের আগের দিন পার্লারের অতিরিক্ত ভিড়ে মধ্যে যেতে হয় তা ও পচ্ছন্দমত হয় না ।  আপনি  চাইলে ঘরে বসেই পার্লারের মতো হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে নিতে পারেন আপনার পচ্ছন্দমত হেয়ার স্টাইল । কম খরচেই ঘরে বসে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন হেয়ার এক্সপার্ট তারান্নুম আরা বন্যা।  তাহলে  আসুন জেনে নেয়া যাক অল্প সময়ে কম খরচে কীভাবে ঘরেই বসেই হেয়ার ট্রিটমেন্ট নেওয়া যায়।

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

হেয়ার ট্রিটমেন্ট

অনুষ্ঠান বা উৎসবের দিনগুলো সবাই নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায়। আর এর জন্য উৎসবের দিনে ঝলমলে চুল পেতে ঘরেই করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

ম্যাসাজ করুন

নারকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল মিশিয়ে কিংবা ২/৩ ধরণের তেল যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি একসাথে মিশিয়ে তা দিয়ে খুব ভালো করে মাথার ত্বক ও চুলের  মধ্যে  ম্যাসাজ করে নিন ১০-১৫ মিনিট। চুলের গড়া ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন  যেনো রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

স্টিম করুন

হেয়ার এক্সপার্ট তারান্নুম প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আপনি ঘরেই হেয়ার স্টিম করে নিতে পারেন হট টাওয়েল পদ্ধতিতে, পার্লারে গিয়ে স্টিমারে যেমন ফল পেতে পারতেন ঠিক তেমনই ফল পাবেন। একটি বড় তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে পানি চিপে তা মাথায় পেঁচিয়ে ভাপ নিন চুলে ১৫-২০ মিনিট’। এটিই মূলত স্টিম করা।

ধুয়ে নিন চুল

স্টিম করার পর চুল অবশ্যই ধুয়ে নেবেন এতে চুলের তেল চলে যাবে। আপনি ইচ্ছে করলে তেল দিয়ে পুরো রাত রেখে দিতে পারেন। কিন্তু এরপরের ধাপে আপনাকে হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে বিধায় ১ ঘণ্টা চুলে তেল রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন ভালওভাবে । শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার লাগান। এরপর চুল ফ্যানের বাতাসেই শুকিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন ।

হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্যাক লাগান

বাজারে অনেক ভালো হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্যাক কিনতে পাওয়া যায়। যদি প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করতে চান তাহলে খুব ভালো হয় যদি এই প্যাক কিনতে পারেন। আর যদি কিনতে না চান তাহলে ২ টি ডিম, নারকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আর এমনিতে শুষ্ক-রুক্ষ ও নিস্তেজ চুলের জন্য একটি পাকা কলা ভালো করে ম্যাশ করে নিয়ে এতে অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যাবহার  করুন। এরপর প্যাকটি ২০ মিনিট চুলে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালোভাবে ।

পুনরায় চুল ধোয়া

হেয়ার এক্সপার্ট বন্যা বলেন, ‘সবচাইতে ভালো হয় যদি একরাত আপনি প্যাকটি শুধু পানিতে ধুয়ে চুলে তার কাজ করতে দিতে পারেন। যেমন ধরুন রাতে পূর্বের ধাপগুলো সম্পন্ন করে চুল শুকিয়ে নিয়ে ঘুমুতে গেলেন পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই দ্বিতীয়বার চুল ধোয়ার কাজটি শেষ করলেন। এতে প্যাকটি পুরো রাত ভালো করে কাজ করার সময় পাবে’। চুল ধোয়ার সময় ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন এবং কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না একেবারে ।

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । Eskalp Massage korar Upai

চুল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখার জন্য স্কাল্প ম্যাসাজ খুবই জরুরী। এতে ফলিকলস্‌ সক্রিয় থাকে, চুল মজবুত ও সতেজ  হয়। স্ক্যাল্প ম্যাসাজে টেনশন কমে ও রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এই হেয়ার ম্যাসাজটি আপনি গোসলের আগে কিংবা অবসর সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এর জন্য যা  লাগবে তা হলো কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল, কেরিয়ার অয়েল এবং চুল ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার।

