Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed
ব্যক্তিত্ববান পুরুষের ১৫টি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য

ব্যক্তিত্ববান পুরুষের ১৫টি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য

ব্যক্তিত্ববান পুরুষের ১৫টি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য

একজন পুরুষের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নারীদের তীব্র ভাবে আকর্ষণ করে থাকে। পুরুষের চেহারা কিংবা অর্থের চাইতেও নারীকে বহুগুণে বেশী আকর্ষণ করে পুরুষের ব্যক্তিত্ব। নারী মনে মনে বিশ্বাস করে যে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ কখনোই তাঁকে আঘাত করবেন না, বাজে ব্যবহার করবেন না এবং এমন পুরুষের সাথে তিনি নিরাপদ থাকবেন। নারীর চোখে একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষের আবেদন যতখানি বেশী, তেমন আর কারোরই নেই। জানতে চান, কোন ১৫টি বৈশিষ্ট্য একজন পুরুষকে নারীর চোখে ব্যক্তিত্ববান করে তোলে

১। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ সবসময় নারীদের সম্মান দিয়ে কথা বলে। আর যারা সম্মান দিতে জানেনা, তাদেরকে পুরুষ হিসেবেই গণ্য করেন না নারীরা।

২। ব্যক্তিত্ববান পুরুষেরা সবসময় ঈর্ষা বাদ দিয়ে অন্যকে সহযোগিতা করতে পছন্দ করেন। এবং নারীদের চোখে এটি খুব ভালো একটি গুণ।

৩। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ হবে ধৈর্যশীল ও হাসিখুশি। সমাজে দশ জনের সামনে অত্যন্ত মার্জিত হবে তার ব্যবহার।

৪। আজও আমাদের সমাজে একজন পুরুষ তার পরিবারের প্রধান সিদ্ধান্তদাতা। ভালো মন্দ সব কিছুই তিনি দেখাশোনা করেন। তার কাঁধে দায়িত্ব থাকে পরিবারের সকলকে সুখী রাখা। এবং এই কাজ নিষ্ঠার সাথে যারা করতে পারেন, নারীর চোখে তারাই ব্যক্তিত্ববান পুরুষ।

৫। একজন নারী যার ওপরে চোখ বুজে নির্ভর করতে পারেন, নারীর কাছে তিনিই ব্যক্তিত্ববান। নারী সবসময় ভরসার স্থান খোঁজেন।

৬। কেবল মানসিক ভাবে নয়, শারীরিক আঘাত বা লাঞ্ছনা থেকেও যে পুরুষটি নিরাপত্তা দিতে পারেন, প্রেমিকা বা স্ত্রীর চোখে তিনি রীতিমত সুপারম্যান।

৭। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ জানেন নিজেকে সামলে নিতে। জীবনের কোন ঝড় ঝাপটাই তাঁকে টলাতে পারেন না। প্রচণ্ড ঝগড়ার পরিস্থিতিতেও নিজের ওপরে নিয়ন্ত্রণ হারান না তিনি।

৮। তাঁকে কিছুই বোঝাতে হয় না, তিনি নিজের মত বুঝে নেন প্রিয় নারী ও পরিবারের মনের খবর। নিজের আগ্রহেই খেয়াল রাখেন চাওয়া-পাওয়ার।

৯। তিনি সঙ্গিনীকে কেবল নারী হিসাবেই দেখেন না, নিজের একজন ভালো বন্ধু ভাবেন ও সুখ-দুঃখ-কষ্টের কথা বিনিময় করেন।

১০। মানুষের ভুল হতেই পারে। কিন্তু নিজের ভুল সঙ্গিনীর ওপরে চাপিয়ে না দিয়ে শুধরে নিতে জানেন তিনি।

১১। তিনি কাউকে নিয়ে নোংরা উপহাস করেন না, আগ বাড়িয়ে গায়ে পড়ে কারো সাথে আলাপ করতে জান না।

১২। এমন পুরুষেরা যখন নিজের ভালোবাসার মেয়েটিকে পেয়ে যান, নিজের জীবনের কেন্দ্র বিন্দুতে তাকেই রাখেন এবং একসাথে সুন্দর জীবন গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেন। একজন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ অবশ্যই নিজের সন্তানদের প্রতি যত্নশীল।

১৩। তারা কখনোই খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন না। মেয়েদের সামনে তো মোটেও না।

১৪। তিনি অযথা কারো সাথে ফ্লারট করেন না, কোন মেয়েকে উত্যক্ত করার তো প্রশ্নই আসে না। প্রেম করার জন্য ডেস্পারেট আচরণ করেন না মোটেও।

১৫। নিজের পরিবার ও সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু। সন্তানদের চোখে তিনি আদর্শ পিতা

