Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

কার্লি চুলের যত্নের টিপস | Kali chuler jotner Tips

কার্লি চুলের যত্নের টিপস | Kali chuler jotner Tips

মাথার তালু

মাথায় যাদের কোঁকড়া চুল আছে, তাদেরকে সবসময়  মাথার তালু পরিষ্কার রাখতে হবে।  কেননা এই  ধরনের চুলের গোড়ায় বাতাস পৌঁছাতে পারে না,এর জন্য মাথার ত্বক পরিষ্কার না  থাকলে চুলের গোড়ায় ফুসকুড়ি ওঠা, খুশকিসহ নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

কার্লি চুলের যত্নের টিপস | Kali chuler jotner Tips

কার্লি চুলের যত্নের টিপস | Kali chuler jotner Tips

চুল শুকানো

গোসল করার পর কোঁকড়া চুলগুলো ভালো করে না শুকালে চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। এর জন্য গোসলের  শেষে চুলগুলো ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তারপর ফ্যানের বাতাসে দুই হাত দিয়ে চুলগুলো ফাঁক ফাঁক করে শুকিয়ে নিন। কোঁকড়া চুলেগুলো খুবই রুক্ষ। এর জন্য চুল শুকাতে কখনোই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।

*মোটা দাঁতের চিরুনি-

সাধারন ধরনের চুলে খুব জট লেগে থাকে,এর জন্য চুল শুকানোর পর মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যাবহার করে আঁচড়াতে হবে।

চুলের জট-

মেথি গুঁড়া, টক দই, ত্রিফলার রস (আমলকী, হরীতকী, বহেরা) একসঙ্গে মিশিয়ে এক ঘণ্টান মাথায় রাখুন। এই মিশ্রণ চুলে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুলের জট অনেকটা কমবে।

ভাতের মাড়

চুলের গোড়ায় ঘাম জমে চুল পড়ে যায়। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে চুলে ভাতের মাড় মেখে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

এ ধরনের চুলে প্রয়োজন প্রোটিন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। তাই ১৫ দিনে একবার ডিম, টক দই, নিমপাতা বাটা, পেঁয়াজের রস, মেথি গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মতো রাখুন। পুরোপুরি শুকানোর আগেই ধুয়ে ফেলুন।

ডিম ও কলার মিশ্রণ

একইরকমভাবে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে ডিম ও কলার মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

ফুসকুড়ি

গরমে মাথার তালুতে অনেক সময় ফুসকুড়ি ওঠে। দূর্বাঘাসের মুথা ও স্বর্ণলতা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগান।

খুশকি

শীতকালে খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগান ।

কন্ডিশনার

এছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এক কাপ চায়ের লিকারের সঙ্গে (দুই টেবিল চামচ করে ভিনেগার, কফি, সেদ্ধ বিটের রস) একসঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করুন।

তেলের ম্যাসাজ

চুলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য নারকেল তেলের ম্যাসাজ খুবই উপকারী। নারকেল তেল গরম করে হাতে নিয়ে আঙুল দিয়ে বৃত্তাকারভাবে মালিশ করুন। তারপর গরম পানিতেই তোয়ালে ভিজিয়ে ভালোভাবে চিপে মাথায় পেঁচিয়ে ধরতে ধরন। এতে করে চুলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।

ফলমূল ,পানি সামুদ্রিক মাছ

এ ধরনের চুল যাদের রয়েছে তাদের প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও পানি খেতে হবে। পাশাপাশি খেতে হবে সামুদ্রিক মাছ। কারণ সামুদ্রিক মাছ খেলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

 

কোন অনুষ্ঠানের জন্য কি গয়না পরবেন। Kon Onushthaner Jonno Ki Goyna Porben

নিজের জন্য হোক বা প্রিয়জনের জন্যই, গয়না কিনতে নারীরা ভালোই বাসেন।নিজেকে সাজাতে নতুন গয়না তো চাই। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সমতা থাকে কতটুকু তাই  কিনতে গিয়ে ভাবতে হয়, কি কিনব সোনা না রূপা এখন কোনটা চলতি ফ্যাশন সরু নেকলেস না ফ্যাশনেবল ব্রেসলেট সেই সমস্যার সামধানেই রইল কিছু টিপস।

