Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed
কি করে বুঝবেন আপনি সত্যিকারের প্রেমে পরেছেন

কি করে বুঝবেন আপনি সত্যিকারের প্রেমে পরেছেন

কি করে বুঝবেন আপনি সত্যিকারের প্রেমে পরেছেন

অনেকেই বলেন ‘ভালোবাসার অনুভূতি কেমন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি কি ধরণের’। আবার অনেকে বলেন, ‘প্রেমে পড়লেই কি ছেলেমানুষের মতো ব্যবহার করতে হবে’। কিন্তু আসলে জানা থাকে না যে প্রেমের পড়ার ফলে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা-ই ছেলেমানুষি কাজ করায়। সত্যিকার অর্থেই প্রেমে পড়ার ফলে মনের মধ্যে অন্য ধরণের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আপনি হয়তো কখনোই জানতেন না আপনার মধ্যে এই ধরণের অনুভূতি রয়েছে যা প্রেমে পড়ার পর টের পাওয়া যায়। সত্যিকার অর্থেই যদি আপনি প্রেমে পড়ে থাকেন তাহলে নিজের মধ্যে অনুভব করতে পারবেন এই বিশেষ এবং নতুন অনুভূতিগুলো।

কি করে বুঝবেন আপনি সত্যিকারের প্রেমে পরেছেন- 

১) অনেক কিছু করে ফেলতে পারার অনুভূতি
সত্যিকারের প্রেমে পড়লে এক ধরণের দিগ্বিজয়ী অনুভূতির জন্ম নেয়। যেনো সেই প্রেমটিকে ঘিরে সব কিছু করে ফেলা সম্ভব, সব বাঁধা পার করা সম্ভব। আপনি হয়তো জানতেনই না আপনার মধ্যে এতো স্পৃহা লুকিয়ে আছে।

২) হারিয়ে ফেলার ভয়
প্রেমে পড়লে সঙ্গীকে নিয়ে যে নতুন অনুভূতির সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে হারিয়ে ফেলার বয়। এই ভয়ের কারণেই উদ্ভট অনেক কিছু করে ফেলেন প্রেমিক প্রেমিকারা।

৩) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
আগে হয়তো কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা লাগতো না, কিন্তু প্রেমে পড়ার পর মনের মানুষটির সাধারণ ফোন না ধরার বিষয়টি অনেক বেশি দুশ্চিন্তার জন্ম দেয়, অনুভব করা যায় অনেক বেশি উদ্বেগ।

৪) অনেক বেশি ঈর্ষান্বিত হয়ে যাওয়ার অনুভূতি
প্রেমে না পড়লে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার মধ্যে কতোটা ঈর্ষা বা হিংসা লুকিয়ে রয়েছে। মনের মানুষটি অন্য কারো সাথে হেসে কথা বললেই যেনো এই লুকোনো অনুভূতিতে খোঁচা লেগে যায়।

৫) দ্বিধায় পড়ে যাওয়া
কি করলে ভালো হবে এই জিনিসটি নিয়ে ভাবা বা কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি যে এতোটা কঠিন তা প্রেমে পড়ার আগে টের পাওয়া যায় না একেবারেই। অনেক বেশি দ্বিধার সৃষ্টি হয় মনে।

৬) অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট
ছোটোখাটো বিষয় যা অন্য কেউ করলে যা পাত্তা দেয়ারই কথা নয় সেই ছোটো বিষয়টি মনের মানুষটি করলে কি পরিমাণে কষ্ট পাওয়া যায় তা প্রেমে পড়লেই টের পাওয়া সম্ভব। কারণ প্রেম মনের মধ্যে জন্ম দেয় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক কষ্টের অনুভূতি।

৭) অবহেলার ভয়
সব সময় মনের মধ্যে ভয়ের অনুভূতি পাওয়া যায় প্রেমে পড়লে। অনুভূতি একেবারে অমূলক নয়। কারণ মনে হতে থাকে কখন যেনো মনের মানুষটির কাছ থেকে অবহেলা পাওয়া হয়ে যায়।

