Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed
জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য

জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য

জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য

জীবন সম্পর্কে একটু গভীরভাবে ভাবি আমরা কতজন সারাটা দিন ঝগড়াঝাঁটি, গীবত, অহংকার ইত্যাদি কতশত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি আমরা। কী কী বলল, কী কী করল ইত্যাদি নিয়ে আমাদের ভাবনার শেষ নেই। কিন্তু আসলেই কি জীবন মানে কেবল এটুকুই জেনে নিন জীবনের সবচাইতে কঠোর ৫টি সত্য। যদি যেগুলো একবার মন থেকে মেনে নিতে পারেন, জীবনকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে যাবে আপনার।

১)নিজের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হয়

হ্যাঁ, যতই আপনার অঙ্কে আপন মানুষ থাকুক না কেন, সমস্যার সময়ে আসলে কাউকেই পাওয়া যায় না। শুধু আপনি নন, এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষকেই নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করতে হয়। আর তাই, কাজ করুন ভেবেচিন্তে। মনে রাখবেন, নিজে ঝামেলা তৈরি করলে ফেঁসে যাবেন কেবল আপনি একাই।

২) জীবন “পারফেক্ট” হওয়া সম্ভব না

একটা পারফেক্ট জীবনের স্বপ্ন সবাই দেখি। কিন্তু আসলে কেউই ভেবে দেখি না যে জীবনের সবকিছু শতভাগ নিজের মনের মত হওয়া আসলে মোটামুটি অসম্ভব একটি ব্যাপার। পৃথিবীর সবচাইতে সফল, সবচাইতে ধনী ব্যক্তিটিও নিজের জীবনকে পারফেক্ট বলতে পারবেন না। কেন কারণ মানুষের আর চাহিদার শেষ নেই আর এই অন্তহীন চাহিদা মানুষের মনে অতৃপ্তি আজীবন ধরে রাখে।

৩) ব্যর্থতা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়

ব্যর্থ হয়েছেন বলে লজ্জিত হবার কিছু নেই। আপনার জীবনে এখানেই শেষ, আপনাকে দিয়ে কিছু হবে না ইত্যাদি ভাবারও কোন কারণ নেই। সফলতার চাইতে বরং ব্যর্থতাই জীবনে বেশী আসে আর সেটাই স্বাভাবিক। ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লে জীবনে কিছু হয় না।

৪) যা হয়ে গেছে, সেটাকে বদলে ফেলার উপায় নেই

অতীতকে বদলে ফেলা যায় না। যেটা করে ফেলেছেন, যা বলে ফেলেছেন সেগুলো আসলে বদলে ফেলার কোন সুযোগ নেই। আর কখনো হবেও না। তাই কথা বলুন বুঝে, কাজ করুন ঠাণ্ডা মাথায়। জীবনের অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

৫) মৃত্যু আসতে পারে যে কোন মুহূর্তে

জীবনের সবচাইতে বড় সত্য এটাই। এই যে এখন এই লেখাটি পড়ছেন আপনি, ঠিক পরের মুহূর্তেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবনে। মৃত্যুকে জয় করার ক্ষমতা আমাদের নেই, মৃত্যুর সামনে আমরা সকলেই অসহায়। যে জীবনকে আসলে ধরেই রাখতে পারবো না, সেই জীবনে এত স্বার্থপরতা আর ক্ষুদ্রতা দেখিয়ে কী লাভ বলুন

আফসোসকে না বলে দিন

আফসোসকে না বলে দিন

আফসোসকে না বলে দিন

ভালোর প্রতি তীব্র টান থাকে সবার। সব ভালোর মালিক হিসেবে নিজেকে দেখার প্রয়াসে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকে সবাই। নিজের কাঙ্ক্ষিত অবস্থান, অর্জন বা সফলতা চাওয়া পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে আফসোসের আর সীমা থাকে না।

আফসোস মানুষকে নতুন কোনো সৃষ্টিশীল কাজ করতে দেয় না। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে দুদিক থেকে, এক- কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে না পৌঁছনো, দুই- নতুন মৌলিক কাজে বাধা। তাই আমাদের দুঃখকে ভুলে নতুনের প্রত্যাশায় কিছু বিষয়ে একেবারেই আফসোস করা উচিৎ নয়।

