Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

01575606301

Recently Viewed
প্রিয় মানুষের মন ভালো করার মেসেজ

কিভাবে প্রিয়জনের মন জয় করবেন

বিয়েটা হয়েছে পারিবারিক ভাবেই। আর তাই বিয়ের পর থেকেই মন জিতে নেয়ার চেষ্টা করছেন তার। কিন্তু কেন যেন সব চেষ্টাকেই বৃথা মনে হয় দিন শেষে। কোনো ভাবেই বুঝতে পারছেন না কিভাবে জীবন সঙ্গীর মন জিততে পারবেন।

প্রতিটি মানুষই নিজের মনের মানুষটির কাছে হয়ে উঠতে যায় একজন আদর্শ সঙ্গী। আর তাই প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য কত কিছুই না করে থাকে মানুষ। জীবন সঙ্গীর কাছে নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ বানিয়ে তোলার এই প্রয়াসটি সৃষ্টির শুরু থেকেই দেখা যায়। মনে রাখবেন, প্রিয় মানুষটির মন জিতে নেয়া খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু একটু সদিচ্ছা। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রিয় মানুষটির মন জিতে নেয়ার ৬টি উপায়।[wp_ad_camp_2]

 

কিভাবে প্রিয়জনের মন জয় করবেন

সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখুন
জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিনের সংসারেই জীবন সঙ্গীর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সঙ্গী কী খাবে, কখন ঘুমাবে, ক্ষুধা লেগেছে কিনা, ক্লান্ত কিনা, কী প্রয়োজন ইত্যাদি সব বিষয়ের প্রতিই জীবন সঙ্গীর হয়ে উঠতে হবে সচেতন। প্রতিদিনের একটু একটু আদর যত্নই ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। তাই জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিন সঙ্গীর সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী।

উপহার দিন
সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সঙ্গীকে মাঝে মাঝে উপহার দেয়া উচিত। পৃথিবীর সব মানুষই জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার আশা করে। প্রেমের সময় অধিকাংশ যুগলই উপহার আদান প্রদান করলেও বিয়ের পরে অধিকাংশ মানুষই তা করে না। সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী মাঝে মাঝে উপহার দিন তাকে। আর কিছু না হোক একটি ফুল নিয়ে তো চমকে দেয়াই যায় তাই না

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন
জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলাটা জরুরী। জীবন সঙ্গী আপনাকে সব সময়ই দেখে বলে নিজেকে অগোছালো রাখা উচিত না। প্রতিনিয়তই নিজের যত্ন নিন। সেই সঙ্গে জীবন সঙ্গীর পছন্দের সুন্দর পোষাক পরুন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে গুছিয়ে রাখলে সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

সঙ্গীর পরিবারের যত্ন নিন
একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সাথে আত্মীয়তা হওয়া। আপনার জীবন সঙ্গীর সব চাইতে কাছের মানুষ তো তারাই। তাই আপনার জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তার পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখুন। তাদের বিপদে আপদে সব সময় তাদেরকে সাহায্য করুন। তাহলে আপয়ান্র জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন সহজেই।

সঙ্গীকে স্বাধীনতা দিন
একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তার জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া নয়। আপনার জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দিন। তাকে তার নিজস্ব জগতটাকে উপভোগ করতে দিন। সারাক্ষণ তার পিছে পিছে না থেকে তাকে তার মত করে জীবনটাকে উপভোগ করতে দিন মাঝে মাঝে। তাহলে আপনার সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন আপনি।

নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন
দাম্পত্য সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজার করে দেয়া নয়। জীবন সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজার করে দিলে এক পর্যায়ে জীবনসঙ্গী একঘেয়ে বোধ করে। তাই জীবন সঙ্গীর সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। জীবন সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মনির্ভরশীলতা আপনার জীবন সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