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

রাগ এমন একটি আবেগ যা মানুষ খুব কমই নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। রাগের মাথায় অনেক অকাজ করে ফেলতে দেখা যায় অনেককেই। হুট করে রেগে যাওয়া ব্যক্তির চাইতে অবশ্য ঠাণ্ডা মানুষের রাগের মাত্রা বেশি হয়। কিন্তু রাগ মূলত ক্ষতিকর একটি আবেগ যা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে অনেকেই অনেক বাজে কাজ করে বসেন যার কারণে হয়তো পরবর্তীতে আফসোস করতে হয় নতুবা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু কীভাবে নিয়ে আসবেন নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে চলুন জেনে নেয়া যাক রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার দারুণ কিছু টিপস।

১) সাথে সাথে গান শোনা শুরু করুন

গান সোনার বিষয়টি রাগ কমিয়ে আনার সবচাইতে ভালো একটি উপায়। মিউজিক এমন একটি জিনিস যা আমাদের মস্তিষ্ককে রিলাক্স করার ক্ষমতা রাখে এবং সেই সাথে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার কাজটি করে। যার ফলে রাগটি আপনাআপনিই কমে যেতে শুরু করে। পারলে গানের তালে একটু হাত পাও ছুঁড়ে নিতে পারেন। এতে আরও দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।

২) অন্ধকার কোনো ঘরে চলে যান

ব্যাপারটি অনেক হাস্যকর মনে হলেও এটি বেশ ভালো একটি উপায় রাগ কমানোর। গবেষণায় দেখা যায় যখন কারো রাগ উঠতে থাকে তখন আশেপাশের সবকিছুর উপরে রাগ উঠে এবং ছুঁড়ে ও ভেঙে ফেলার প্রবণতা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনার এটিই সবচাইতে ভালো একটি পদ্ধতি। অন্ধকার ঘরে বসে নিজের রাগ নিয়ে একটি চিন্তা করার সময়ও পাওয়া যায়।

৩) নিজের অনুভূতি লিখুন

মানুষ যা মুখে বলে প্রকাশ করতে পারেন না বা মুখে বলে প্রকাশ করা উচিত নয় তা ভেতরে জমে থাকলে তা আরও বেশি ক্ষতিকর। তাই নিজের রাগের অনুভূতি প্রকাশ করে ফেলুন খাতায় লিখে। নিজের জন্য একটি ডায়েরির ব্যবস্থা করুন। এবং রাগ উঠলেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে দিন লিখে। এতে রাগ দ্রুত কমে।

৪) রাগ কমানোর ব্যায়াম

রাগ কমানোর দারুণ একটি শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম রয়েছে। যখনই রাগ উঠবে এই ব্যায়ামটি করুন। খুব গভীরভাবে শ্বাস নিন। ধরে রাখুন ৫-৭ সেকেন্ড তারপর শ্বাস ছাড়ুন এবং আবার শ্বাস নিয়ে ধরে রাখুন। এভাবে ব্যায়ামটি করতে থাকুন যতক্ষণ না আপনি নিজে শান্ত হচ্ছেন। এটি বেশ ভালো একটি ব্যায়াম রাগ কমিয়ে আনার।

নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলার ৯ টি অভ্যাস

নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলার ৯ টি অভ্যাস

নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলার ৯ টি অভ্যাস

অনেক সময়েই দেখা যায় পরিকল্পনা করা থাকলেও সে অনুযায়ী কাজ করা হয়ে উঠে না। সময় বের করা এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য অনেক কিছুর কারণেই সেটি হয় না। এতে করে পিছিয়ে যায় জীবন। একের পর এক জমতে থাকে কাজ, কিন্তু কাজগুলো করে শেষ করা হয় না। কিন্তু একটু স্মার্টলি পরিকল্পনা করতে জানলে অল্প পরিশ্রমেই ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। তাই নিজেকে আরও কর্মঠ করে তোলার ক্ষেত্রে একটু স্মার্ট চিন্তা করা উচিত। সবদিক বিবেচনা করা, সময় নির্ধারণ করা, সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং নিয়মকানুন মেনে চলার মতো সকল দিক সঠিকভাবে সম্পাদন করে ভালো ফলাফল পাওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত সকলের। এতে করে সফলতা ও উন্নতি অনেক দ্রুত পাওয়া সম্ভব। শুধুমাত্র নিজের একটু বুদ্ধি কাজে লাগানো এবং তা অভ্যাসে পরিণত করার মাধ্যমেই নিজেকে আরও একটু কর্মঠ ও কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব।

১) কোথায় কতোটুকু চেষ্টা করলে কাজটি সঠিকভাবে করা সম্ভব তা বোঝার চেষ্টা করুন

প্রায় বেশীরভাগ মানুষের মতে মাত্র ২০% চেষ্টাতেই ৮০% ফলাফল লাভ করা সম্ভব। তাহলে কোন ২০% চেষ্টা আমাদের কাছে সবচাইতে বেশি মূল্যবান যখন আমরা সেই মাত্র ২০% চেষ্টার অংশটুকু বুঝে ফেলতে পারবো তখনই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের বল আসলে কোথায় প্রয়োগ করা উচিত। আর এতে করা আমরা বেশ সহজেই নিজের লক্ষ্যের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারি বেশ কম সময়ে কিন্তু সঠিক কাজে।

