Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

ফ্যাশনের নতুন মাত্রায় এখন সিঙ্গেল কামিজ । Fashion er Notun Matray Single Kamiz

বর্তমান ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সিঙ্গেল কামিজ। কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় তাদের কাছে সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা একটু বেশি।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণীরাও সিঙ্গেল কামিজে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।সিঙ্গেল কামিজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে বলা যায় ।

সিঙ্গেল কামিজের ডিজাইন, কাটিং, রঙসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই কামিজগুলো লং কামিজের কাটিংয়েও পাওয়া যায়। অর্থাৎ বর্তমান ফ্যাশনের ধারা বজায় রেখে কামিজগুলোকে লম্বা করা হচ্ছে। এগুলো লং হাতারও হয় আবার স্লিভলেসও পাওয়া যায়।

আর কাপড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভয়েল, লিলেন, ডুপিয়ান, ডবি ফেব্রিক্স। হালকা রঙের সুতি, লিলেন, খাদি আর তাঁত কাপড়ে তৈরি হচ্ছে নকশাদার স্লিভলেস কামিজ আর কুর্তা স্টাইলের লম্বা কামিজ। উৎসব আর পার্বণের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে সিল্ক, মসলিন, অ্যান্ডি সিল্ক, তসর, নেট, জর্জেটসহ নানা গর্জিয়াস কাপড়।

ফ্যাশনের নতুন মাত্রায় এখন সিঙ্গেল কামিজ । Fashion er Notun Matray Single Kamiz

ফ্যাশনের নতুন মাত্রায় এখন সিঙ্গেল কামিজ । Fashion er Notun Matray Single Kamiz

সিল্ক, মসলিন, তসর, জর্জেট, নেটের মতো গর্জিয়াস কাপড় গুলোতে কারচুপি, স্প্রে, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ক, সিকুইনসহ নানা ধরনের মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটা ডিজাইনেও প্যাটার্ন, চেক কাপড়, লেস, প্যাচ-ওয়ার্ককে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, হলুদ, সবুজ, সাদা রঙের পাশাপাশি কালো, কমলা, বাদামি, কমলা, ম্যাজেন্টা রঙের শেড লক্ষণীয়।

পছন্দসই যেকোনো জিন্স, লেগিংস, জেগিংস অথবা ফ্যাশনেবল সালোয়ারের সাথে পরা যাবে এই সিঙ্গেল সুতির কামিজগুলো। জিন্স কিংবা লেগিংস ছাড়াও সিঙ্গেল কামিজ পরতে পারেন ধুতি, চুড়িদার ও স্লিপটেড ভ্যারিয়েশনের সালোয়ারের সঙ্গে। এছাড়াও রয়েছে চোস্ত পায়জামার একাধিক স্টাইল, চুড়িদারের ২-৩টি ভ্যারিয়েশন । কামিজে কাজ করা থাকলে সালোয়ার সিম্পল আর কামিজে হালকা কাজ হলে সালোয়ারে কাজ হয় গর্জিয়াস।

কামিজের সঙ্গে রং ম্যাচিং করে ওড়না পড়তে পারেন অথবা একেবারে বিপরীত রংও বেছে নিতে পারেন।

অঞ্জন্স, নগরদোলা, কে-ক্রাফট, আড়ং, বসুন্ধরা সিটি সহ দেশের প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে এই সিঙ্গেল কামিজ।

এছাড়া মনের মতো কাপড় কিনেও বানিয়ে নিতে পারেন সিঙ্গেল কামিজ। সিঙ্গেল কামিজ বানাতে দেড় গজ কাপড় লাগবে। যে কোনো টেইলার্সে অর্ডার দিয়ে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন পছন্দমতো সিঙ্গেল কামিজ।