কোন অনুষ্ঠানের জন্য কি গয়না পরবেন। Kon Onushthaner Jonno Ki Goyna Porben

কোন অনুষ্ঠানের জন্য কি গয়না পরবেন। Kon Onushthaner Jonno Ki Goyna Porben

অনুষ্ঠানে কি গয়না পরবেন

১) প্রথমেই ভেবে নিন আপনার পছন্দের গয়না কোনগুলি। কস্টিউম জুয়েলারি, স্লিক ডিজাইন, জাঙ্ক জুয়েলারি এগুলোর মধ্যে কোনটা রয়েছে আপনার প্রায়োরিটি লিস্টে।

২) নিজের জন্য যদি হালফিলের সেরা ফ্যাশনের জুয়েলারিটা বাছতে চান তাহলে হাতে একটু সময় নিয়ে দোকানে গিয়ে পরে পরে দেখুন, কোনটায় আপনাকে বেশি ভালো মানায়।

৩) সবচেয়ে ভালো হয়, যে পোশাকের সঙ্গে আপনি গয়নাটি পরবেন বলে ভেবেছেন, সেটা পরেই যদি একবার ট্রায়াল দেওয়া যায়। অসুবিধে হলে সঙ্গে কোনও বন্ধুকে রাখতে পারেন।

৪) অন্য কারও জন্য যদি গয়না পছন্দ করতে  চান, তাহলে কয়েকদিন ধরে তার ফ্যাশন ট্রেন্ডটা একটু ফলো করুন। তাহলে তাদের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কেও একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। বা তাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারলে আরও ভালো হয়।

৫) গয়না বাছুন আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে। এতদিন যদি না ভেবে থাকেন, আপনার স্কিন টোন কুল না ওয়র্ম তাহলে এবারে ভাবুন। কিভাবে অনেকের গায়ের রঙ এত ফরসা হয়  যে কবজিতে নীল ধমনী স্পষ্ট দেখা যায়। তার মানে অবশ্য তার গায়ের রঙ বিবর্ণ নয়। এমনকী ডার্ক বা ট্যান স্কিন টোনের লোকজনেরও কুল স্কিন হতে পারে। আর আপনার ধমনীর রঙ যদি ঈষৎ সবুজ ঘেঁষা হয়, তাহলে আপনার ত্বকের টেক্সচার ওয়র্ম। কুল স্কিন টোনে সিলভার, হোয়াইট গোল্ড, প্ল্যাটিনামের গয়না খুব সুন্দর মানায়। আর ওয়র্ম স্কিন টোনে গোল্ড, ব্রাশ, কপার জুয়েলারি এক্কেবারে পারফেক্ট ফিটিং। তবে নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী সোনা বা রূপার গয়নায় রদবদল ঘটাতেই পারেন।

৬) শুধু রঙ নয়, টেকসইও গয়না কেনার ব্যাপারে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারচেয়ে  বেশী খরচ। কত ক্যারেটের গয়না কিনছেন তার উপরেই দাম নির্ভর করবে। তাই প্রথমে নিজের পকেটের ওজনটা বুঝেই ময়দানে নামুন।

৭) রূপার গয়না পরে ফেলে রাখলে কালো হয়ে যায়। তাই গয়না পরার পর কিভাবে তা পরিষ্কার করবেন সেই টিপসগুলোও জেনে নিন। কোনও ড্রাই জায়গায় বাক্সে ভরে গয়না রখবেন। কখনও ভিজে, স্যাঁতসেঁতে জায়গা বাছবেন না এর জন্য। সোনা বা রূপার গয়নায় দেখভালের ক্ষেত্রে কোনও কম্প্রোমাইজ করবেন না।

৮) যদি খুব দামী গয়না কেনার পরিকল্পনা করেন এবং নিজে ঠিক বাছাই করে উঠতে না পারেন, তাহলে দোকানের কর্মচারীদের সাহায্য নিন। তবে কেনার পর গয়না বাক্সবন্দী করে ফেলে রাখবেন না। সদ্ব্যবহার করুন।

গরমে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার উপায় | Gorome Sasthoujjol chul Paoar upai

গরমে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার উপায় | Gorome Sasthoujjol chul Paoar upai

নিজেকে সবাই  সুন্দরভাবে তুলে ধরতে চায়। আর সুন্দর দেখানোর জন্য চুলের সৌন্দর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ কড়া রোদ ও হঠাত্ বৃষ্টির এই সময়টাতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ-শুষ্ক, তেল চিটচিটে ও অনুজ্জ্বল। এর জন্য এই গরমে কীভাবে চুল রাখবেন ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল -প্রত্যেকের চুলের ধরন এক না। একেক জনের চুলের ধরন ও আলাদা। আর এর পরিচর্যাও করতে হয় চুলের ধরন অনুযায়ী। তবে কিছু  সমস্যা আছে, যা প্রায় সবারই এই স্ম্যস্যায় হয় । আর এর কিছু কমন কিছু পরিচর্যাও আছে, যা সবার জন্যই প্রযোজ্য।