২) স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য সীমিত করুন

যখন ভবিষ্যতের কথা এবং একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে আগাবেন তখন বড় একটি লক্ষ্য নেয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করলে লক্ষ্যটি সীমিত রাখুন। আপনি বড় একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করলে তা স্বল্প সময়ে হয়তো করে উঠা সম্ভব হবে না, এতে করে আপনার পরিকল্পনাই ভেস্তে যাবে। মনে রাখবেন একদিন সব করা সম্ভব নয়। ছোটো ছোটো লক্ষ্য পূরণ করেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাকে সফল করা সম্ভব।

৩) নিজের অ্যাক্টিভিটি সাইকেল মেনে কাজ করুন

আপনার দেহ একটি সাইকেলে চলে। পুরোদিন বসে কাজ করলেই কাজটি ঠিকভাবে হবে এমন কোনো কথা নেই। গবেষণায় দেখা যায় আমাদের মস্তিষ্ক একটি দিকে একটানা ৯০ মিনিটের মতো ফোকাস করতে পারে, এরপর আমাদের ১৫ মিনিটের বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি টানা ২-৩ ঘণ্টা বসে কাজটি শেষ করতে চান তাহলে কিন্তু ফলাফল কিছুই আসবে না বরং সময়ই নষ্ট হবে। তাই নিজের অ্যাক্টিভিটি সাইকেল মেনে কাজ করুন।

৪) প্রতিদিনই ছোটো ছোটো লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করুন

সকালের শুরুতে ছোটো ছোটো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বেছে বের করে নিন। এরপর প্রতিদিনই এই গুরুত্বপূর্ণ ছোটো কাজগুলো শেষ করে ফেলার চেষ্টা করুন। ছোটো ছোটো কাজগুলো সফলভাবে করে ফেলার অভ্যাস আপনাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে এবং সময়ানুবর্তীতা শেখাবে।

৫) কীভাবে সময় ব্যয় করছেন তা জেনে রাখুন

নিজেকে স্মার্ট উপায়ে কর্মঠ করে তোলার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা করা। ফরাসি নোবেল বিজয়ী দার্শনিক হেনরি লুই বার্গসঁ বলেন, ‘কাজের পরিকল্পনা করার মূল অর্থ হচ্ছে সঠিকভাবে সময়ের ব্যবস্থাপনা করে ফেলা’। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, ‘আমি কি আমার সময় সঠিকভাবে এবং নিজের ১০০% দিয়ে ব্যয় করছি’। এমন অনেক কাজ আছে যা দৈনন্দিন জীবনের অনেকটা সময় নষ্ট করে দেয়। এই কাজগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই বাস্তব কিছু ফলাফল দিতে সক্ষম হয় না। এই ধরণের সমস্যায় পড়লে প্রথমেই নিজের সময়ের ব্যবস্থাপনা নতুন ভাবে করে ফেলা উচিত।

৬) ভালো কিছু অভ্যাস রপ্ত করুন

নিজের জন্য ভালো কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলাও আপনার কর্মজীবনে বেশ ভালো প্রভাব ফেলবে। যেমন, আপনি প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করলে আপনার পরিকল্পনা করার ক্ষমতা বাড়বে যা প্রকাশ পাবে আপনার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে এবং আপনার কাজ করার ক্ষমতার মাধ্যমে।

৭) ভালো কাজের অর্থ অতিরিক্ত পরিশ্রম বা অতিরিক্ত কিছু করা নয়

একবারে বেশি কাজ করার অর্থ যে আপনি ভালো কিছু কাজ করে ফেলছেন তা কিন্তু নয়। এরচাইতে ছোটো ছোটো কাজ এবং নিজের সাইকেল মেনে কাজ করা অনেক বেশি ভালো ফলাফল প্রদান করে। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সম্বলিত এবং উপযুক্ত মানুষের ছোটো একটি টিম অনেক বেশি সফল হতে পারেন। কারণ ছোটো টিমে অনেক বেশি সময় পাওয়া যায় এবং টীমের মানুষকে অনেক সময় দেয়া যায়।

৮) পুরনো জিনিস সংশোধন করে নতুন কিছু তৈরিতে নিজেকে উদ্যোগী করে তুলুন

নতুন কিছু করতে নিজেকে উদ্যোগী করে তুলুন, প্রয়োজনে তা সংশোধন করার ক্ষমতা রাখুন। আবার কিছু জিনিস পুনরায় ব্যবহার করতে পারার অর্থ হচ্ছে নতুন করে পুরো সাইকেলটি তৈরি করতে হচ্ছে না। পুরনো সাইকেলটিতে নতুন কিছু সংযোজন বা সংশোধন করে নতুন কিছু তৈরি করা যাচ্ছে। এতে সময় এবং শ্রম দুটোরই সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে। অপচয় হচ্ছে না কোনো কিছুই। বরং নিজেকে স্মার্ট উপায়ে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ করতে পারছেন।