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে আগের মতো মসৃণ ভাবটা  লাগছে না। আগের ঝলমলে চুলগুলো  এখন কুঁকড়ে প্রাণহীন হয়ে গেছে । আবহাওয়া, অতিরিক্ত সূর্যের তাপ ও চুলে রাসায়নিক উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে চুল অনেক সময় কুঁকড়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবেও চুল কুঁকড়ে যেতে পারে।

আর এই কুঁকড়ে যাওয়া চুলকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটু মুশকিল বটে। তবে নিয়মিত যত্নে চুলের এই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে আনা সম্ভব। আর এর  সম্পকে  রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কীভাবে এই ধরনের চুলের যত্ন নিতে হবে।

রূপবিশেষজ্ঞ আমিনা হক বলেন, এখন যেমন আবহাওয়া চলছে, তাতে চুল তেল চিটচিটে ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এর জন্য চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। তিনি জানিয়েছেন কুঁকড়ে যাওয়া চুল মসৃণ করার কয়েকটি উপায় আছে।

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্ন 

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

কুঁকড়ে যাওয়া চুলের যত্নের উপায় | kukre jaoa chuler jotner upai

* সমপরিমাণ মধু ও বেসনের সঙ্গে সামান্য পানি এবং একটি ডিমের পুরো অংশ লাগিয়ে ২০ মিনিট মাথায় রেখে দিন। এরপর শ্যাম্পু  ব্যাবহার করুন।

* ১ কাপ টক দই, ১ টা ডিম, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, চায়ের লিকার এবং স্পা ট্রিটমেন্টে যে কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়, তাতে মিশিয়ে চুলে ২০-২৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।এতে করে খুব ভালো ফল পাবেন। এই প্যাক তৈরিতে প্রতিদিন ব্যবহারের কন্ডিশনার না নিয়ে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি যেকোনো সুপার শপ বা প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করুন।

* সমপরিমাণ মসুর ডাল, লেবুর খোসা একসঙ্গে বেটে নিন।তার পর  সঙ্গে মধু ও ডিম মিশিয়েও চুলে লাগান।

* চুল বেশি রুক্ষ মনে হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করার আগে চুলের গোড়া ও পুরো চুলে তেল লাগান এবং চুল ধোয়ার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

* লাল জবা ফুল বেটে  এর সঙ্গে সমপরিমাণ তিলের তেল, সরিষার তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করুন। প্রতিদিন  তেলের বদলে এটি চুলের ত্বকে ম্যাসাজ করুন।

* চুলে কোনো প্যাক ব্যবহারের আগে স্পা ট্রিটমেন্টের কন্ডিশনার অল্প একটু পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুকনো চুলেই ব্যবহার করুন। ২০ মিনিট রেখে তার ওপর হেয়ার প্যাক লাগান, তারপর আরও ২০ মিনিট মাথাই রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু লাগানপর ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সপ্তাহে দুই দিন কমপক্ষে চুল মসৃণ করার প্যাকটি ব্যবহার করুন।

*  কমপক্ষে মাসে দুবার অবশ্যই হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট করাতে হবে এবং হট অয়েল ম্যাসাজ নিতে হবে সপ্তাহে দুবার। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনা অসম্ভব।

রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিনও বলে দিয়েছেন এ ধরনের চুলের যত্নের কিছু উপায়।

তাঁর মতে, মাথার ত্বক পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখা খুব জরুরি। বাইরে ধুলাবালি ও রোদ থেকে রক্ষা পেতে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। বাসাই এসে অবশ্যই শ্যাম্পু করতে হবে। পরে ব্যবহারের জন্য চুলের ধরন জেনে বেছে নিতে হবে মৃদু কোনো শ্যাম্পু। এরপরে প্রোটিনসমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষে ঘষে না শুকিয়ে চেপে চুলের পানি নিংড়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন। ভেজা চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করুন।তারপর মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুলগুলোকে ভাগ ভাগ করে শুকিয়ে নিন।

চুলের কুঁকড়ে যাওয়া রোধ করতে অতিরিক্ত আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। রিবন্ডিং, রং করার আগে অবশ্যই একজন রূপবিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহন করুন।