গরমে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার উপায় | Gorome Sasthoujjol chul Paoar upai

গরমে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পাওয়ার উপায় | Gorome Sasthoujjol chul Paoar upai

আসুন গরম আবহাওয়ায় চুলের পরিচর্যার ধাপগুলো জেনে নিই:

# গরমের সময় ধুলো-ময়লা ও রোদের তাপ বেশি। আর এর জন্য গরম থেকে বাঁচতে এ সময়ে বেশিরভাগ সময় এসির মধ্যে থাকা হয়ে থাকে । আর এতে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল।

#  আর এ সময়ে ধুলো-ময়লা এড়াতে চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং ক্রুন। এতেও চুল রুক্ষ হয়। তাই রাতে খুব ভালো করে চুলে তেল ম্যাসাজ লরুন। এবং তার পরদিন শ্যাম্পু করুন। তবে কন্ডিশনার কম লাগানোর  চেষ্টা করবেন।

এই গরমে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল পেতে চাইলে

# গরমের সময়ে চুলে সানবার্ন হয়ে থাকে । আর এর জন্য  বাইরে বের হলে ছাতা বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।

# চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে শ্যাম্পু করার পর সমপরিমাণ পানির সঙ্গে টক দই ও লেবুর রস মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর চুল আবার ধুয়ে ফেলুন।

# বাইরে বের হওয়ার পর  চুল ঝুঁটি বা খোঁপা করে বের হন। এতে করে  আর অস্বস্তি লাগবে না।

# তবে বেশি টাইট করে খুব বেশি সময় চুল বেঁধে রাখবেন না। এতে চুলের ভেতর বাতাস ঢুকতে পারে না। সম্ভব হলে মাঝে মাঝে চুল খুলে ভেতরে বাতাস চলাচল করতে দিন।

# মাথায় ত্বক ঘেমে গেলে অবশ্যই ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল বাঁধবেন না।

# চুল রোদে পোড়া হলে ডিপ কন্ডিশনিং জরুরি। আর এ সময়ে চুলে সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

# সারাদিন পর ঘরে ফিরে চুল খুলে বাতাস চলাচল করতে দিন। মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে আঁচড়ে নিন বেশ কিছুক্ষণ।

# মাথার ত্বক শুষ্ক হলে খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার ঘণ্টাখানেক আগে চুলে কুসুম গরম তেল ব্যাবহার  করুন। তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে পানি ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এভাবে তিনবার মাথায় স্ট্রিম নিন। এরপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে হার্বাল শ্যাম্পু বেশি উপকারী।

# মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে তাতে ধুলো ময়লা জমে থাকে বেশি। আর এতে চুল হয়ে পড়ে খসখসে ও তেল চিটচিটে। এছাড়া স্ক্যাল্পে তেল জমে থাকার কারণে রক্ত চলাচল ব্যাঘাত ঘটে। আর তাই এ ধরনের চুল ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে হয়। এছাড়া কন্ডিশনিংও জরুরি। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট | Sashtho Ujjol chul Pete ghorei Bebohar korun hair Treatment

ভিবিন্ন  উৎসবেরদিনে যেমন ঈদের দিনে ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুলে  পচ্ছন্দমত  সাজ দিতে কে না চায়। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হয় না । আর এর জন্য  ঠিক ঈদের আগের দিন পার্লারের অতিরিক্ত ভিড়ে মধ্যে যেতে হয় তা ও পচ্ছন্দমত হয় না ।  আপনি  চাইলে ঘরে বসেই পার্লারের মতো হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে নিতে পারেন আপনার পচ্ছন্দমত হেয়ার স্টাইল । কম খরচেই ঘরে বসে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করার পরামর্শ দিচ্ছেন হেয়ার এক্সপার্ট তারান্নুম আরা বন্যা।  তাহলে  আসুন জেনে নেয়া যাক অল্প সময়ে কম খরচে কীভাবে ঘরেই বসেই হেয়ার ট্রিটমেন্ট নেওয়া যায়।