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

আসুন আমরা দেখে নিই স্ক্যাল্প ম্যাসাজের সাতটি ধাপ-

১. এসেন্সয়িাল অয়েল বাছাই করুন:

১ম ই  চুলের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় একটি এসেন্সিয়াল অয়েল বাছাই করুন। যেমন আপনার যদি বেশি খুশকী থাকে তবে ল্যাভেন্ডার অয়েল, যদি চুল পরা সমস্যা থাকে তাহলে পিপারমিন্ট বা রোজমেরি অয়েল, চুল রুক্ষ হলে রোজ বা ক্যামোমিল অয়েল ব্যবহার করুন  এগুলো আপনি বিউটি পার্লার বা বড় কসমেটিক্স শপে পেতে পাবেন ।

২. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ অয়েল প্রস্তুত করুন:

একটি বাটিতে কয়েকফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে তার মধ্যে কেরিয়ার অয়েল যেমন আলমন্ড বা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল নিন। কেরিয়ার অয়েল দিয়ে আধা বাটি পেস্ট তৈরী করুন।

স্কাল্প ম্যাসাজ

৩. ভাল করে চুল আঁচরান:

একটি ভালো পরিস্কার চিরুনী দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চুল ভালো ভাবে  আঁচরান। সাধারণ চিরুনীর বদলে হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। আপনার চুল যদি বড় হয় তবে ডগা থেকে আঁচরাবেন এতে চুলের ক্ষতি হবে না।

৪. ম্যাসাজ শুরু করুন:

আঙুলে  মধ্যে অল্প পরিমান তেল নিয়ে চক্রাকারে ম্যাসাজ শুরু করুন। আপনার আঙুলগুলো দিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে তা ম্যাসাজ করুন। একটু পর পর আঙুলে তেল নিয়ে নিন।

৫. চুলে গরম ভাপ দিন:

ম্যাসাজ শেষ হয়ে গেলে  একটি তোয়ালে সামান্য গরম করে মাথা ও চুল ঢেকে দশ মিনিট বিশ্রাম করুন।

৬. চুল ধুয়ে ফেলুন:

একটি ভাল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুল বেশি শুষ্ক হয়, তবে সাথে সাথে না ধুয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। চুল ভাল করে পরিষ্কার করতে আপনাকে দুবার শ্যাম্পু করতে হবে।

৭. সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন:

এতে করে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে, চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর। এর সাথে পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আশা করা যায় এর মাধ্যমে চুলের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে ।

 

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও সুন্দর  ঝলমলে রেশমি চুলের আকাঙ্ক্ষা প্রায় সকল নারীর থাকে। কিন্তু ভিবিন্ন কারনে  চুল পড়ে যাওয়া, চুলে রুক্ষতা চলে আসা, আগা ফাটার সমস্যা লেগেই থাকে। যার কারণে বেশীরভাগ নারীর কাছে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুল পাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু ১ টি মাত্র ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। জানতে চান স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের সিক্রেট ফর্মুলা  আসুন তাহলে জেনে নিই

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য-

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

যা যা লাগবেঃ

– ১ টি পাকা কলা

– ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ

– ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল (অতিরিক্ত শুষ্ক চুল হলে আরেক চামচ যোগ করুন)

– ২ টেবিল চামচ মধু

পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিঃ

১ম ই কলা ছিলে খণ্ড করে নিন।তারপর একটি ব্লেন্ডারে উপরের সকল উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

– ৪০-৪৫ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন বা কলা একেবারে মিশে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করার পর্যন্ত ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, আপনার ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন।

– তারপর চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন।

– চুলের ত্বকে  আলতো করে ম্যাসেজ করে নিন ৫ মিনিট। তারপর একটি শাওয়ার ক্যাপ বা প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে চুল ও মাথা ঢেকে রাখুন।

– ৩০ মিনিট এভাবে রেখে আপনার সাধারণ শ্যাম্পু দিয়েই চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