 

কম খরচে নিজেকে ফ্যাশনেবল রাখার টিপস । Kom Khoroche Nijeke Fashionable Rakhar Tips

সুন্দর থাকার মানে নামী দামী কসমেটিক্স ব্যবহার করা, না হয় পার্লারে গিয়ে বিউটি ট্রিটমেন্ট করা। সাথে দামী দামী পোশাক আর এক্সেসরিজের ব্যবহার তো আছেই। আর এর জন্য করতে হয় কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ। যদি অল্প খরচেই সামলে ফেলা এত এইসব হ্যাপা যেমন ধরুন মেকআপের পণ্যে টাকা বাঁচাতে পারলেন বা অল্প খরচেই কিনতে পারলেন পছন্দের পোশাক নিজেকে সুন্দর আর টিপটপ রাখারা ব্যাপারটি কত সহজ হয়ে যাবে, তাই না জেনে নিন কিছু টিপস।

কম খরচে নিজেকে ফ্যাশনেবল রাখার টিপস । Kom Khoroche Nijeke Fashionable Rakhar Tips

কম খরচে নিজেকে ফ্যাশনেবল রাখার টিপস । Kom Khoroche Nijeke Fashionable Rakhar Tips

১। দীর্ঘদিন মাশকারা ব্যবহার করা

অনেক দিন মাশকারা ব্যবহার করা না হলে মাশকারা শুকিয়ে যায়। এই ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল এবং লবণ মিশ্রত পানি মাশকারার বোতলে ঢালুন। তারপর এক কাপ গরম পানির ভিতরে মাশকারার বোতলটি কয়েক মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।

২। মেকআপ রিমুভার

মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে ঘরোয়া উপায়ে মেকআপ তুলতে পারেন। মেকআপ তোলার জন্য বেবি অয়েল, বেবি শ্যাম্পু, অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এই উপাদান গুলো আপনার ঘরেই থাকে আর এইগুলো মেকআপ তুলতে বেশ কার্যকরী।

৩। হোম স্প্রা ট্রিটমেন্ট

পার্লারে স্প্রা ট্রিটমেন্ট করার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করছেন ঘরে সবচেয়ে সস্তা স্প্রা ট্রিটমেন্ট করার উপায়টি কি জানেন দিনের শুরুতে কসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। গোসলের শেষে ঠান্ডা পানিতে ১৫ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকুন। এইকাজটি দুইবার করুন। এই পদ্ধতিতে গোসল করাতে শরীর সম্পূর্ণভাবে হাইড্রেট হয়ে থাকে। এর সাথে এটি আপনার ত্বক পুনরুজ্জীবিত করে আপনাকে ভিতর থেকে গ্লো করে থাকে। বাইরের দেশে এই স্পা ট্রিটমেন্টের দাম ৯৫ ডলার!

৪। ব্রণ দূর করুন ঘরোয়া প্যাকে

পার্লারের ব্রণের ট্রিটমেন্ট না করে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করে দূর করতে পারেন ব্রণ। Janice Cox, Author of Natural Beauty at Home (Henry Holt & Company) এমন একটি ব্রণ রোধের প্যাকের কথা জানিয়েছেন। ১/৪ কাপ স্ট্ররবেরী, ১/৪ কাপ টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। স্ট্ররবেরীতে স্যালিক এসিড আছে যা ব্রণ দূর করে থাকে ত্বক থেকে।

৫। পুরাতন লিপস্টিক ব্যবহার

আপনার যদি অনেকগুলো লিপিস্টিক থাকে, তবে আপনি নতুন লিপিস্টিক না কিনে পুরাতন লিপস্টিক দিয়ে নতুন রং-এর লিপস্টিক তৈরি করে নিতে পারেন। পুরাতন লিপস্টিক মাইক্রো ওয়েভে গলিয়ে নিন, তারপর এতে লিপবাম মিশিয়ে নিন। আর দেখুন সম্পূর্ণ নতুন একটি লিপস্টিক তৈরি হয়ে গেছে।