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

স্বাস্থ্যউজ্জল চুল পেতে ঘরেই  ব্যবহার করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

হেয়ার ট্রিটমেন্ট

অনুষ্ঠান বা উৎসবের দিনগুলো সবাই নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে চায়। আর এর জন্য উৎসবের দিনে ঝলমলে চুল পেতে ঘরেই করুন হেয়ার ট্রিটমেন্ট

ম্যাসাজ করুন

নারকেল তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল মিশিয়ে কিংবা ২/৩ ধরণের তেল যেমন অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি একসাথে মিশিয়ে তা দিয়ে খুব ভালো করে মাথার ত্বক ও চুলের  মধ্যে  ম্যাসাজ করে নিন ১০-১৫ মিনিট। চুলের গড়া ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন  যেনো রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।

স্টিম করুন

হেয়ার এক্সপার্ট তারান্নুম প্রিয়.কমকে বলেন, ‘আপনি ঘরেই হেয়ার স্টিম করে নিতে পারেন হট টাওয়েল পদ্ধতিতে, পার্লারে গিয়ে স্টিমারে যেমন ফল পেতে পারতেন ঠিক তেমনই ফল পাবেন। একটি বড় তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে পানি চিপে তা মাথায় পেঁচিয়ে ভাপ নিন চুলে ১৫-২০ মিনিট’। এটিই মূলত স্টিম করা।

ধুয়ে নিন চুল

স্টিম করার পর চুল অবশ্যই ধুয়ে নেবেন এতে চুলের তেল চলে যাবে। আপনি ইচ্ছে করলে তেল দিয়ে পুরো রাত রেখে দিতে পারেন। কিন্তু এরপরের ধাপে আপনাকে হেয়ার প্যাক লাগাতে হবে বিধায় ১ ঘণ্টা চুলে তেল রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন ভালওভাবে । শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার লাগান। এরপর চুল ফ্যানের বাতাসেই শুকিয়ে নেয়ার চেষ্টা করুন ।

হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্যাক লাগান

বাজারে অনেক ভালো হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্যাক কিনতে পাওয়া যায়। যদি প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করতে চান তাহলে খুব ভালো হয় যদি এই প্যাক কিনতে পারেন। আর যদি কিনতে না চান তাহলে ২ টি ডিম, নারকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। আর এমনিতে শুষ্ক-রুক্ষ ও নিস্তেজ চুলের জন্য একটি পাকা কলা ভালো করে ম্যাশ করে নিয়ে এতে অলিভ অয়েল ও ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে ব্যাবহার  করুন। এরপর প্যাকটি ২০ মিনিট চুলে রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালোভাবে ।

পুনরায় চুল ধোয়া

হেয়ার এক্সপার্ট বন্যা বলেন, ‘সবচাইতে ভালো হয় যদি একরাত আপনি প্যাকটি শুধু পানিতে ধুয়ে চুলে তার কাজ করতে দিতে পারেন। যেমন ধরুন রাতে পূর্বের ধাপগুলো সম্পন্ন করে চুল শুকিয়ে নিয়ে ঘুমুতে গেলেন পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই দ্বিতীয়বার চুল ধোয়ার কাজটি শেষ করলেন। এতে প্যাকটি পুরো রাত ভালো করে কাজ করার সময় পাবে’। চুল ধোয়ার সময় ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন এবং কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না একেবারে ।

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । Eskalp Massage korar Upai

চুল পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল রাখার জন্য স্কাল্প ম্যাসাজ খুবই জরুরী। এতে ফলিকলস্‌ সক্রিয় থাকে, চুল মজবুত ও সতেজ  হয়। স্ক্যাল্প ম্যাসাজে টেনশন কমে ও রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এই হেয়ার ম্যাসাজটি আপনি গোসলের আগে কিংবা অবসর সময়ে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এর জন্য যা  লাগবে তা হলো কিছু এসেন্সিয়াল অয়েল, কেরিয়ার অয়েল এবং চুল ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার।

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করার উপায় । scalp Massage korar Upai

আসুন আমরা দেখে নিই স্ক্যাল্প ম্যাসাজের সাতটি ধাপ-

১. এসেন্সয়িাল অয়েল বাছাই করুন:

১ম ই  চুলের ধরন বুঝে প্রয়োজনীয় একটি এসেন্সিয়াল অয়েল বাছাই করুন। যেমন আপনার যদি বেশি খুশকী থাকে তবে ল্যাভেন্ডার অয়েল, যদি চুল পরা সমস্যা থাকে তাহলে পিপারমিন্ট বা রোজমেরি অয়েল, চুল রুক্ষ হলে রোজ বা ক্যামোমিল অয়েল ব্যবহার করুন  এগুলো আপনি বিউটি পার্লার বা বড় কসমেটিক্স শপে পেতে পাবেন ।

২. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ অয়েল প্রস্তুত করুন:

একটি বাটিতে কয়েকফোটা এসেন্সিয়াল অয়েল দিয়ে তার মধ্যে কেরিয়ার অয়েল যেমন আলমন্ড বা অলিভ অয়েল কিংবা নারকেল তেল নিন। কেরিয়ার অয়েল দিয়ে আধা বাটি পেস্ট তৈরী করুন।

স্কাল্প ম্যাসাজ

৩. ভাল করে চুল আঁচরান:

একটি ভালো পরিস্কার চিরুনী দিয়ে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত চুল ভালো ভাবে  আঁচরান। সাধারণ চিরুনীর বদলে হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করুন। আপনার চুল যদি বড় হয় তবে ডগা থেকে আঁচরাবেন এতে চুলের ক্ষতি হবে না।

৪. ম্যাসাজ শুরু করুন:

আঙুলে  মধ্যে অল্প পরিমান তেল নিয়ে চক্রাকারে ম্যাসাজ শুরু করুন। আপনার আঙুলগুলো দিয়ে মাথার ত্বক ও চুলে তা ম্যাসাজ করুন। একটু পর পর আঙুলে তেল নিয়ে নিন।

৫. চুলে গরম ভাপ দিন:

ম্যাসাজ শেষ হয়ে গেলে  একটি তোয়ালে সামান্য গরম করে মাথা ও চুল ঢেকে দশ মিনিট বিশ্রাম করুন।

৬. চুল ধুয়ে ফেলুন:

একটি ভাল শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার চুল বেশি শুষ্ক হয়, তবে সাথে সাথে না ধুয়ে সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। চুল ভাল করে পরিষ্কার করতে আপনাকে দুবার শ্যাম্পু করতে হবে।

৭. সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত ম্যাসাজ করুন:

এতে করে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে, চুল হবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও সুন্দর। এর সাথে পুষ্টিকর খাবার খাবেন। আশা করা যায় এর মাধ্যমে চুলের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে ।

 

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ও সুন্দর  ঝলমলে রেশমি চুলের আকাঙ্ক্ষা প্রায় সকল নারীর থাকে। কিন্তু ভিবিন্ন কারনে  চুল পড়ে যাওয়া, চুলে রুক্ষতা চলে আসা, আগা ফাটার সমস্যা লেগেই থাকে। যার কারণে বেশীরভাগ নারীর কাছে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুল পাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু ১ টি মাত্র ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক আপনার চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে পারে খুব সহজেই। জানতে চান স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের সিক্রেট ফর্মুলা  আসুন তাহলে জেনে নিই

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য-

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

স্বাস্থ্যউজ্জ্বল ঝলমলে চুলের গোপন রহস্য | Sundor o Sashthoujjol Jolmole chuler gopon Rohoshsho

যা যা লাগবেঃ

– ১ টি পাকা কলা

– ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ

– ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল (অতিরিক্ত শুষ্ক চুল হলে আরেক চামচ যোগ করুন)

– ২ টেবিল চামচ মধু

পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিঃ

১ম ই কলা ছিলে খণ্ড করে নিন।তারপর একটি ব্লেন্ডারে উপরের সকল উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলুন।

– ৪০-৪৫ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন বা কলা একেবারে মিশে মসৃণ পেস্টের মতো তৈরি করার পর্যন্ত ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস, আপনার ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন।

– তারপর চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন।

– চুলের ত্বকে  আলতো করে ম্যাসেজ করে নিন ৫ মিনিট। তারপর একটি শাওয়ার ক্যাপ বা প্ল্যাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে চুল ও মাথা ঢেকে রাখুন।

– ৩০ মিনিট এভাবে রেখে আপনার সাধারণ শ্যাম্পু দিয়েই চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।

১ম বার  ব্যবহারেই চুলে আমূল পরিবর্তন আপনার নজরে পড়বে। সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহারেই  পাবেন ঝলমলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল চুল।

Back to Top
Product has been added to your cart