১ম বার  ব্যবহারেই চুলে আমূল পরিবর্তন আপনার নজরে পড়বে। সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহারেই  পাবেন ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুল।

উকুন থেকে মুক্তি পাবার ৫টি উপায় | Ukun theke Mukhti Pabar 5 Ti Upai

উকুন থেকে মুক্তি পাবার ৫টি উপায়

চুলের ও মাথার  সবচাইতে বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা হচ্ছে উকুনের সমস্যা। উকুন যাদের মাথায় বাসা বাধে কেবল সে-ই জানে এর যন্ত্রণা কতোখানি। উকুনের সমস্যা যদি একবার শুরু হয় মাথা থেকে তাহলে তা দূর করা ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ক্যেমিকেল ব্যবহার করে উকুন দূর করতে পারলেও চুল হয়ে যায় রুক্ষ্ম। এমনকি চুল পড়া শুরু করে ভয়াবহ ভাবে। কিন্তু যদি ঘরোয়া ভাবেই উকুনের বংশকে নির্বংশ করা যায় তাহলে এতে করে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে। সাথে উকুনের সমস্যাও সমাধান হবে। আসুন তবে দেখে নিন কিভাবে উকুনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন তার কিছু কার্যকরী পদ্ধতি

উকুন থেকে মুক্তি পাবার ৫টি উপায় Ukun theke Mukhti Pabar 5 Ti Upai

উকুন থেকে মুক্তি পাবার ৫টি উপায় Ukun theke Mukhti Pabar 5 Ti Upai

১/জলপাই তেলের(অলিভ অয়েল) মাধ্যমেঃ

উকুনের সমস্যা  সমাধান একরাতে শেষ হবার নয়। আপনাকে এর জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। অলিভ অয়েল উকুন তাড়াতে বেশ কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাথার ত্বককে উকুনের হাত থেকে রক্ষা করে। এইজন্য আপনাকে সারারাত চুলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে হবে। একটি কাপড় দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এতে মাথার ত্বকে একটি ভাপ সৃষ্টি হবে। সকালে শ্যাম্পু করে  চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেকাংশে উকুন চলে যাবে।

২/হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনারের ব্যবহারঃ

উকুন মাথার গরম ভাপ সহ্য করতে পারে না।এর জন্যআপনি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোলে চুল গোড়া থেকে গরম হবে। এতে করে চুলে উকুন থাকতে পারবে না। তখন বাধ্য হয়ে অনায়েসে চুল আঁচড়ে উকুন দূর করতে পারবেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারও চুল গরম করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু মনে রাখবেন হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনার বেশি ব্যবহার করা যাবে  না। এবং করলেও প্রথমে চুলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তবে করতে হবে।

৩/হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুনঃ অবাক করার মতো  হলেও সত্যি যে হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি চুলকে উকুন মুক্ত রাখতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। চুলের ত্বকে  ভালো মতো  করে হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। উকুন দূর হবে দ্রুত।

৪/উকুন মারতে মেয়োনেজঃ

মেয়োনেজে অ্যান্টিফাঙ্গাল এলিমেন্ট থাকে যা মাথার ত্বকে পৌঁছে উকুন মরতে সহায়তা করে। পুরো চুলে ভালো করে মেয়োনেজ মেখে ঘুমোতে যান। মাথায় সাওয়ার ক্যাপ পড়তে ভুলা যাবে  না। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে চুলের উকুনের সমস্যা দূর করতে পারবেন।

৫/উকুনের ডিম দূর করবে ভিনেগারঃ

উকুন মেরে ফেলা সহজ হলেও উকুনের ডিম চুলে রয়ে যায় যা পরবর্তীতে আবার উকুন  বাড়িয়ে তোলে। তাই এই উকুনের ডিম দূর করতে আপনার রান্না ঘরের ভিনেগারকে কাজে লাগাতে পাড়েন। এক্সপার্টরা বলেন ভিনেগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলের সাথে উকুনের ডিমের লেগে থাকার আঠা নষ্ট করে দেয়। এতে ডিমগুলো চুল থেকে ঝরে পড়তে ষূড়ূ করে । সারারাত ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন চুলে। সকালে শ্যাম্পু করুন চুল আঁচড়িয়ে।এতে করে চুলে উকুনের ডিম দেখতে পাবেন না।