খুব মনোমালিন্য হচ্ছে সঙ্গীর সাথে কিংবা অনেক বেশি দূরত্ব চলে আসছে সম্পর্কে অনেকেই আছেন যারা একেবারেই বুঝতে পারেন না সম্পর্কের এই বিশেষ সময়টি। বুঝতেই পারেন না নিজেদের ভুলেই সঙ্গীর মনে কষ্ট দিয়ে ফেলছেন এবং সেই থেকেই সঙ্গী সরে যাচ্ছেন দূরে। দুজনের মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব। তাই কোনো কিছু নতুন করে ভাবার আগে নিজের করা কিছু কাজ সম্পর্কে ভেবে দেখুন তো। একটু শুধরে নেয়ার চেষ্টা করুন নিজেকে যদি নিচের কাজগুলো করে থাকেন আপনি।

১) সঙ্গীর সকল বিষয় কম গুরুত্বের সাথে দেখা

ভালোবাসার সম্পর্কে থাকা দুজনেই একেঅপরের কাছ থেকে মানসিক সাপোর্ট চান। কিন্তু যদি সঙ্গী দেখতে পান আপনি তার কথায় এবং তার বিষয়গুলোতে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন তখন তিনি ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন। এতে করেও দুজনের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়।

২) ছোটোখাটো সকল ব্যাপারে ভুল ধরতে থাকা

ভুল মানুষের দ্বারাই হয়ে থাকে। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রে সঙ্গীর ভুল ধরা সঙ্গীকে ছোটো করার মতো। আপনারও যে ভুল হয় না তা কিন্তু নয়। সমস্যা হলো প্রতি পদে পদে যদি সঙ্গীর ভুল ধরতে থাকেন তাহলে তিনি একটি সময় বিরক্ত হবেনই। এবং এভাবেই সঙ্গী আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন।

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

৩) সঙ্গীর যোগ্যতা নিয়ে কথা শোনানো

চাকরী, অর্থ, মেধা, রূপ ইত্যাদি নিয়ে প্রশংসা করলে সঙ্গী অনেক খুশি হন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি তা নিয়ে খোঁটা দিতে থাকেন তাহলে তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এবং এভাবে প্রতি ক্ষেত্রে আপনি যদি তাকে তার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলতে থাকেন তাহলে তিনি আপনাআপনিই আপনার বিরুদ্ধে নিজের মনে একটি দেয়াল গড়ে তুলবেন।[wp_ad_camp_2]

৪) সঙ্গীর সাথে বাজে ভাষায় কথা বলা

আপনি হয়তো সঙ্গীর সাথে অনেক বেশি খোলামেলা কথা বলেন কিংবা অনেক ধরণের বাজে শব্দ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মনে রাখবেন যেসকল শব্দ আপনি নিজের বন্ধুবান্ধবের সামনে অনায়েসে বলতে পারছেন তা সঙ্গীর সামনে বলা উচিত নয়। কারণ এই বাজে ভাষাও সঙ্গীর মনে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা তৈরি করতে পারে। এবং দূরে ঠেলে দিতে পারে সঙ্গীকে।

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

আপনার যে ৫ টি কাজ দূরে ঠেলে দিচ্ছে

৫) সঙ্গীকে একেবারেই বিশ্বাস না করা

আপনার সঙ্গী যদি দেখেন তার প্রতি কথাতেই আপনি সন্দেহ নিয়ে তাকাচ্ছেন এবং সন্দেহ প্রকাশ করছেন তখন এতে প্রকাশ পাবে আপনি তাকে মোটেও বিশ্বাস করেন না। কিন্তু বিশ্বাসই ভালোবাসার মূল ভিত্তি। এতে করে সঙ্গী কষ্ট পেতে পারেন এবং আপনার থেকে দূরে চলে যাওয়ারও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

বড় বোন থাকার ১৫টি মজার দিক

বড় বোন থাকার ১৫টি মজার দিক

বড় বোন থাকার ১৫টি মজার দিক

যখন ভাইবোনের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বেঁধে যায় তখন অনেকেই মনে করেন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়াটাই মনে হয় ভালো ছিল। কিন্তু আসলেই কি তাই যারা বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান তারা কিন্তু বলবেন অন্য কথা। ভাই বোন থাকলে বিশেষ করে বড় ভাইবোন থাকলে অনেক ধরণের সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। অসুবিধা যে নেই তাও বলবো না। কিন্তু সুবিধাই অনেক বেশি। বিশেষ করে বড় একটি বোন থাকলে এমন অনেক ধরণের বিষয়ে সাহায্য পাবেন যা অন্য কারো কাছ থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। জানতে চান একজন বড় বোন থাকার মজার দিকগুলো চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।