৯) নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগান

প্রোফেসর কেলি তার নিজের বই ‘ম্যাক্সিমাম উইলপাওয়ার’এ ৩ ধরণের ইচ্ছাশক্তির কথা উল্লেখ করেন, ‘আমি করবো, আমি করবো না এবং আমি চাই’। এই তিনটি ইচ্ছাশক্তি যদি বুঝতে পারেন তাহলেই নিজেকে অনেক বেশি কর্মক্ষম করে তুলতে পারবেন। যদি ‘আমি করবো না’ ইচ্ছাশক্তিটি আপনার মধ্যে প্রবল হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে পারেন। যদি ‘আমি করবো’ ইচ্ছাশক্তিটি আপনার মধ্যে প্রবল হয় তাহলে এই ইচ্ছাশক্তি লক্ষ্যের উপর নির্দিষ্ট করে ধরে রাখতে পারলে আপনি সফল হবেন। আর যদি আপনার মধ্যে ‘আমি চাই’ ইচ্ছাশক্তিটি প্রবলভাবে থাকে তাহলে আপনি নিজেই জানেন আপনি কি চান এবং নিজেকে সেভাবেই উদ্যোগী করে সফলতা নিজের করে নিতে পারবেন।

প্রকৃত সৌন্দর্যের মানে

প্রকৃত সৌন্দর্যের মানে

প্রকৃত সৌন্দর্যের মানে

সৌন্দর্য ! ! ! শব্দটি যতই ছোট; এর তাৎপর্য তেমনি বিশাল। সকলেই নাকি সুন্দরের পূজারী, তাই বলতে শোনা যায়, ”আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী ।” বাক্যটিতে সৌন্দর্যকে সম্পূর্ণভাবে বাহ্যিকতার আড়ালে লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। ভালো করে একটু ভেবে দেখুন তো আসলেই কি সৌন্দর্য কেবলমাত্র বাহ্যিক চাক-চিক্যের পিঞ্জরে আবদ্ধ আমাদের চিন্তা, চেতনা,বুদ্ধিমত্তা কি আমাদেরকে অনুমতি দেয় এমন ধারণা পোষণ করতে তবুও যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে তথা সমগ্র বিশ্বে এমনটিই প্রচলিত হয়ে আসছে; যা মোটেও কাম্য নয়। সৌন্দর্যের পুরো ব্যপারটিই আপেক্ষিক; স্থান, কাল, পাত্র ভেদে এর সংজ্ঞাও ভিন্ন। চলুন তবে সৌন্দর্যের বিভিন্ন পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ

বাহ্যিক না অভ্যন্তরীন

শুরুর কথাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আমিও প্রথমেই বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়েই বলতে চাই যাতে করে এতদিন যারা বাহ্যিক সৌন্দর্যকেই  সৌন্দর্যের মাপকাঠি বলে মনে করছেন তারা যেন তাদের সেই ধারণার আরো গভীরে তলিয়ে দেখতে পারেন।
সৌন্দর্যের অনেক রকম রূপ রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক সকলকেই তাদের নিজ নিজ সৌন্দর্য, গুণাবলী ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছেন; যা এক জন থেকে অন্যজনকে আলাদা করতে সাহায্য করে। বাহ্যিক সৌন্দর্যর কোন সীমারেখা বা আদর্শ মানদণ্ড নেই । আগেই বলেছি যে তা ব্যক্তি ও তাদের প্রয়োজনের খাতিরে পরিবর্তিত হয় । সবার চোখে কিংবা মস্তিষ্কে একই রকম জিনিস সুন্দর মনে হবে তা কিন্তু নয়। আমি যেভাবে এর ব্যাখ্যা দেব আপনি হয়ত তার সাথে একমত নাও হতে পারেন আবার আপনার চিন্তার সাথে অন্যের চিন্তা নাও মিলতে পারে ।একেক জনের চোখে সৌন্দর্য্য একেক রকম।
যেমন একটা উদাহরণ দেখাই , আমরা তথা এশীয়-দক্ষিণ এশীয় যারা আছি আমাদের কাছে বাহ্যিক সৌন্দর্য বা সৌন্দর্য মানে হচ্ছে ফর্সা ত্বক; এখনো পুরো জনসংখ্যার একাংশ মানুষ এমনটাই বিশ্বাস করে-চেহারা,উচ্চতা,চলন-বলন যেমনই হোক না কেন । এখনো অনেক শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী, আত্ম-প্রত্যয়ী নারীদের মনেও কোথাও কোথাও ফর্সা হওয়ার বাসনা থেকেই যায়-যা খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি । এর কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা । আমাদের দেশে ছোটবেলা থেকেই মেয়েদেরকে এমনভাবে বেড়ে উঠানো হয়। তাদের মনে বদ্ধমূল ধারণা গড়ে উঠে যে সেহেতু আর গায়ের রঙ ফর্সা নয় আর মানে তিনি সুন্দরী নন।