৬। মুখের দাগ ঢেকে ফেলুন খুব সহজে

প্রথমে এক থেকে দুই শেডে হালকা কনসিলার মুখের কালো দাগের ওপর ঘষুন। তারপর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। Jessica LiebeskindNew York City-based makeup artist বলেন কনসিলার ত্বকের দাগ হালকা করে আর ফাউন্ডেশন সেটা ত্বকের সাথে ভাল করে মিশিয়ে দেয়। কনসিলার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ব্রাশের পরিবর্তে আঙুল ব্যবহার করলে কিছুটা কম কনসিলার ব্যবহার করা হয়।

৭। মৌসুমবিহীন কেনাকাটা বাঁচিয়ে দেবে টাকা

গরম কালে শীতকালের কাপড় কিনে রাখুন। কিংবা শীতের শেষের দিকে কিনে রাখতে সামনের শীতের জন্য শীতের কাপড় এতে টাকা অনেক কম পাবেন। আবার অনেক সময় অনেক দোকানে ছাড় থাকে এই সময়ে।

৮। ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে কলা

১/২ টা পাকা কলা অথবা অ্যাডোকোডা ম্যাশ করুন। তারপর এটি মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কালার চুলের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক | Color Chuler Jotne Ghoroa Mask

কালার চুলের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক | Color Chuler Jotne Ghoroa Mask

সবাই চুল কালার করে ভিবিন্ন হেয়ার সটাইল করতে পচ্ছন্দ করে। চুল কালার করা পর্যন্ত সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু ঝামেলা  তখনই  শুরু হয়  কালার পরবর্তী চুলের দেখাশোনা নিয়ে। এটা একটা খুব সাধারণ ব্যাপার।  যে চুল কালার করার পর বা হাইলাইট করার পর ড্রাই ও ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। চুলে কালার করার পর আমরা প্রায় সবাই সারা মার্কেট চুলের কালার প্রোটেকশন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, মাস্ক এসব খুঁজে বেড়াই। আর এই সবকিছু করা  মাথায় রেখেই আমি আজ আপনাদের এমন কিছু ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক  নিয়ে বলবো যা আপনার কালারড হেয়ারের সঠিক যত্ন নিবে।

কালারড হেয়ারের জন্য হোমমেড মাস্ক-

রোজমেরি ও অলিভ অয়েলঃ

১\৪ কাপ অলিভ অয়েল নিয়ে হালকা  গরম করুন, তবে খেয়াল রাখুন যাতে অতিরিক্ত গরম না হয়ে যায়। এর পর এই তেলটাকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে এতে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে আপনার মাথার তালুতে  ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। তেল ম্যাসাজ করার পর আপনার মাথায় একটি প্ল্যাস্টিকের ক্যাপ লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন এবং পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে বেশি পরিমাণে এই মিশ্রণ বানিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে  আস্তে আস্তে ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইয়ের মিশ্রণ আপনার কালারড চুল হেলদি রাখবে ও চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে দিবে।

অ্যাভাকাডো ও কলাঃ

সিমপ্লি কলা ও অ্যাভাকাডো খুব ভালোভাবে মিশিয়ে  পেস্ট করে আপনার চুলে লাগিয়ে ১৫\২০ মিনিট রাখুন। নির্দিষ্ট সময় রাখার  পর আপনার মাথা ধুয়ে ফেলুন। হলিউড হেয়ার ড্রেসাররা কলা ও অ্যাভাকাডো এই দুই উপাদানকে কালারড চুলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হিসেবে বলেছেন। এই মাস্ক আপনার চুল আরও বেশি নরম ও মসৃণ করবে।