১) বড় বোন থেকে জীবন সম্পর্কে ভালো উপদেশ পাওয়া যায়

যখনই আপনি জীবনের কোনো ক্ষেত্রে আটকে যাবেন আপনার বড় বোন কিন্তু বিনা স্বার্থে আপনাকে ভালো কিছু উপদেশ দিতে পারবেন। আপনার ছোটবেলার স্কুল ভীতি থেকে শুরু করে প্রথম প্রেমের সম্পর্ক সম্বন্ধেও ভালো কিছু উপদেশ পাবেন বড় বোনটির কাছ থেকে।

২) আপনি সব সময় সেকেন্ড প্লেয়ার হবেন খেলায়

অসুবিধার কথা ভুলে যাই নি একেবারেই। কারণ বড় বোন থাকলে কখনোই খেলার সময় প্রথম প্লেয়ার হতে পারবেন না আপনি। তিনিই বাগিয়ে নেবেন সেই পদটি। যদিও বড় বোনেরা ইচ্ছে করেই পদ ছেড়ে দেন ছোটো ভাই বোনের জন্য।

৩) অনেক সিদ্ধান্তই আপনার বড় বোন নেবেন

আরও একটি অসুবিধায় পড়া হয় বড় বোন থাকলে সেটি হলো আপনি যতো বড়ই হোন না কেন সিন্ধান্ত নেবার সময় বড় বোনটি সে কাজটি আপনাকে কমই করতে দেবেন।

৪) আপনার দোষের ভাগীদারও আপনার বড় বোন হবেন

তবে বড় বোন থাকার অনেক সুবিধাও রয়েছে। আপনার দোষের ভাগীদার কিন্তু তিনিও হবেন। তাকেই কথা শুনতে হবে, ‘বড় বোন হয়ে ছোটকে কিছু শেখাতে পারো না’।

৫) রুম এবং জিনিসপত্র ভাগাভাগির যন্ত্রণায় পড়তে হবে আপনাকে

অসুবিধার আরেক অংশ সব কিছু শেয়ার করার যন্ত্রণা। বিছানা থেকে শুরু করে সব কিছু শেয়ার করতে হবে বড় বোনটির সাথে।

৬) আপনাদের পরিবার সম্পর্কে তিনি বেশ ভালোই জানেন

তবে সুবিধা হলো পরিবার সম্পর্কে সব ধরণের অভিযোগ তার কাছে করতে পারবেন যা অন্য কারো কাছে করতে পারবেন না। কারণ তিনিও জানেন আপনাদের পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে।

৭) আপনার বড় বোনটি সব সময় আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন

যা অকাজ ঘটিয়েছেন সব বিনা দ্বিধায় বড় বোনের কাছে বলে দেয়া যায়। কারণ আপনি নিজেও জানেন বোনটি কখনোই আপনার গোপন তথ্য কারো কাছে ফাঁস করবেন না।

৮) আপনার জীবনের অনেক ভীতি দূর করতে তিনিই সাহায্য করতে পারবেন

প্রথম স্কুলে যাওয়ার ভয় থেকে শুরু করে অচেনা একজনের সাথে পরিচয়ের ভয় সব কিছুই বুঝিয়ে দূর করতে পারবেন আপনার বড় বোনটি। কারণ অভিভাবকের চাইতে আপনার শিশু মন বড় বোনের দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে।

৯) আপনার হয়ে অভিভাবককে রাজি করানোর কাজটিও বড় বোন করে দেবেন

কোথাও ঘুরতে যাবেন, কিংবা পরীক্ষায় খারাপ করেছেন চিন্তা নেই বড় বোনকে গিয়ে একটু বলুন। তিনি ঠিকই আপনার অভিভাবককে বুঝিয়ে রাজি করিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার ঘুরতে যাওয়া অথবা পরীক্ষার খাতায় সাইন করার ব্যাপারটি।