ধন-সম্পদ

অর্থ ছাড়া দুনিয়া অচল- কথাটি সবাই অনুধাবন করে। তাই বলে অন্যের মতো আপনারও অঢেল ধন-সম্পদ থাকতে হবে তার কোনো মানে নেই। এসব ভেবে আফসোস করা মানে নিতান্তই পাগলামি করা। তার চেয়ে সৃষ্টিশীল চিন্তা করুন, নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ভাবুন।

নিজের অবস্থান

পরিবার যেমনই হোক, সেটার জন্য জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। এটা ভেবে সুখী হন যে আপনি অনাথ নন, আপনার জীবন কোন অনাথালয়ে কাটেনি। নামী-দামি পরিবারে জন্ম হয়নি বলে অযথা আফেসোস না করে কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে তুলুন। তাতে আপনি সম্মানের জায়গায় পৌঁছে যাবেন।

বাহ্যিক সৌন্দর্য

মানুষের দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে অনেকেরই চরম মাথাব্যথা আছে। কারো কাছে কটু কথাও শুনতে হয়। আর তখনই মনটা ছোট হয়ে যায়। শুরু হয় আফসোস। কিন্তু ভেবে দেখুন, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যত্ন করেই সৃষ্টি করেছেন। হয়তো আপনার গায়ের রং বা উচ্চতা নিয়ে ভাবছেন। অথচ কতজন শারীরিক প্রতিবন্ধী আছেন। তাদের কষ্টের কথা একবার ভাবুন। তাই নিজের সৌন্দর্য নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

প্রিয়জনের বিয়োগ

নশ্বর এই জীবনে মৃত্যু আপনাকে গ্রাস করবেই। এই সত্যকে ধারন করে প্রিয়জনের বিয়োগেও নিজেকে শক্ত হওয়া উচিৎ। তার মৃত্যু নিয়ে আফসোস বাড়িয়ে লাভ নেই। বরং সৃষ্টিকর্তার কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করুন। নিজের অন্য আপনজনদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবেন না। যারা এখনো আপনার চারপাশে  আছেন, তাদের সঙ্গে বেঁচে থাকুন।

দুঃখ-কষ্টে

জীবনে চলার পথে নানা রকম ঝড়-ঝাপটা আসবেই। সেই দুঃখ কষ্ট নিয়ে আফসোস না করে সেগুলোর মোকাবেলা করুন। আফসোস করলে কোনো সমাধান বের হবে না। তাহলে দেখবেন আর কোনো কষ্টই আপনাকে ছুঁয়ে যাবে না। আপনি হবেন সবচেয়ে সুখী মানুষ।

মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন

মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন

মানসিক চাপ কমাতে যা করবেন

প্রতিদিন নানান সমস্যায় আমাদের মনটা বিষণ্ণ হয়ে থাকে। অফিসের ঝামেলা, সাংসারিক ঝামেলা, নানান রকমের অশান্তিতে আমাদের জীবন হয়ে যায় অশান্তির। দিন শেষে তাই অস্থিরতা নিয়ে ঘুমাতে যেতে হয় কমবেশি সবারই। মানসিক এই চাপ কমানোর আছে কিছু অসাধারণ উপায়। জেনে নিন উপায়গুলো।

রূপকথার গল্প পড়ুন বা সিনেমা দেখুন
মানসিক চাপ কমানোর জন্য ছোটবেলার মতো রূপকথার গল্প পড়তে শুরু করুন। ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে আছে যখন রূপকথার মতো সুন্দর মনে হতো জীবনটাকে রূপকথার গল্প পড়লে বা সিনেমা দেখলে আপনার কাছে জীবনটাকে অনেকটাই সহজ মনে হবে। জীবনের নেতিবাচক দিকগুলোর চাইতে ইতিবাচক দিকগুলো বেশি চোখে পড়বে আপনার।

খেলনা দিয়ে খেলুন
মানসিক চাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে খেলনা দিয়ে খেলুন। অথবা ভিডিও গেমস খেলতে পারেন। রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি অথবা হেলিকপ্টার কিনুন। কিংবা বারবি পুতুলের ঘর কিনে ফেলতে পারেন। কিংবা কম্পিউটার বা প্লে স্টেশন কিনে খেলুন। অবসরে এসব শিশুতোষ খেলাধুলা করলে আপনার মনটা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। আনন্দে ভরে যাবে আপনার মন।