উকুনের সমস্যা দূর করার উপায় । Ukun er Somossar Theke mukhti

উকুনের সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

চুলের ও মাথার ত্বকের  বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা হচ্ছে উকুনের সমস্যা। উকুন যাদের মাথায় বাসা বেঁধেছে শুধু তারাই কেবল জানে এর যন্ত্রণা কতটুকু। উকুনের সমস্যা  যদি একবার শুরু হয় তাহলে মাথা থেকে দূর করা ভীষণ কষ্টকর হয়ে পড়ে । ভিবিন্ন ধরনের কারনে ক্যেমিকেল ব্যবহার করে উকুন দূর করা গেলে  ও চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ্ম। এমনকি চুল পড়া শুরু করে ভয়াবহ ভাবে। কিন্তু তা যদি ঘরোয়া পদ্ধতি করা যায় তাহলে  উকুনের বংশকে নির্বংশ করা যাবে এতে করে চুলের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে। সাথে উকুনের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।  তাহলে জেনে  নিন কিভাবে উকুনের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন তার কিছু কিছু  উপায়।

উকুনের সমস্যা দূর করার উপায় । Ukun er Somossar Theke mukhti

উকুনের সমস্যা দূর করার উপায় । Ukun er Somossar Theke mukhti

জলপাই তেলের(অলিভ অয়েল) মাধ্যমে-

উকুনের সমস্যায় রাতারাতি শেষ হবার না।এর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। অলিভ অয়েল উকুন তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকরী। অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মাথার ত্বককে উকুনের হাত থেকে মুক্ত করে। তার জন্য আপনাকে সারারাত চুলে অলিভ অয়েল লাগিয়ে রাখতে হবে। একটি কাপড় দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখুন। এতে মাথার ত্বকে একটি গরম ভাপ সৃষ্টি হবে। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে  অনেকাংশে উকুন চলে যাবে।

হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনারের ব্যবহার-

উকুন মাথার  গরম ভাপ সহ্য করতে পারে না। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকোলে চুল গোড়া থেকে গরম হবে। এর ফলে চুলে উকুন থাকতে পারবে না। তখন অনায়েসে চুল আঁচড়ে উকুন দূর করতে পারবেন। হেয়ার স্ট্রেইটনারও চুল গরম করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু মনে রাখবেন হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেইটনার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এবং করলেও প্রথমে চুলের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তবে করতে হবে।

হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন-

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি চুলকে উকুন মুক্ত রাখতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। এর জন্য চুলের গোড়ায় ভালো মতো হেয়ার স্টাইলার জেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রাখুন ৩০ মিনিটের মতো। এরপর ভালো করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।এতে করে  উকুন দূর হবে দ্রুত।

উকুন মারতে মেয়োনেজ-

মেয়োনেজে অ্যান্টিফাঙ্গাল এলিমেন্ট থাকে যা মাথার ত্বকে পৌঁছে উকুন মরতে সহায়তা করে। পুরো চুলে ভালো করে মেয়োনেজ মেখে ঘুমোতে যান। মাথায় সাওয়ার ক্যাপ পড়তে আবশই ভুলবেন না । সকালে উঠে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।এতে করে  চুলের উকুন সমস্যা দূর করতে পারবেন।

উকুনের ডিম দূর করবে ভিনেগার-

উকুন মেরে ফেলা  সহজ হলেও উকুনের ডিম চুলে রয়ে যায় যা পরবর্তীতে আবার উকুন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। আর এই উকুনের ডিম দূর করতে আপনার রান্না ঘরের ভিনেগারকে কাজে লাগান। এক্সপার্টরা বলেন ভিনেগারের অ্যাসিটিক অ্যাসিড চুলের সাথে উকুনের ডিমের লেগে থাকার আঠা নষ্ট করে ফেলে । এতে ডিমগুলো চুল থেকে ঝরে পড়ে। সারারাত ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন চুলে। সকালে শ্যাম্পু করুন চুল আঁচড়িয়ে।  এতে করে চুলে উকুনের ডিম দেখতে পাবেন না।