১০) যে কোনো প্রয়োজনে বড় বোনের কাছে হাত পাততে লজ্জা লাগবে না

আপনার হাত খরচের টাকা শেষ হয়ে গেলেও চিন্তা নেই। যা অন্য কারো কাছে করতে পারবেন না তা ঠিকই বড় বোনের কাছে করতে পারবেন। ধার নেয়া হলেও কিন্তু তা আর শোধ দিতে হয় না।[wp_ad_camp_2]

১১) আপনার ভুল শোধরাতে সব সময় সাহায্য করবেন বড় বোনটি

আপনার সব ভুলগুলো তিনি খুব ভালো করে নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝিয়ে শোধরাতে পারবেন। কারণ তিনি নিজে পার করে এসেছেন বলে আপনার সব কিছুই বেশ ভালো বুঝতে পারবেন।

১২) আপনার বড় বোন আপনার প্রথম আদর্শ

সাধারণত একজন মেয়ের কাছে তার বড় বোনটিই প্রথম আদর্শ হয়ে থাকে। মেয়েরা প্রথমে তার বড় বোনটিকে দেখেই শিখতে থাকেন মেকআপ থেকে পড়ালেখা ও সবকিছু।

১৩) বড় বোনের সকল জিনিস জন্মসূত্রে আপনার

আরও সুবিধা চান তাহলে জেনে নিন জন্মসূত্রে আপনি ছোটো বলে বড় বোনের সব কিছুই আপনার সম্পত্তি। এই জিনিসটি নিজে একা থাকলে বা নিজে বড় বোন হলে পাওয়া যায় না।

১৪) জীবনের অনেক ব্যাপারে তিনি বিনা দ্বিধায় আপনাকে সাহায্য করবেন

কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না সব চাইতে বেশি সাহায্য পাবেন নিজের বোনটির কাছে। এমনকি আপনাদের ছোটোখাটো ঝগড়ার মাধ্যমেও কিন্তু তিনি আপনাকে পৃথিবীতে বেঁচে থাকলে যুদ্ধ করতে হয় তা শিখিয়ে দিচ্ছেন।

১৫) তিনি আপনার প্রথম এবং সব চাইতে ভালো বন্ধু

আপনি মানুন আর নাই মানুন, একজন বড় বোন আপনার সর্বপ্রথম বন্ধু এবং সব চাইতে ভালো বন্ধুটির পদে বসে আছেন। কারণ তিনি মৃত্যু পর্যন্ত আপনার সাথে যেমন আছেন তেমনই থাকবেন।

বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিবেন যাদের

বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিবেন যাদের

বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিবেন যাদের

সব মানুষের সঙ্গে চলা আপনার জীবনের জন্য মোটেই ভালো নয়। কখনো প্রয়োজন হয় অযাচিত কিছু মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করা। কিন্তু এ ধরনের মানুষের সংজ্ঞা পরিষ্কারভাবে না জানলে এটা করা মোটেও সহজ হয় না। তাই এ লেখায় দেওয়া আট ধরনের মানুষের বিষয় খেয়াল করুন। প্রয়োজনে এদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিবেন যাদের

১. নেতিবাচক মনোভাবের মানুষ-
নেতিবাচকতা কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। আর নেতিবাচক মনোভাব পোষণকারী বন্ধু কখনও আপনার জন্য ভালো কিছু করতে পারে না। কারণ তারা সব সময় নেতিবাচক থাকতেই পছন্দ করে। এ ধরনের মানুষরা কোনো বিষয়কে ইতিবাচক বা ভালোভাবে দেখতে অভ্যস্ত নয় বরং নেতিবাচকভাবেই দেখতে অভ্যস্ত। তারা এভাবে শুধু নিজের মনের শান্তিই দূর করে না, এতে অন্যের মনেও অশান্তি তৈরি করে। আপনি যতই ইতিবাচক হতে চেষ্টা করুন না কেন, এমন বন্ধু আপনাকে নেতিবাচক হতে বাধ্য করবে।