রিলাক্সিং মিউজিক শুনুন
ইউটিউবে কিংবা সাউন্ড ক্লাউডে নানান রকমের রিলাক্সিং মিউজিক পাওয়া যায়। আপনার পছন্দমতো এরকম কোনো মিউজিক ছেড়ে রুমের লাইট নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিন। এতে আপনার মনটা অনেকটাই শিথিল হবে। মানসিক অস্থিরতা কমে যাবে অনেকটাই।

মন ভরে খাওয়া দাওয়া করুন
নিজেকে মন ভরে খাওয়ান। নিজের পছন্দের খাবারগুলো খান। প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকলে ডায়েটিং করবেন না। ডায়েটিং না করে নিজের পছন্দের খাবারগুলো খেয়ে নিন। এতে আপনার মন ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাবেন অনেকটাই।

নিজেকে উপহার দিন
নিজেকে মাঝে মাঝে উপহার দেয়ার অভ্যাস করুন। কেবল অন্যের খুশির কথা না ভেবে নিজের খুশিকেও প্রাধান্য নিন। আপনি যে জিনিসগুলো পছন্দ করেন সেগুলো নিজের জন্য কিনুন। নিজেকে নিজের পছন্দের স্থানে বেড়াতে নিয়ে যান। পছন্দের বই কিনে পড়ুন। সব মিলিয়ে নিজেই নিজের সবচাইতে ভালো বন্ধু হয়ে যান। এতে আপনার মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। সেই সঙ্গে নিজের সঙ্গে নিজের কাটানো আনন্দময় সময়গুলো আপনার আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দিবে অনেকখানি।

সহকর্মীর সঙ্গে মনমালিন্য হলে

সহকর্মীর সঙ্গে মনমালিন্য হলে

সহকর্মীর সঙ্গে মনমালিন্য হলে

কর্মক্ষেত্রে কখনও বা কাজের ফাঁকে, টুকটাক ইয়ার্কি, হাসি-ঠাট্টা চলে। অনেকসময়, এই ধরনের মজা, হাসি, ঠাট্টা নিয়েও সহকর্মীদের মধ্যে মনমালিন্য হয়ে থাকে। তখন, একরাশ তিক্ততা, নেগেটিভ ইমোশন ভিড় করে আসে মনের মধ্যে।

সহকর্মীর সঙ্গে মনমালিন্য হলে এমন অবস্থায় কী করবেন ভেবেছেন

এইসমস্ত ক্ষেত্রে, পজিটিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে ব্যাপারটা সামলানোর চেষ্টা করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে যতই মনোমালিন্য হোক না কেন, কখনও নিজের সংযম হারাবেন না, রাগের মাথায় কিছু বলে ফেলবেন না। কারণ, রাগের মাথায় আমরা এমন কিছু করে বা বলে ফেলি যা নিয়ে পরে অনুতাপ করতে হয়।

অফিস কোলিগরা তো আমাদের পরিবারের সদস্যর মতো। দিনের বেশিরভাগ সময় যাদের সঙ্গে থাকতে হয় তাঁদের সঙ্গে যতই মনোমালিন্য হোক না কেন, মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। একসঙ্গে কাজ করতে গেলে, সহকর্মীদের সঙ্গে টুকটাক অশান্তি লেগে থাকবে। কিন্তু, তার জের টেনে কোলিগের পিছনে তার সমালোচনা করা, তাঁর নামে বসের কাছে নালিশ করা ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছু নয়।

সবসময় চেষ্টা করুন, ঠাণ্ডা মাথায়, যুক্তি দিয়ে সিধান্তে পৌঁছতে। আর মনোমালিন্য হলে, সরাসরি কথা বলে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সমস্যা মিটে গেলে সেখানেই সেই বাপার শেষ করুন।