অপরপক্ষে পশ্চিমা দেশ গুলোর দিকে লক্ষ করলে দেখব তারা সান-বাথ করে নিজেদের রঙ কে শ্যামলা করতে বেশি পছন্দ করছে। অন্য যে কোন দিক যেমন ফ্যাশন, কালচার এসব ক্ষেত্রে আমারা পশ্চিমাদের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তাহলে  এ দিক দিয়ে কেন আমরা পিছিয়ে
এটা হচ্ছে সৌন্দর্যের ভৌগোলিক তারতম্য, যা প্রমাণ করে ফর্সা বা কালো ত্বক কখনোই সৌন্দর্যের পথে বাঁধা হতে পারে না । তবে কেন যুগ যুগ ধরে ফর্সা-কালো রঙকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আমরা আমাদের ব্যক্তিত্ব, নৈতিকতা কিংবা মানসিকতার নিম্ন স্তরকে প্রদর্শন করে চলেছি; বাস্তবিক রূপে যা সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন । ঠিক তেমনি ভাবে গায়ের রঙের সাথে সাথে ছোট চোখ, বোঁচা নাক, মোটা বা পাতলা ঠোঁট, সোজা বা কোঁকড়া চুল, লম্বা কিংবা খাটো , মোটা বা পাতলা দৈহিক গড়ন আপনার সৌন্দর্যের অন্তরায় নয়।
এবার নিশ্চয়ই আপনারা সকলে  আমার সাথে একমত হবেন যে আপাত দৃষ্টিতে মনে হলও সত্যিকার অর্থে সৌন্দর্যের সাথে গায়ের রঙের তথা অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্ট্যের কোন সম্পর্ক নেই। আসলে সত্যি তো এটাই যে সৌন্দর্যকে এসব ক্ষণস্থায়ী (রূপ,যৌবন,বয়স) বিষয়য়াদির আদলে বাঁধা যায় না বরং সৌন্দর্য বলতে আপনার ব্যক্তিত্ব,মনুষ্যত্ব,আত্মবিশ্বাস, পরোপকারী মনোভাব এবং নিজের প্রতি ও অন্যদের প্রতি আপনার ভালোবাসাকেই বোঝায়।  তাই যাদের মনে নিজেদের গায়ের রঙ বা চেহারার খুঁত নিয়ে বিন্দুমাত্রও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল আজ-এখন থেকে তার সমূল উৎপাটনের কাজ শুরু করে দিন এবং আপনার চিন্তার জগতকে বিস্তৃত করে নিন; কেননা  সৌন্দর্যের অনুভব  আমাদের দেখার দৃষ্টিতে, আমাদের হৃদয়ে আর সর্বোপরি আমাদের মস্তিষ্কে।

মানসিক
সম্প্রতি চালানো একটা গবেষণায় উঠে এসেছে যে সৌন্দর্য আসলে মানসিক ।বিউটি জগতের স্বনাম ধন্য ব্র্যান্ড ‘ডাভ’ দ্বারা পরিচালিত একটা জরিপে এমনটিই প্রকশিত হয়েছে । বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন বয়সের ও বিভিন্ন কমপ্লেক্সনের প্রায় ২ হাজার মহিলার উপর  ডক্টর অ্যান কিয়ারনী কুকে এর তত্তাধানে এ জরিপটি চালানো হয়।
ডক্টর অ্যান কিয়ারনী কুকে একজন বিখ্যাত সাইকোলজিস্ট ও বগি ইমেইজ এক্সপার্ট ,তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে মহিলাদের উপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন । সাম্প্রতিক এ গবেষণায় তিনি মহিলাদেরকে ‘বিউটি প্যাচ’ সম্পর্কে জ্ঞাত করেন এবং গবেষণায় অংশ গ্রহণকারী নারীদের সবার বাহু তে সাদা, গোলাকৃতির একটা বস্তু আটকে দেন যাকে তিনি ‘বিউটি প্যাচ’ বলেছেন । এই প্যাচের সাথে ঐ মহিলাদেরকে কিছুদিন থাকতে বলেন এবং এরপরে তার সাথে পুনরায় দেখা করতে বললেন । নির্দ্দিষ্ট দিন শেষে প্রত্যেকেই তার সাথে দেখা করলেন এবং বেশির ভাগ মহিলা জানালেন যে তারা ‘বিউটি প্যাচ’ লাগানোর পরের দিন থেকেই বিশেষ  কিছু অনুভব করেছেন, কেউ কেউ বলেছেন তাদের ক্লান্তি কমে গেছে, কারো আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে, কারো কারো ত্বকের সমস্যা দূর হয়েছে এবং আরো অনেক কিছু।