৮) অতিরিক্ত কিন্তু সত্যিকারের আশা
প্রেম মনে মধ্যে একধরণের অতিরিক্ত আশার অনুভূতির জন্ম দেয়। আশাটি অতিরিক্ত কিন্তু মিথ্যে কিছু নয়। প্রেমে পড়লে মনের মানুষটির কাছে অতিরিক্ত আশা করাটা আপনাআপনিই এসে যায়।

ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখতে

ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখতে

ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখতে

কিছু বিরক্তিকর অভ্যাস আছে যার কারণে অনেকেরই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে। আর একবার সম্পর্ক নষ্ট হলে সেই সম্পর্ক পুনরায় আগের মত হয়না কখনোই। প্রেমিক-প্রেমিকার সেইসব বিরক্তিকর অভ্যাসগুলো নিয়েই আজকে আমাদের এই লেখা। যে কোন একটি অভ্যাসই আপনার সুন্দর সম্পর্কটিকে ভেঙে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং এই অভ্যাসগুলো পরিহার করার চেষ্টা করুন।

ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখতে-

১/অতিরিক্ত খবরদারী করা
আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা কি করছেন, কি খেলেন কিংবা কথায় যাচ্ছেন তা জিজ্ঞেস করা অবশ্যই আপনার তার প্রতি চিন্তার প্রকাশ করে। কিন্তু এই সামান্য কুশল বিনিময় বিরক্তির পর্যায়ে তখনই পরে যখন আপনি অযথাই তার ওপর খবরদারী করতে যান। এখানে যাবেন না, সেখানে কেন গেলেন, এর সাথে কথা বলবেন না, তার সাথে মিশবেন না এই ধরণের অতিরিক্ত অধিকার খাটিয়ে কথা বলা বিরক্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রেমিক/প্রেমিকাকে বুঝতে হবে কোন আচরণটি আকর্ষণীয় এবং কোনটি বিরক্তিকর। একে অপরকে ভালোবাসার বন্ধনে বাধার চেষ্টা করুন অধিকার খাটিয়ে বিরক্তিকর কোন বন্ধনে নয়।

২/অন্যের সাথে তুলনা করা
আপনার ভালোবাসার মানুষটি যা করেন এবং আপনার জন্য যা করছেন তার তারিফ করা শিখুন। অন্য কারো সাথে তুলনা করে তার মানসিকতাকে আঘাত করবেন না। অমুকের প্রেমিক/প্রেমিকা তার জন্য অনেক কিছু করেছে তুমি কেন করো না বা করতে পারো না এই ধরণের তুলনামূলক কথা কখনোই নিজের প্রেমিক/প্রেমিকার সামনে বলা উচিৎ নয়। অন্য একজনের সাথে তুলনা করা সব চাইতে বড় আঘাত আপনার ভালোবাসার মানুষটির জন্য। এই ধরণের অভাস ত্যাগ করুন।

৩/নিজের প্রাক্তন প্রমিক/প্রেমিকার কথা বলা
অনেকের নিজের বর্তমান ভালোবাসার মানুষটির সামনে কথায় কথায় প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার কথা বলার অভ্যাস আছে। এই অভ্যাসটি আপনার বর্তমান সম্পর্কের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। আপনি আপনার প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার সম্পর্কে ভালো বা খারাপ যাই বলুন না কেন আপনার বর্তমান প্রেমিক/প্রেমিকা তা ভালো চোখে দেখবেন না। এতে করে আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা ভাবতে পারেন আপনার মনে এখনো আপনার প্রাক্তন মানুষটিই আছে। সম্পর্কচ্ছেদ হওয়ার জন্য এই সামান্য চিন্তাই যথেষ্ট। সুতরাং এই অভ্যাসটি দূর করুন।