প্রেমের বিয়ের চাইতে পারিবারিক বিয়ে যে ৪ টি কারণে ভালো হয়

প্রেমের বিয়ের চাইতে পারিবারিক বিয়ে যে ৪ টি কারণে ভালো হয়

প্রেমের বিয়ের চাইতে পারিবারিক বিয়ে যে ৪ টি কারণে ভালো হয়

প্রেমের বিয়ে ভালো নাকি পারিবারিক বিয়ে তা নিয়ে অনেকেরই দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। অনেকের মতে প্রেমের বিয়ে অনেক ভালো কারণ দুজনের মধ্যে ভালোবাসা থাকে, যা সবকিছু সঠিক করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তা শুধুমাত্র দুজন মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না এবং শুধুই ভালোবাসা এখানে কাজ করে না। বিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে বন্ধন তৈরি করে এবং বিয়ের সম্পর্কের সফলতা শুধু ভালোবাসা নয় পারস্পারিক সমঝোতা, মানিয়ে নেয়ার মনোভাব, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান এই সবকিছুর উপরে নির্ভর করে। আর এইসকল দিক বিবেচনা করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমের বিয়েকে অনেকে সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করেন না। অনেকের মতে পারিবারিক বিয়েই সবদিক থেকে ভালো। যদি আপনারও মনে দ্বিধা থেকে থাকে তাহলে চলুন না জেনে নেয়া যাক কোন কারণে প্রেমের বিয়ের চাইতে পারিবারিক বিয়েই ভালো।

১) সামাজিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে পারিবারিক বিয়ে
যখন পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তখন দুই পরিবারের মানুষজন শুধু পাত্র বা পাত্রী দেখেন না। পুরো পরিবার এবং পারিবারিক সকল কিছু দেখেই বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এতে করে দুই পরিবারের জীবনযাপনের মান, একইভাবে বেড়ে উঠা পারিবারিক জীবনচর্চা, পারিবারিক স্ট্যাটাস, মূল্যবোধ এবং সংস্কার ও সংস্কৃতির অনেক মিল থাকে। ফলে পাত্র-পাত্রী এবং দুটি পরিবারের একেঅপরের সাথে মানিয়ে নিতে খুব বেশি কষ্ট হয় না। সম্পর্ক গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় প্রেমের বিয়ের চাইতেও।

২) পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বেশি থাকে
যখন দুটি পরিবার মিলে একটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবেই পাত্র-পাত্রী একেঅপরের প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন। কারণ এখানে শুধু দুজনের মান সম্মান নয় দুটি পরিবারের মান সম্মান জড়িত থাকে। অনেক প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখা গেলেও যখন পারিবারিক নানা অসামঞ্জস্য সামনে পড়ে তখন দুজনের মনোমালিন্য অনেকাংশেই দুজনের সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দেয় ও সম্পর্কে চির ধরতে থাকে।

৩) পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয় পারিবারিক বিয়েতে
পরিবারের সম্মতি এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে পরিবারের সদস্যগণ খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের নতুন সদস্যকে মেনে নেন এবং মানিয়ে নিতে সাহায্যও করেন। এতে সকলের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে। প্রেমের বিয়েতে মেনে নিলেও সম্মতি দেয়ার পরও ঝামেলা কোনো না কোনোভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে। যদিও সকলে একইরকম ভাবেন না তারপরও কিছু সমস্যা থেকে যায়।

৪) পারস্পারিক সমঝোতা ও ছাড় দেয়ার মনোভাব বেশি থাকে
প্রেমের বিয়েতে একে অপরের প্রতি অনেক সময় আশা ভরসা বেশি থাকে যা পূরণ না হলে অনেক সময় মান অভিমান পর্ব অনেকটা দূর গড়ায়। অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা ভাবেন প্রেম করার পরও সে কেন তার সমস্যা বুঝতে পারছে না বা এখনো এতো ছাড় কেন দিতে হবে। আর এতেই সমস্যা শুরু হয়। কিন্তু পারিবারিক বিয়েতে এই আশা জিনিসটি একটু কমই থাকে, বরং যা পাওয়া হচ্ছে তা নিয়েই অনেকে সুখে থাকার জন্য ছাড় দিয়ে চলেন এবং দুজনের মধ্যে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা বেশি দেখা যায়। এতে সম্পর্ক সুখের হয়।