অবশেষে  ডক্টর অ্যান তাদেরকে তথাকথিত বিউটি প্যাচের একটি প্যাকেট দিলেন এবং দেখতে বললেন। প্যাক এর উলটো দিকে লেখা ছিল ‘কিছুই না’। তিনি যখন সবাই কে ব্যপারটি বুঝিয়ে বললেন তখন এটাই স্পষ্ট হল যে সৌন্দর্য একধরণের মানসিক অনুভূতি । যখন আপনি নিজের মন থেকে বিশ্বাস করবেন ও মেনে নিতে শুরু করবেন যে আপনি সুন্দর তখন সমগ্র  পৃথিবীর চোখেই আপনি সুন্দর। তবে দুঃখের কথা এটাই যে মাত্র ৪% নারী এমনটি বিশ্বাস করে থাকেন। বাকিরা নিজেদের অসুন্দর ভাবে কিংবা নিজের সৌন্দর্য আবিষ্কারে ব্যর্থই থেকে যান ।প্রতিনিয়তই আমরা নিজেদের নিয়ে চিন্তিত থাকি, চেহারার কোথায় কী খুঁত রয়েছে তা খুঁজে বেড়াই, অন্যের রূপ দেখে ঈর্ষান্বিত হই; যার কোনটাই সমীচীন নয় ।

দুশ্চিন্তা না করে আয়নায় দাঁড়িয়ে আপনার আপনাকে নতুন করে মিলিয়ে নিন, রোজ সকালে ঘুম থেকে জেগে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করুন আর আয়নার নিজেকে দেখে বলুন ‘বাহ !তুমি তো অনেক সুন্দর; তোমার নিজের মত করে সুন্দর’ । ব্যাস তাহলেই আর ছোট-খাট খুঁত গুলো আপনার  সৌন্দর্যের চেয়ে বড় রূপে আপনার নজরে আসবে না বরং তা আপনার সৌন্দর্যে যোগ করতে পারে নতুন মাত্রা-যা আপনাকেই খুঁজে নিতে হবে; এতদিন ধরে নিজের যে খুঁতকে লুকানোর চেষ্টা করে  চলেছেন আজ থেকে তার বদলে নিজের ভালো দিকটিকে সবার সামনে তুলে ধরুন আর অন্যদেরকেও এ ব্যপারে উদ্বুদ্ধ করে তুলুন । দেখবেন এতদিন ধরে জেনে আসা আপনার সৌন্দর্যের সংজ্ঞা আপনি নিজেই পাল্টে দিয়েছেন ।

মেনোপজ সমস্যা

মেনোপজ সমস্যা

মেনোপজ সমস্যা

মধ্য বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার সময় নারী দেহে কিছু কিছু পরিবর্তন দেখা দিতে শুরু করে। মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি বা ঋতুস্রাব বন্ধের আগে এসব পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। এ সব পরিবর্তন সাধারণ ভাবে ৪৫ এর পর নারীরা অনুভব করতে থাকেন। সাধারণত গড়ে ৫১ বছর বয়সে মেনোপজ হয়ে থাকে, তবে কোনো কোনো নারীর ক্ষেত্রে তা ৪০ বছরে আবার কারো ক্ষেত্রে ৫০ বছর বয়সে তা ঘটতে পারে। মেনোপজ কোন অসুখ নয় বরং এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। শারীরিক অসুস্থতা না হলেও যদি এর উপসর্গগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই এর চিকিৎসা করাতে হবে।

মেনোপজ কী
সাধারণত শেষ মাসিক আবর্তনের ১২ মাস পরের সময়কেই মেনোপজ বলে। এর ফলে মাসিক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং গর্ভবতীও হওয়া যায় না। হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেনোপজের বিভিন্ন শারীরিক উপসর্গ দেখা যায়। এর ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, শক্তির ক্ষয় হয় এবং মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।

মেনোপজের ধাপ- 
মেনোপজের দুইটি ধাপ আছে। যেমন :

পেরিমেনোপজ (Perimenopause) : এক্ষেত্রে মাসিক চলতে থাকে তবে এর সাথে মেনোপজের উপসর্গও দেখা দেয়। হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে উঠা-নামা করে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম লাগা (Hot flash) ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। Perimenopause ৪-৫ বছর বা এর বেশি সময় স্থায়ী হয়। এসময় গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও তা খুব বেশি দেখা যায় না।
পোস্টমেনোপজ (Postmenopause) : শেষ মাসিক হবার ১২ মাস পর পোস্ট মেনোপজ হতে দেখা যায়। এসময় ডিম্বাশয় (Ovary) থেকে খুব কম ইস্ট্রোজেন (Estrogen) এবং প্রোজেস্টেরন (Progestarone) উৎপাদিত হয়।

মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ-
মাসিক শেষ হবার এক বছর হওয়ার দীর্ঘ সময় পর সাধারণত মেনোপজের লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন :
অনিয়মিত মাসিক
অনুর্বরতা (Decreased fertility)
যোনিপথ শুষ্ক থাকা
অতিরিক্ত গরম লাগা (Hot flash)
অনিদ্রা বা ঘুমে ব্যাঘাত
মেজাজ উঠা-নামা করা (Mood swings)
মেদ বৃদ্ধি পাওয়া
চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
স্তন ছোট হয়ে যাওয়া