কলা ও মধুঃ

পাকা কলা ১ টি চটকে তাতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে  পেস্ট বানিয়ে আপনার চুলের পুরো অংশে লাগান। এরপর এই মাস্ক আপনার চুলে মিনিমাম ২০ মিনিট রেখে স্বাভাবিকভাবে শ্যাম্পু করুন। কলা আর মধু সমন্বিত মিশ্রণ আপনার চুল কালার পরবর্তী রাফনেস ও ড্রাইনেস থেকে চুল প্রটেক্ট করে চুল মশ্চারাইজড ও সিল্কি রাখবে।

মেওনিজঃ

কালারড চুল বেশিভাগ ক্ষেত্রেই চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে নিষ্প্রাণ আর মলিন হয়ে যায়। আপনি চাইলে আপনার হাতের কাছের সামান্য উপাদান মেওনিজ দিয়েই আপনার চুলের ন্যাচারাল শাইনি ভাব ফিরিয়ে আনতে পারবেন। সামান্য পরিমাণ মেওনিজ নিয়ে আপনার মাথার সম্পূর্ণ ভুলে ভালোভাবে ফুল কভারেজ করে লাগিয়ে একটি টাওয়েল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে  রাখুন ।আপনার চুল ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন এবংতার পরে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন এতে  আপনার কালারড চুল হেলদি থাকবে।

কালারকে না বলে বরং প্রপার ওয়েতে আপনার কালারড চুলের যত্ন নিন। এতে করে আপনার চুল কালার করার খারাপ প্রভাব আপনার চুলে পড়বে না।

কালার করা চুলকে স্বাস্থ্যউজ্জল নতুনের মত উজ্জ্বল করার উপায় | Color Kora Chulke Healthy Korar Upay

কালার করা চুলকে স্বাস্থ্যউজ্জল নতুনের মত উজ্জ্বল করার উপায়

আজকাল বলতে গেলে প্রায় সবাই-ই চুলে রঙ করিয়ে থাকেন । আমরা শখ করে কালার করি কিন্তু  কালার করানোর পর সকলেই ভোগেন একই সমস্যায়। আর সেটা হলো চুলের কালার হয়ে পড়ে বিবর্ণ । অনেকেরই চুল পাটের আঁশের মত হয়ে যায়। কালার করানোর সময় যেমন ঝলমলে রঙ ছিল, তার কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। আপনাদের কি এই সমস্যা সমস্যা আসুন তাহলে একবার চেষ্টা করেই দেখুন এই টিপসটি। মাত্র একবার ব্যবহার করলেই আপনার কালার করা চুলের রঙ আবারও হয়ে উঠবে একদম নতুনের মত উজ্জ্বল, ঝলমলে ও সিল্কি যেমনটা আপনার আগে ছিল।

কালার করা চুলকে স্বাস্থ্যউজ্জল নতুনের মত উজ্জ্বল করার উপায় Color Kora Chulke Healthy Korar Upay

কালার করা চুলকে স্বাস্থ্যউজ্জল নতুনের মত উজ্জ্বল করার উপায় Color Kora Chulke Healthy Korar Upay

কালার করা চুলকে নতুনের মত উজ্জ্বল করতে চাইলে যা যা লাগবে

পানি

লবঙ্গ

যেভাবে করবেন

১ম ই আপনার চুলের পরিমাণ বুঝে পানি নিন।

  • -প্রত্যেক কাপ পানির জন্য ৭/৮ টি করে লবন  পানিতে দিন। খুব ভালো মানের লবঙ্গ ব্যবহার করবেন। যত ভালো লবঙ্গ, তত ভালো ফল পাবেন।
  • -এবার জ্বাল কমিয়ে মিনিট ১৫ জ্বাল দিন।
  • -এরপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন। এই মিশ্রণটিই আপনার কালার রিফ্রেসার হিসাবে কাজ করবেন।
  • -চুলে শ্যাম্পু করে ভালো করে পানি নিংড়ে নিন। কন্ডিশনার ব্যাবহার করবেন না । তাহলে এবার আপনার শ্যাম্পু করা চুল এই লবনের পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এরপর দেখুন ম্যাজিক। আপনার চুলগুলো হয়ে যাবে একদম নতুনের মত।