৪/প্রেমিক/প্রেমিকার প্রাক্তন ভালোবাসার মানুষ সম্পর্কে কথা বলা
অনেক জুটিই এই ভুল কাজটি করে বসেন। বিশেষ করে যখন ঝগড়া হয়। আবার হাসি ঠাট্টার ছলে ভালোবাসার মানুষটির প্রাক্তন প্রেম সম্পর্কে কথা বলেন অনেকে। একে অপরকে প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার কথা বলে খোটা বা খোঁচা দেয়ার এই প্রবণতাও সম্পর্কচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যত রাগই উঠুক কিংবা হাসি ঠাট্টার ছলেই হোক না কেন ভালোবাসার মানুষটির প্রাক্তন প্রেম সম্পর্কে কোন কথা বলবেন না।

৫/কথায় কথায় অতীত টেনে আনা
তুমি এই কাজটি করেছিলে, তুমি ওই কথাটা বলেছিলে এই ধরণের কথাবার্তা আপনার ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনাকে শুধুমাত্রই একজন বিরক্তিকর মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করে। কথায় কথায় অতীত টেনে এনে সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলবেন না। এই ধরণের অভ্যাস দূর করুন, সম্পর্ক ঠিক থাকবে।

৬/কথা না শোনা
ভালোবাসার সম্পর্ক ঠিক রাখতে হলে প্রেমিক এবং প্রেমিকা উভয়কে ভালো শ্রোতা হতে হয়। আপনি আপনার ভালোবাসার মানুষটির কথা শুনলেন না বা শুনতে চাইলেন না এতে করে তিনি ভাবতে পারেন আপনি তাকে এড়িয়ে চলছেন। এই ভাবনাটি সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। প্রেমিক/প্রেমিকার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে করে তিনি নিজেকে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। এবং সেই হিসেবে তিনিও আপনাকে গুরুত্ব দেবেন।

আপনি কি ব্ল্যাকমেইলের শিকার

আপনি কি ব্ল্যাকমেইলের শিকার

আপনি কি ব্ল্যাকমেইলের শিকার

ব্ল্যাকমেইল(Blackmail) কি তা আমরা সবাই জানি। সাদা বাংলায় বলতে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত এমন কোন তথ্য বা চিত্র যদি কারো কাছে থাকে যেটি প্রকাশ পেলে আপনার সামাজিক মান মর্যাদার হানি হবে- এবং সেটি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কেউ যদি আপনাকে ইচ্ছার বিরূদ্ধে কোন কাজ করাতে চায়-তাকেই বলে ব্ল্যাকমেইল।

আইনী বিষয়গুলো বলার আগে পুলিশি অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটা বিষয় শুরুতেই জানিয়ে দিই।

১) আমাদের সমাজে এমন কাউকে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ যার বাইরের রূপের ভেতরেও আরেকটা রূপ নেই। এই রূপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব একটা গৌরবের নয়। আমরা মানুষ, আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে- এই ব্যক্তিগত জীবনে কখনো কখনো আমরা এমন অনেক কিছু করে ফেলি যেগুলো প্রচলিত সামাজিক রীতিবিরূদ্ধ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যায়ের সামিল।

২) বয়েস বা মতিভ্রমের কারণে নিজেদের করা এই কাজগুলো নিয়ে আমরা অনুতপ্ত হই এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভুলগুলো এড়িয়ে জীবনের যাত্রায় নতুন করে সামিল হই।

৩) সমস্যাটা তখনই হয়, যখন অতীতের করা এই ভুলগুলোর সুযোগ নিয়ে কোন নরাধম আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে তছনছ করে দিতে চায়। এটা কখনো কখনো ঘটে অর্থের লোভে, অথবা ঘটে নিতান্তই হিংসা চরিতার্থ করতে।