২. দুঃখবাদী-
অনেক মানুষ আছে যারা কোনো কারণ ছাড়াই দুঃখ, ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগে থাকে। সারাক্ষণ নিজের নানা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই তারা ভালোবাসে। আর তাদের এ দুঃখের পেছনে সঠিক কোনো কারণ থাকে না। মূলত নিজেদের চরিত্রের কারণেই তারা এমনটা হয়। আর তারা তাদের আশপাশের মানুষকেও এ দুঃখের অংশীদার করে। ফলে এমন মানুষের পাশে থাকাটাও বিপজ্জনক। আপনার বন্ধুতালিকায় যদি এমন কোনো মানুষ থাকে তাহলে দ্রুত তাকে ত্যাগ করুন।

৩. বড়লোকি দেখানো মানুষ-
এ ধরনের মানুষ প্রতিনিয়ত নানা তথাকথিত বড় বড় কার্যক্রম বা ‘বড়লোকি’ করে থাকে। নিজেদের অর্থ না থাকলে প্রয়োজনে অন্যের থেকে ধার করে হলেও এরা পার্টির আয়োজন করে। নিজেকে অনেক বড় করে জাহির করা এদের চরিত্রের অংশ। যদিও বাস্তবতা তার থেকে ভিন্ন। এমন মানুষ আপনার বন্ধুতালিকায় রাখা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।

৪. আত্মকেন্দ্রিক-
এ ধরনের মানুষের সব চিন্তাভাবনার কেন্দ্রে থাকে সে নিজে। সব বিষয়েই সে লাভ খোঁজে। নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি, সম্পদ কিংবা অর্থ কামানোই এমন মানুষের সব কাজের মূল উদ্দেশ্য। তারা যেকোনো কাজে নিজের নাম প্রকাশকেই গুরুত্ব দেয়। কাজটি অন্যরা করলেও তারা একে নিজের নামে চালানোর চেষ্টা করে। এমন চরিত্রের কেউ আপনার আশপাশে থাকলে দ্রুত তার থেকে যতটা সম্ভব দূরে যাওয়াই ভালো।

৫. ঝামেলা বাঁধানো মানুষ-
এমন কোনো মানুষ দেখেছেন কি, যে সব সময় একটা না একটা ঝামেলা বাঁধাতে ভালোবাসে এমন মানুষ ঝামেলা ছাড়া থাকতে পারে না। আইন ভঙ্গ করা কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজের ব্যাঘাত ঘটানো এদের স্বভাব। আর এমন মানুষ আপনার থেকে যত দূরে রাখা যায় ততই ভালো।

৬. অতৃপ্ত মানুষ-
কিছু মানুষ আছে যারা সবকিছু থাকার পরেও কখনো তৃপ্ত হয় না। এমন মানুষের যদি সব ভালো ভালো বিষয় থাকেও তারা তাতে তৃপ্তি পাবে না। তাদের সব সময় তাড়া করে ফেরে অতৃপ্তি। আর তাই তাদের সঙ্গে সুস্থ সম্পর্কও রাখতে পারে না কোনো স্বাভাবিক মানুষ।

৭. গ্রহণকারী-
আপনার এমন কোনো বন্ধু আছে কি, যে শুধু গ্রহণ করে কিন্তু তার বিনিময়ে কিছু প্রদান করে না এমন মানুষকে আপনি জন্মদিনে দারুণ সারপ্রাইজ দিলেও সে আপনার জন্মদিনের কথা স্মরণও করবে না। তার দুঃসময়ে আপনি যতই পাশে থেকে সহযোগিতা করেন, আপনার দুঃসময়ে তার নাগালও পাবেন না। কিন্তু কোনো বিপদে পড়লে আবার আপনার কাছে সাহায্য চাইতে একটুও কুণ্ঠা বোধ করবে না এমন মানুষ। আপনার বন্ধুতালিকায় এমন কোনো মানুষ থাকলে তাকে দ্রুত দূরে সরিয়ে দিন।

৮. অপছন্দের মানুষ-
আপনার বন্ধুতালিকায় এমন কোনো মানুষ আছে কি, যে কিনা আপনার অপছন্দের কিন্তু এর সঠিক কোনো কারণ নেই। যদি এমন কেউ থেকে থাকে তাহলে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেয়ে দূরে সরে যাওয়াই ভালো। কারণ এমন মানুষের সঙ্গে থাকলে আপনার মনে যে চাপ পড়বে তার পেছনে কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা করবেন