Hair Siram Somporke Jene Nin | হেয়ার সিরামের সম্পর্কে জেনে নিন

Hair Siramair somporke jene Nin | হেয়ার সিরামের সম্পর্কে জেনে নিন

হেয়ার সিরাম শব্দটা  বেশিরভাক  মানুষের কাছে নতুন আসুন তাহলে আমরা হেয়ার সিরাম সম্পকে জেনে নিই। হেয়ার সিরাম  একটি তরল জাতীয় পদার্থ যা সিলিকন ভিত্তিক উপাদান ,অ্যামিনো অ্যাসিড এবং সিরামাইড দ্বারা হয়ে থাকে। ঠান্ডা আবহাওয়া, সূর্য, উত্তপ্ত স্টাইলিং সরঞ্জাম এবং চুলে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করার কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। হেয়ার সিরামে থাকা সিলিকন কন্টেন্ট মাথার ত্বকের উপর মাস্ক হিসাবে কাজ করে এবং চুলের কাঠামোগত পরিবর্তন এনে থকে । এই সিরাম সাধারণত ফ্রিজি এবং কার্লি চুলের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে তবে স্ট্রেইট চুলকেও জটমুক্ত করতে এর জুড়ি নেই। সিরাম বাজারে ভিবিন্ন ধরনের পাওয়া যায় কিন্তু অরগানিক এবং সিলিকন ভিত্তিক চুলের সিরাম তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

Hair Siramair somporke jene Nin | হেয়ার সিরামের সম্পর্কে জেনে নিন

Hair Siramair somporke jene Nin | হেয়ার সিরামের সম্পর্কে জেনে নিন

 

হেয়ার সিরাম ব্যবহারের উপকারিতা এবং অপকারিতাঃ

– হেয়ার সিরাম তৈলাক্ত মাথার ত্বককে  শুষ্ক করে রাখে এবং চুলকে খুশকি, হাত থেকে রক্ষা করে।

– হেয়ার সিরাম খুশকিযুক্ত চুলকে চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। চুলে এনে দেয় উজ্জ্বলতা।

– আপনার চুলে যদি ঘন ঘন জট লেগে যায় তবে হেয়ার সিরামের ব্যবহার আপনার সে সমস্যার সমাধান করবে

– হেয়ার সিরাম চুল শুষ্ক হওয়া থেকে চুলকে রক্ষা করে।

– হেয়ার স্টাইলিং মানে স্ট্রেইটনিং, কারলিং বা ব্লো ড্রাইং এর আগে যদি ব্যবহার করেন, তবে এই সিরাম ওভার হিট থেকে আপনার চুলকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে।

– নন স্টিকি প্রকৃতির হওয়ার কারণে হেয়ার সিরাম ধূলো এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে  হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে।

– অনেক সময় সিরাম চুলকে অত্যধিক শুষ্ক করে ফেলে যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য মোটে ও ভালো না। এমনটি হলে অবিলম্বে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ।

হেয়ার সিরাম ব্যবহারের নিয়মঃ

যদিও হেয়ার সিরাম লাগানো একদম সহজ ব্যাপার, তার পর হেয়ার সিরাম প্রয়োগ করার একটি কৌশল আছে। হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার জন্য আপনাকে  অব্যশইনির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। ১ম মত, একটি হালকা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিন। এরপর হাতের তালুতে অল্প পরিমাণে সিরাম নিয়ে তা আলতো ভাবে ভেজা চুলের উপরিভাগে লাগান। চুলের গোড়ায় লাগানোর  কোন দরকার নেই। এখন চুল শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ।তার পরে এটি আর ধুয়ে ফেলারও প্রয়োজন নেই।

হেয়ার সিরাম ব্যবহারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

– হেয়ার সিরাম ব্যবহার করার সময় সঠিক খাদ্য গ্রহণ ক্রুন। এটি সিরাম থেকে ভালো ফলাফল পেতে সাহায্য করে  থকে আর আপনিও পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত চুল।