৪) আমাদের সমাজও হিপোক্রেসিতে পরিপূর্ণঃ অতীতের ভুলের সুযোগ নিয়ে ওই হতভাগ্যকে মাটির তলে পিষে ফেলতে আমরা সবাই মুখিয়ে থাকি।একটা বারের জন্যেও ভাবি না, এরকম ভুল আমি নিজে না করলেও আমারই পরিবারের কেউ করে ফেলতে পারে।

৫) এধরণের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা আমাদের দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অতীতের তথাকথিত ভুলের প্রায়ঃশ্চিত্ত কি নির্মম ভাবেই না করে ওই হতভাগ্য!

এবার কাজের কথায় আসি। আপনি যদি এ ধরণের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হন, নিম্শুনলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুনঃ

ক) শুরুতেই যে কথাটি মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে- আপনি অপরাধী নন, ভিকটিম। ইটস নট ইয়োর ফল্ট। মাথা উঁচু রাখুন। আপনার অতীতকে আপনি পেছনে ফেলে এসেছেন, সেটাকে খুঁচিয়ে বের করে কোন কাপুরুষ বর্বর যদি ফায়দা লুটতে চায় সেটা আপনার দোষ না।

খ) দেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণরূপে আপনার পক্ষে। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৮৩ ধারা অনুযায়ী সাদা বাংলায় বললে, যে কোন ধরণের ব্ল্যাকমেইলকে এক্সটরশন বা চাঁদাবাজির আওতায় ফেলা যাবে, ৩৮৪ ধারা অনুযায়ী এর শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড, সেটি জরিমানা সহ বা ব্যতীরেকে।

আর ইন্টারনেট/ফেসবুকের মাধ্যমে কেউ যদি আপনার ক্ষতি করতে চায় সেক্ষেত্রে নীচের আইনটি দেখুনঃ

ICT (Amendment) Act-2013

According to Section 57 of the ordinance, if any person deliberately publishes any material in electronic form that causes to deteriorate law and order, prejudice the image of the State or person or causes to hurt religious belief the offender will be punished for maximum of 14 years and minimum 7 years imprisonment. It also suggested that the crime is non-bailable.

জ্বি, ঠিক দেখেছেন। ফেসবুকে কেউ আপনার আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করলে সাহস করে মামলা করে দিন, প্রমাণ হলে বাছাধন ন্যুনতম ৭ বছর “রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায়” ফ্রিতে থাকা খাওয়ার “সুবিধা” পাবে। এটা জামিনের অযোগ্য অপরাধ।

গ) যখন বুঝতে পারবেন আপনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন, ভয় না পেয়ে কাছের মানুষজনের সহায়তা নিন। প্রয়োজনে পরিবারকে জানান। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে দ্বিধা করেন। জেনে রাখুন, আপনার চরম দুঃসময়ে আপনার পরিবারই আপনার সবচাইতে বড় ভরসা। তাঁরা হয়তো আপনার অতীতের ভুলের কারণে কষ্ট পাবেন, কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কাটা কেটে গেলে আপনার সাহায্যে তাঁরা এগিয়ে আসবেন এটা মোটামুটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত।

ঘ) শুরুতে যা বলেছি সেটা আবারো বলি, মনের জোর হারাবেন না বা নিজেকে দোষ দেবেন না। ব্ল্যাকমেইলিং একটি জঘন্য অপরাধ, তথাকথিত সমাজ আপনাকে যতই ছোট করতে চাক না কেন আইন অনুযায়ী আপনি সহায়তা পাবেন। সমাজের মুখোশধারী মুরুব্বিদের চোখ-কপালে তোলাকে অগ্রাহ্য করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, আইনের সহায়তা নিন।