বিষণ্ণতা সম্পর্কে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিষণ্ণতা সম্পর্কে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিষণ্ণতা সম্পর্কে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আমাদের দেশে শারীরিক সমস্যার সঠিক চিকিৎসাও করা হয় না অনেক সময়েই। শারীরিক সমস্যা একেবারে শেষ পর্যায়ে না গেলে অনেকেই চিকিৎসা করার উদ্যোগ নেন না। সুতরাং মানসিক রোগের চিকিৎসার প্রশ্ন অনেক পরেই আসে। বিষণ্ণতাকে কেউই গুরুত্বের সাথে নেন না।

অনেকেই মনে করেন সাধারণ মন খারাপের অনুভূতিটাই বিষণ্ণতা। সত্যিকার অর্থে বিষণ্ণতাকে আমরা যতোটা সহজ ভেবে থাকি বিষণ্ণতা ঠিক ততোটা সহজ কোনো সমস্যা নয়। বিষণ্ণতা রোগটির সম্পর্কে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যার সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারনাই নেই। আর এ কারণেই অনেক সময় ভুল পদক্ষেপ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত রোগীকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিয়ে থাকে। সুতরাং সতর্ক হোন এবং জানুন বিষণ্ণতা রোগ সম্পর্কে।

বিষণ্ণতা সম্পর্কে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য –

১.বিষণ্ণতা শুধুমাত্র মন খারাপ হওয়া বা খারাপ লাগার অনুভূতি নয়। বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তি মন খারাপের চাইতেও বেশি অনুভব করেন হতাশা, দুশ্চিন্তা, রাগ, নিজের মতো মূল্য না খুঁজে পাওয়া, জীবনের অর্থ না পাওয়া ইত্যাদি যা অনেক সময় আত্মহত্যার ইচ্ছায় পরিণত হয়। আর এই ধরণের সমস্যায় বিশ্বের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ভুগে থাকেন।

২.বিষণ্ণতা শুধুমাত্র মানসিক দিক দিয়েই প্রকাশ পায় না, বিষণ্ণতার লক্ষণ প্রকাশ পায় শারীরিক দিক দিয়েও। বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষেরা অনেক বেশি দুর্বলতা, সারাক্ষণ ক্লান্ত থাকা, দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা, মাথাব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন।

৩.কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, সবকিছু ভুলে যাওয়ার সমস্যা, সবসময় বিরক্ত থাকা, সবসময় ক্ষুধা লেগে থাকা বা একেবারেই খেতে না পারা, সব ব্যাপারে নেতিবাচক চিন্তা করা, সাধারণ কাজেকর্মে একেবারেই আগ্রহ না থাকা ইত্যাদি বিষণ্ণতা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ।

৪.যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যেই এই বিষণ্ণতা রোগ দেখা দিতে পারে। বয়স কম বলে তার বিষণ্ণতার সমস্যা হতে পারবে না এমন কোনো কথা নেই।

৫.বিষণ্ণতা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলে সাইকোলজিস্টের পরামর্শে তা নিরাময় যোগ্য কিন্তু মাঝারি থেকে মারাত্মক বিষণ্ণতার সমস্যায় অবশ্যই তাকে সঠিক চিকিৎসার মধ্য দিয়ে নিরাময় করতে হবে।

৬.অনেকে মনে করেন বিষণ্ণতা সমস্যা তেমন কোনো সমস্যাই নয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই বিষণ্ণতা নিয়ে জীবন কাটানো অনেক বেশি কষ্টের যা অন্যেরা বুঝতে পারবেন না। সাধারণ একটি বিষয় চিন্তা করুন, ‘কতোটা হতাশা আপনাকে ঘিরে ধরলে আপনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন’।

৭.বিষণ্ণতা মারাত্মক পর্যায়ে চলে গেলে তা মস্তিষ্কের বড় ধরণের ক্ষতি করে যার ফলে মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মানসিক রোগের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয় এই বিষণ্ণতাকে।

৮.খুব সামান্য বিষয়ও অনেক গভীরভাবে আঘাত করতে পারে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষকে। কারণ বিষণ্ণতা রোগটি মানুষের আবেগের সাথে জড়িত থাকে। আপনার বলা সামান্য কথাতেই হয়তো তিনি নিয়ে ফেলতে পারেন কঠিন কোনো সিদ্ধান্ত।

Back to Top
Product has been added to your cart