– সিরাম ব্যবহার করার পূবে  হারবাল জাতীয় শ্যাম্পু যেমন herbal essences, vatika বা আপনার পছন্দ মত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। কেননা আপনি যদি রাসায়নিক উপাদানে তৈরি শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তাহ্লে  সিরামে থাকা এবং শ্যাম্পুতে থাকা উপাদান গুলো একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে আপনার চুলের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

– মাথার তালুতে কখনও সিরাম লাগাবেন না। আপনার মাথার ত্বক দ্বারা নিঃসৃত প্রাকৃতিক তেল আপনার চুলের গোড়ার যত্ন নেই। এর জন্য এই প্রাকৃতিক তেলের উপর সিরাম প্রয়োগ করায় আপনার চুল হবে স্ট্রেইট এবং গ্লেজি।

– সব সময় ভেজা চুলে সিরাম অ্যাপ্লাই করবেন। এতে সমস্থ চুলে ভালো ভাবে ছড়িয়ে যাবে।

আসুন এবার এক নজরে পরিচিত হয়ে আসা যাক কিছু হেয়ার সিরামের সাথে। এগুলো লোকাল দোকান গুলোতে ৫০০-৮০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। কিন্তু সব সময় চেষ্টা করবেন ভালো মানের দোকান থেকে কেনার জন্য।

Dove Nourishing Oil Care Hair Serum

এই সিরামটি চুলের  তেল চিটচিটে করে না বরং প্রাণহীন চুলকে উজ্জ্বল আর সতেজ করে তোলে । হালকা ওজনের এই সিরাম খুব সহজে প্রবেশ করবে আপনার চুলের ভিতরে।

Garnier Fructis Sleek & Shine Anti-Frizz Serum

এটা আপনার চুলে যেকোনো স্টাইলিং এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা তেল এবং এপ্রিকট এর নির্যাস আপনার চুলকে হাইড্রেট করবে এবং চুলের ৯৭ ভাগ ফ্রিজিনেস কেটে যাবে।

Livon Hair Serum

এই সিরাম  চুলকে ম্যানেজেবল এবং কোঁকড়া মুক্ত করে।এর ফকে   চুলের ভাঙ্গন অনেকাংশেই কমে যায় সেই সঙ্গে চুল হবে জটমুক্ত। এছাড়াও চুলের অনেক কমন প্রবলেমের সলিউসন দেয় এই সিরাম।

L’Oreal Professional “liss ultime” serum

এই সিরামের সাহায্যে চুলের ফ্রিজিনেসকে বিদায় বলুন। আপনার চুলের পলিশ ফিনিশ সবার নজর কাড়বেই। মসৃণ, সুন্দর চুলের সঙ্গে একটি প্রটেকটিভ আস্তরণ দিয়ে চুলকে কোট করে।

ঘরে তৈরি কফি মধুর হেয়ার সিরামঃ

এই সিরামটি কন্ডিশনারের মত ব্যবহার করা হয়ে থকে। যা আপনার চুলকে করবে মসৃণ। কফি চুলের গোড়া শক্ত করবে এবং চুলে একটি অতিরিক্ত রঙ যোগ করে আর মধু কমপক্ষে দুই দিনের জন্য আপনার চুলে উজ্জ্বল আভা ছড়াবে। ৪ চা চামচ কফি নিন এর সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশান, এতে আরও যোগ করুন ৪ টেবিল চামচ পানি। এ গুলো ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানান। ভেজা অথবা শুকনো চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

পরিবেশ দূষণ, সূর্যের উত্তাপের কারণেই মূলত চুল নষ্ট হয়। আর এর জন্য চুলের হারানো দীপ্তি এবং উজ্জলতা ফিরিয়ে আনার জন্য হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। মূলত, সিলিকন তেল থেকে হেয়ার সিরাম তৈরি হয় তাই এতে কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান থাকে না। প্রত্যেকবার চুল ধোয়ার পর হেয়ার সিরামের প্রয়োগ চুল চকচকে করে তোলে। তবে, রুক্ষ চুল মোলায়েম করার জন্য, নিয়মিত চুল সিরামের পাশাপাশি পুষ্টিকর ডায়েট অনুসরণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

Back to Top
Product has been added to your cart