রাগ হলে যে ৬ টি কাজ করবেন না

রাগ হলে যে ৬ টি কাজ করবেন না

রাগ হলে যে ৬ টি কাজ করবেন না

অনেক মানুষই আছেন যাদের মেজাজ একটু বেশীই চড়া, রাগ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারেন না। বদমেজাজি হিসেবে বেশ পরিচিত। আবার অনেকে এমনও আছেন যাদের সহসা রাগ উঠে না, কিন্তু একবার উঠে গেলে রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। যে যেমনই রাগী মানুষ হোন না কেন রাগ এমন একটি জিনিস যা নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভালো। কারণ রাগের কারণে মানুষ এমন সব কাজ করে বসেন যার ফলাফল পরবর্তীতে খুব খারাপ হয়ে যায়। এবং এর প্রভাব তার নিজের উপরেও পড়ে। তাই রেগে গেলে কিছু কাজ একেবারেই করবেন না। কারণ আপনার করা কাজগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব আপনার ও আপনার আশেপাশের মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

রাগ হলে যে ৬ টি কাজ করবেন না-

১) রেগে ঘুমুতে যাবেন না

রাগ করে ঘুমাতে যাওয়ার মতো ভুল কাজটি করবেন না একেবারেই। জার্নাল অফ নিউরোসাইন্সের একটি গবেষণায় প্রকাশ পায়, ‘রাগ করে ঘুমাতে গেলে এই নেতিবাচক বিষয়টি একেবারে গেঁথে যায়, যা পরবর্তীতে আরও বড় আকার ধারণ করতে পারে’। তাই রাগ উঠলে রাগ কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

২) গাড়ি চালাবেন না

রাগ উঠলে আমাদের সেন্স কাজ করা একেবারেই বন্ধ করে দেয়। আর এই সময় গাড়ি চালানোর মতো কাজটি আপনার এবং অন্যান্য মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

৩) রাগ ঝাড়বেন না তখনই

অনেকেই রাগ উঠার সাথে সাথে আশেপাশের জিনিস বা মানুষের উপর রাগ ঝেড়ে ফেলেন। কিন্তু জার্নাল সাইবারসাইকোলজি, বিহেভিয়ার অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের একটি গবেষণায় দেখা যায় তাৎক্ষণিক ভাবে রাগ ঝাড়ার বিষয়টি রাগের মাত্রা আরও বাড়ায় দিনকে দিন। কমায় না। রাগ না ঝেড়ে নিজের মন থেকে তা নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করুন।

৪) রাগের সময় খাবেন না

অনেকেই আছেন রাগ উঠলে খাবার খেয়ে কমানোর চেষ্টা করেন। এতে দুটি বিষয় ঘটে প্রথমত রাগের সময় যা খাচ্ছেন সবই অস্বাস্থ্যকর খাদ্য যা আপনার দেহের ক্ষতি করছে এবং দ্বিতীয়ত, রাগের কারণে দ্রুত এবং আধ চিবানো খাবার গিলে আপনি নিজেই বিপদে পড়তে পারেন। সুতরাং রাগের সময় খাবার থেকে দূরে থাকুন।

৫) তর্ক চালিয়ে যাবেন না

রাগের মাথায় কখনোই তর্ক চালিয়ে যাবেন না। কারণ এতে আপনার রাগ আরও বাড়তে থাকবে এবং আপনি এমন কোনো কথা হয়তো বলে ফেলতে পারেন সামনের মানুষটিকে যা তাকে গুরুতর আঘাত করতে পারে।

৬) নিজের ক্ষতি করবেন না

এমন অনেকেই আছেন যারা রাগ উঠলে নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করেন, অর্থাৎ ঘুমের ঔষধ খাওয়া, হাত পা কাটা ইত্যাদি ধরণের কাজ করেন। এই কাজগুলো কখনোই করবেন না। এসব কাজ করে কোনো ভাবেই আপনার রাগ কমবে না বরং আপনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটবে।