কখন ডাক্তার দেখাবেন-
মেনোপজ সংক্রান্ত বিষয়ে যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:
মেনোপজ হতে পারে এমন সময়ে (পেরিমেনোপজ) এবং মেনোপজের পরবর্তী সময়গুলোতে (পোস্টমেনোপজ) নিবৃত্তিমূলক শারীরিক যত্ন এবং বয়সজনিত স্বাস্থ্যের যত্নের জন্য
মেনোপজ শুরু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত না হলে এবং তার আগের মাসে মাসিক বন্ধ থাকলে
মেনোপজ চলা অবস্থায় যোনিপথে রক্ত গেলে

কোথায় চিকিৎসা করাবেন-
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জেলা সদর হাসপাতাল
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র
বেসরকারি হাসপাতাল

কি ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে-
রক্তের পরীক্ষা। রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

কি ধরণের চিকিৎসা আছে-
মেনোপজের জন্য কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী নিচের চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে :

হরমোন চিকিৎসা (Hormone therapy)
স্বল্পমাত্রার বিষাদ প্রতিরোধক (Antidepressants) ওষুধ সেবন

জীবনযাপন পদ্ধতি-

নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত গরম যাতে না লাগে এমন কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকা
বিশ্রাম বা আরাম করা । এক্ষেত্রে দীর্ঘশ্বাস নেয়া, মাংসপেশি শিথিল করা বেশ ফলদায়ক
তলপেট ও শ্রোণীদ্বার এর মাংসপেশির ব্যায়াম করা
শাকসবজি, ফলমূল সমৃদ্ধ সুসম খাদ্য গ্রহণ ও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা
নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া

সচরাচর জিজ্ঞাসা-
প্রশ্ন. ১. মেনোপজের ফলে কী ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে
উত্তর . মেনোপজের ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে :
হৃদযন্ত্র ও রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ (Cardiovascular Disease) হয়
শরীরের হাড় ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে যায় (Osteoporosis)
মূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসামর্থ্যতা (Urinary incontinence) দেখা দেয়
ওজন বৃদ্ধি পায়

প্রশ্ন. ২. মেনোপজ হওয়ার কারণগুলো কী কী
উত্তর. মেনোপজ হওয়ার কারণগুলো হল :
মাসিক প্রাকৃতিকভাবে যখন বন্ধ হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই ডিম্বাশয় (Ovaries) কম হরমোন ( Estrogen এবং Progesterone) তৈরি করে। প্রাকৃতিকভাবে প্রজনন হরমোন (reproductive hormones) গুলোর হ্রাসের (decline) কারণে মেনোপজ হয়।
অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ু এবং ডিম্বাশয় অপসারণের ফলে মেনোপজ হয়ে থাকে।
ক্যান্সারের চিকিৎসা যেমন- কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি করালে মেনোপজ হতে পারে।‌‌‌‌
৪০ বছর বয়সের আগে অনেক সময় ডিম্বাশয় (ওভারি) থেকে স্বাভাবিকমাত্রার জনন হরমোন (reproductive hormones) উৎপন্ন না হলে মেনোপজ হতে পারে।

প্রশ্ন.৩. রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোন সর্ম্পকে কোন বিষয়গুলো জানা যায়
উত্তর. রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোন সর্ম্পকে যে বিষয়গুলো জানা যায় সেগুলো হলো:
ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ (Follicle-Stimulating Hormone (FSH)
ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ (Estrogen)
থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ (Thyroid-Stimulating Hormone)

বিষন্নতার কিছু লক্ষণ

বিষন্নতার কিছু লক্ষণ

বিষন্নতার কিছু লক্ষণ

আপনার পছন্দের মানুষগুলোর খারাপ থাকা, বিষণ্ণতায় ভোগার সময়গুলো যদি আপনি নাই জানতে পারেন, তাহলে তাদেরকে সেটা থেকে বের হতে সাহায্য করবেন কী করে আর কী করে বুঝবেন যে ঠিক কোন সময় তার সাথে কোন কথাটি বলা উচিত নয় আর তাই জেনে নিন মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিষণ্ণতা নিয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের পথে হেঁটে চলা মানুষদের কিছু সাধারণ আচরণ। যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন আপনার পাশের মানুষটি প্রচন্ড রকম বিষন্নতায় ভুগছেন কিনা।

১. অস্বাভাবিক রকমের হাসিখুশি-

খুব হাসি খুশি মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে কখনোই ভেবে নেবেন না যে মানুষটির জীবনের পুরোটায় সুখে পরিপূর্ণ। অস্বাভাবিক হাসিখুশি মানুষগুলোর ভেতরেই আসলে লুকিয়ে থাকে প্রচন্ড বিষন্নতা। আর সেটাকে ঢাকতে আর অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করতেই এতটা ভালো থাকার ভান করে চলেন তিনি। আর তাই খুব হাসিখুশি মানুষকে একলা ছেড়ে না দিয়ে তাকে সঙ্গ দিন। কথা বলুন। হয়তো কথায় কথায় নিজের ভয়ঙ্কর অনুভূতিকে প্রকাশ করে একটু হলেও হালকাবোধ করবেন তিনি।