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা করবেন

‘দাম্পত্য জীবনে সুখ আনতে কী করেন দম্পতিরা’ এই প্রশ্নটি কি কারো মনে এসেছে কখনো আসতেই পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার অনেক মূল মন্ত্রই রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো একজন আরেকজনকে বোঝা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যেসকল দম্পতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হয়ে থাকে। কী কারণে জানেন

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দম্পতিরা একে অপরের সাথে সব ধরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, যে কোনো কিছু নিয়ে কথা বলতে পারেন। এবং সব চাইতে বড় ব্যাপার হলো কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে মনে শান্তি হবে, সুখের অনুভূতি হবে তা সম্পর্কে তারা জানেন। আপনি কী জানতে চান সুখী দম্পতিদের আলোচনার বিষয় বস্তু আসুন তবে জেনে নেয়া যাক।

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা করবেন

বিশ্রী কোনো পরিস্থিতিতে পড়ার মুহূর্ত সম্পর্কে-
মানুষ অনেক সময়েই বিশ্রী বা লজ্জাকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। কিন্তু সেই সকল মুহূর্তের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে পারেন না। এই মুহূর্তগুলো শুধুমাত্র নিজের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গীর সাথেই শেয়ার করা সম্ভব। এতে একে অপরের কিছু হাস্যকর, লজ্জাকর বিষয় নিয়ে কথা বলে মন হালকা এবং মানসিক চাপ মুক্ত থেকে সম্পর্কটিকে গভীর করা সম্ভব।

ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিগুলো-
আপনি যে ব্যাপারগুলোতে ভয় পান এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন তা অন্য কারো কাছে প্রকাশ করলে আপনি নিজের দুর্বল জায়গাটি দেখিয়ে দিলেন যাতে মানুষ ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আপনার সঙ্গীর কাছে প্রকাশ করেন তখন তিনি আপনাকে এবং আপনার মনোমানসিকতা বুঝে সেই মুহূর্তে আপনাকে আগলে রাখতে পারবেন।

নিজের ছোটবেলা-
অনেকেরই নিজের ছোটবেলা সম্পর্কের অনেক কথা বার্তা অন্যকে বলা সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজের সঙ্গীর সাথে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে সম্পর্কে আসবে গভীরতা। একজন অন্যজনের ছোট্টবেলার সেই নিষ্পাপ কথাগুলো শুনে সঙ্গীর আসল মানসিকতা সামনে চলে আসবে।

পরিবার সম্পর্কিত কথা-
দুজনের মাধ্যমে যে পরিবারটি গড়ে উঠেছে সেই পরিবার সম্পর্কে নানা কথা বার্তা যদি দুজনের আলোচনায় উঠে আসে তাহলে প্রত্যেকের পরিবার সম্পর্কে মায়া মমতা ও দায়িত্বপ্রায়নতা প্রকাশ পায়। এতে করে দুজনের চোখে দুজনের সম্মান বাড়ে।

একজন অপরজনের পছন্দের কথা-
রাজনীতিতে কে কাকে পছন্দ করেন, খেলা ধূলায় কে কোন দল কিংবা নাটক সিনেমায় কাকে কার বেশি পছন্দ এই নিয়ে আলোচনা করেন তারাই যারা একটি সুখি দাম্পত্য জীবন যাপন করেন। এই ছোটোখাটো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা এবং পছন্দের বিপরীতে অবস্থান করলে সামান্য খুনসুটি দাম্পত্য জীবনকে আরও মধুর করে তোলে।

ভবিষ্যতের কথা-
দাম্পত্য জীবনে সব চাইতে বড় বিষয় হচ্ছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা। ভবিষ্যতের কোনো প্ল্যান দুজনে একসাথে তৈরি করা। এতে করেই সম্পর্কে গভীরতা বাড়ে এবং দাম্পত্য জীবনে একজন অপরজনের গুরুত্ব বুঝতে পারেন। এতে সুখি হন দম্পতিরা।

আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারীর কৌশল

আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারীর কৌশল

আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নারীর কৌশল

সৌন্দর্য নয়, বরং ব্যক্তিত্বই একজন নারীর সবচাইতে মূল্যবান সম্পদ। শুধুমাত্র ব্যক্তিত্ব দিয়েই একজন নারী সকলের মন জয় করে নিতে পারেন খুব সহজেই। যদি তিনি নজরকাড়া রূপসী নাও হন, তবুও। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী সব সময়েই অনেক বেশি আকর্ষনীয়। আর তাই ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী হয়ে ওঠার স্বপ্ন সব নারীরই কম বেশি থাকে। কীভাবে হয়ে উঠবেন একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী জেনে নিন ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী হয়ে ওঠার ৬টি সহজ কৌশল।

সঠিক পোশাক নির্বাচন
ব্যক্তিত্ব অনেকাংশেই পোশাকের উপর নির্ভর করে। নিজেদের দেহের গড়ন ও বয়সের সাথে বেমানান পোশাক পরলে ব্যক্তিত্ব ক্ষুণ্ণ হয় এবং দেখতে দৃষ্টিকটু দেখায়। আবার কোন যায়গায় কেমন পোশাক পরলে মানাবে সেটাও মাথায় রাখা উচিত। নিজের সাথে মানানসই শালীন পোশাকে নারীর ব্যক্তিত্ব আরো বেশি ফুটে ওঠে।

আত্মবিশ্বাস
আত্মবিশ্বাস একজন মানুষকে খুব সহজেই ব্যক্তিত্ববান বানিয়ে তোলে। যে কোনো কাজে নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পারলে সেটা কথাবার্তা ও ব্যক্তিত্বে ফুটে ওঠে। আত্মবিশ্বাস কম থাকলে একজন মানুষ কখনোই ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে না। তাই নারীদের উচিত নিজেদের আত্মবিশ্বাস কম থাকলে সেটাকে বাড়িয়ে তোলা। তাহলে অনায়েসেই একজন নারী হয়ে উঠতে পারবেন ব্যক্তিত্বসম্পন্না।

সামাজিকতা পালন
যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেকে গুটিয়ে না রেখে সামাজিকতা পালন করুন। মানুষজনের সাথে পরিচিত হয়ে নিন, কুশলাদি জিজ্ঞাসা করুন এবং অন্যান্য সামাজিক দ্বায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করুন। সামাজিকতা পালন না করে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে না এবং নতুন নতুন মানুষদেরকে জানার সুযোগ হারাবেন আপনি। তাই ব্যক্তিত্ব সম্পন্না নারী হতে চাইলে সামাজিকতা বাড়িয়ে তুলুন।

ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা
একজন নেতিবাচক চিন্তার মানুষ সারাক্ষণই হতাশা, দুঃখ ও বিষণ্ণতায় ভোগে যা একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে ক্ষুন্ন করে। ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী হয়ে উঠতে চাইলে নিজের নেতিবাচক মনোভাব কে দূর করে চেষ্টা করুন সকল পরিস্থিতিতেই ইতিবাচক চিন্তা করার।

সুন্দর বাচনভঙ্গি
একজন নারীর বাচনভঙ্গির মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে। আর তাই ব্যক্তিত্বসম্পন্না নারী হতে চাইলে বাচন ভঙ্গির দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত সকল নারীরই। সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা, স্পষ্ট উচ্চারন, কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা এবং ভাবপ্রকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত নারীদের।

কথা ও কাজে মিল রাখুন
ব্যক্তিত্ববান মানুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো কথা ও কাজের মিল থাকা। তাই একজন নারী নিজেকে ব্যক্তিত্বসম্পন্না হিসেবে সবার কাছে মেলে ধরতে চাইলে তার কথা ও কাজের সামঞ্জস্য থাকতে হবে। যে কাজটি আপনার পক্ষে করা সম্ভব না সেটার ক্ষেত্রে কখনই কাউকে আশ্বাস দেয়া উচিত না। সব সময় চেষ্টা করুন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে সেটা ভঙ্গ না করতে।

Back to Top
Product has been added to your cart