যে দুঃসময়ে নিজের ভেতরের লুকোনো শক্তি প্রকাশ পায়

যে দুঃসময়ে নিজের ভেতরের লুকোনো শক্তি প্রকাশ পায়

জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মানুষ নিজের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আসল স্বত্বার পরিচয় পেয়ে যান। কিছু দুঃসময়ে নিজেকে অনেক দুর্বল ভাবতে থাকা মানুষের মধ্যেও অজানা একধরণের প্রবল শক্তির আবির্ভাব ঘটে। মানুষ যখন অনেক বেশি দুঃসময়ে থাকেন তখন সে সময়টাকে পার করার জন্য নিজের ভেতরের ‘আসল আমি’টার খোঁজ পাওয়া যায় যা সম্পর্কে হয়তো তিনি নিজেই জানতেন না। এবং এরপর থেকেই অনেকের জীবন এবং চিন্তা ধারা বদলে যায় পুরোপুরি।

যে দুঃসময়ে নিজের ভেতরের লুকোনো শক্তি প্রকাশ পায়

১) যখন খুব আপনজন জীবন থেকে চলে যান

মৃত্যু এমন একটি বিষয় যা খুবই স্বাভাবিক কিন্তু তারপরও আমরা মেনে নিতে পারি না অনেকটা দিন। কিন্তু মৃত্যুর পর যাকে ছাড়া একটি মুহূর্ত ভাবতে পারতেন না তাকে ছাড়াই বাকি জীবনটা চলতে হয় নিজের মনের ভেতরের শক্তিটাকে কাজে লাগিয়ে। একজন মানুষ সরে গেলে তাকে এই সান্ত্বনা দিয়ে ভুলে থাকা যায় যে সে জীবিত আছে ভালো আছে। কিন্তু যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তাকে বাকি জীবনের জন্য কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণা ভুলে থাকার জন্যই এক ধরণের লুকোনো মানসিক শক্তি অনুভব করতে পারবেন আপনি।

২) যখন হুট করেই বিপদ নেমে আসে

বিপদ বলে কয়ে আসে না। আর বিপদে পড়লে মানুষের স্বাভাবিক কাজ হচ্ছে মুষড়ে পড়া। কিন্তু মারাত্মক অসুখ বিসুখ ধরণের বিপদ যখন নেমে আসে তখন মানুষ তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের ভেতরের শক্তিটাকেই বেশি কাজে লাগান। মৃত্যুভয় এবং বেঁচে থাকার আগ্রহের কারণে মনের ভেতরে একধরণের অপার্থিব শক্তি এসে ভর করে। আর সে কারণে অনেকেই বলেন মনের জোরে অনেক কিছু করা সম্ভব।

৩) যখন আপনি নিজেকে একেবারে একা পাবেন

বিপদে পড়লে হাতে গোনা গুটিকয়েক শুভাকাঙ্ক্ষী বাদে কাওকে পাওয়া যায় না। আর তখনই নিজেকে অনেক বেশি একা মনে হতে থাকে। কিন্তু এই একাকীত্বের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই একাকীত্বের কারণেই নিজের ভেতরের লুকোনো শক্তিটার খোঁজ পাওয়া যায়। নিজেকে এই একাকীত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই জন্ম এই ভীষণ শক্তিশালী সত্ত্বাটির।

৪) যখন নিজের খুব কাঙ্ক্ষিত একটি আশা ধূলিসাৎ হয়ে যায়

অনেক সময় এমন মনে হয় যে কিছু জিনিস আছে যা না হলে জীবন যাপন করা কষ্টের হয়ে যাবে, জীবনের আশা হারিয়ে যাবে এবং জীবনটাই অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এমন বিষয়গুলোতে আশাহত হওয়ার পরও মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখেন। আর এই নতুন স্বপ্ন দেখার স্পৃহা আসে মানুষের ভেতরের লুকোনো শক্তি থেকে যা হয়তো আপনি জানেনই না আপনার ভেতরে রয়েছে।

Back to Top
Product has been added to your cart