২. লুকিয়ে থাকার প্রবণতা-

খুব বেশি বিষন্নতায় ভুগতে থাকা মানুষেরা নিজেদেরকে অনেক সময় অন্যদের কাছ থেকে গুটিয়ে নেন। কারণ তারা ভয় পান যে অন্যেরা তার এই ব্যাপারটি জেনে যাবে আর সেটা তারা কখনোই চান না। খুব বেশি হাসিখুশি থাকার মতন অতিরিক্ত চুপচাপ আর সবাইকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাসম্পন্ন মানুষগুলোকেও সঙ্গ দিন। তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও হাসিমুখে কথা বলুন তার সাথে। এই অনুভূতিটা দিন যে আপনি তার সব কষ্টের সময়ে তার পাশে আছেন।

৩. কথা সম্পূর্ণ না করা-

অনেকের ভেতরে বিষন্নতা জিনিসটা এতদিন ধরে বসবাস করে যে তিনি সেটাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েন আর অসহ্য রকমের পরিস্থিতি হলে, প্রচন্ড খারাপ লাগলে সামনে যাকে পান তাকেই নিজের কষ্টের খানিকটা অংশ দিতে চান। কমাতে চান নিজের যন্ত্রণাটাকে। তবে সেটা অর্ধেকই। পুরোটা নয়। অর্ধেক বলবার পরেই বাকিটা বলবার ইচ্ছে বা সাহস হারিয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু না। এক্ষেত্রে আপনি তাকে থামতে না দিয়ে বলতে উৎসাহ দিন। জানতে চান। তাকে বোঝান যে আপনি তার কথা পুরোটা শুনছেন আর মনযোগ দিয়েই শুনছেন।

৪. অস্বাভাবিক রকমের খাদ্যাভ্যাস-

বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্যাভ্যাসের সাথে বিষন্নতার অনেক মিল রয়েছে। এই দুটো সমস্যা মানুষের জীবনে একই সাথে অথবা পরপর ঘটে থাকে। ফলে সঙ্গীর খাদ্যাভ্যাসের যদি পরিবর্তন হয় তাহলে তার সাথে কথা বলুন। কারণ জানতে চান। হতে পারে কারণটা আপনি যেটা ভাবছেন সেটা নয়। অন্যকিছু। তারপরেও জানবার চেষ্টা করুন।

৫. পছন্দের জিনিসকে এড়িয়ে চলা-

বিষন্নতায়য় ভুগতে থাকা মানুষের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে এতদিন ধরে যে জিনিসটা করতে সবচাইতে বেশি ভালোবাসতেন সেটাকে এড়িয়ে চলা অথবা আমি পরোয়া করিনা ধরনের একটা ভাব দেখানো। সত্যিই কি তিনি সেটার পরোয়া করেন না করেন। কিন্তু বিষন্নতা মানসিক অনেক আবেগের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। ফলে বিষন্ন ব্যাক্তিদের সাথে এমনটা হয়।

৬. রাগ দেখানো-

মন খারাপ লাগলে, বিষন্ন লাগলে আমরা কী করি কান্না, অদ্ভূত সব চিন্তা, অসহায় ভাব দেখানো- আরো কত কি! কিন্তু এসবের বিপরীত একটা ব্যাপারও কিন্তু বিষন্নতার প্রকাশ করে। মানুষ যখন বিষন্ন থাকে এবং সেটাকে প্রকাশ করতে পারেনা করো কাছে তখন সেটাকে ঢেকে দেওয়ার বা প্রকাশ করবার আরেকটি উপায় তারা অবলম্বন করে। আর সেটা হলো রাগ। আপনার পাশের মানুষটি অকারণেই রেগে যাচ্ছে, ইগো দেখাচ্ছে, জেদ দেখাচ্ছে এড়িয়ে না গিয়ে বা ভুল না বুঝে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন কেন সে এটা করছে।

৭. কম ঘুমানো-

বিষন্নতায় ভোগা মানুষের ঘুমের পরিমাণ কমে যায়। হয়তো নিজের অসহায়ত্ব থেকে। কিংবা প্রচন্ড বিষন্নতা থেকে তৈরি হওয়া নানারকম চিন্তা থেকে। কিন্তু আর যাই হোক, আপনার সঙ্গী যদি এটা বলেন যে তার ঘুম হচ্ছেনা বা কম হচ্ছে তাহলে পাশ না কাটিয়ে জানবার চেষ্টা করুন কেন এটা হচ্ছে। তার সাথে কথা বলুন।

Back to Top
Product has been added to your cart