কালার চুলের যত্নের উপায় | Kalar chuler Jotner Upai

কালার চুলের যত্নের উপায় | Kalar chuler Jotner Upai

বতমানে চুল কালার বা হাইলাইট করার ট্রেন্ড বেশ চলছে। চেহারায় মধ্যে একটা আলাদা ভাব নিয়ে আসতে বা অকালেই পাকা চুল গুলোকে ঢাকতে হেয়ার কালারই যেন একমাত্র ভরসা আর এর  জন্য মার্কেটে রয়েছে হরেক রকমের হেয়ার কালার। তবে  সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল এসব হেয়ার কালারে রয়েছে ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া যা এক ধরনের ক্যামিকেল ব্লিচিং এজেন্ট এবং এটি চুলকে কালার করার সাথে সাথে চুল রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ করে তোলে যার ফলে হেয়ার ফল বেড়ে যায়।এর জন্য কালার করা চুলের জন্য অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আজ তাই আপনাদের জন্য কালার করা চুলের যত্ন নেয়ার ব্যাপারে কিছু টিপস।

কালার চুলের যত্নের উপায় | Kalar chuler Jotner Upai

কালার চুলের যত্নের উপায় | Kalar chuler Jotner Upai

কালার চুলের যত্ন যেভাবে নিবেন –

১। চুল কালার করানোর আগে থেকেই চুল যতটা সম্ভব স্বাস্থ্যকর এবং ময়েশ্চারাইজড রাখার চেষ্টা করতে হবে  এবং কমপক্ষে ৩-৪ সপ্তাহ আগে থেকে চুলে কোন কেমিকেল ট্রিটমেন্ট করানো যাবে না।

২। চুল শক্ত করতে এবং ভলিউম বাড়াতে কালার করানোর আগে নিয়মিত ডিপ কন্ডিশন করতে হবে। ডিম, কলা এবং টক দই সমান পরিমাণে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এই হেয়ার প্যাকটি চুলের গোঁড়ায় এবং সারা চুলে ভালো মতো লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। তবে চুলের রুক্ষতা এবং ড্যামেজ অনুযায়ী আরো বেশি সময় রাখতে পারেন।তাপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল ডিপ কন্ডিশন করে একে নরম ও ময়েশ্চারাইজড রাখে।

৩। কালার করা চুলের জন্য স্পেশালি কালার প্রটেক্টিং শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এসব শ্যাম্পু চুলের কালার ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখে।

এমন কিছু শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের নাম দেয়া হলঃ

Loreal Paris Color Protect Protecting Shampoo ( দাম ৫০০-৬০০ টাকা)

The Bodyshop Rainforest Radiance Shampoo and conditioner ( দাম ৮০০-১০০০)

Tresemme Color Revitalize Protection Shampoo & Conditioner (দাম ১০০০- ১২০০ টাকা)

৪। কালার করা চুলে সপ্তাহে অন্তত একবার হট অয়েল ট্রিটমেন্ট করুন। চুল ডিপ কন্ডিশন করতে এর জুড়ি নেই। পরিমাণ মত অলিভ অয়েল, আমনড অয়েল এবং নারিকেল তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলের গোঁড়ায় ভালো মতো ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের নিষ্প্রাণ ভাব দূর করে চুল সিল্কি ও সুন্দর করে।

৫। যতটা সম্ভব হেয়ার ড্রায়ার, কার্লার বা চুল আয়রন করা থেকে বিরত থাকুন। এসব জিনিস চুলকে ভেতর থেকে ড্যামেজ করে এবং ধীরে ধীরে চুল রুক্ষ ও মলিন হয়ে পরে। এছাড়াও চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে এসব হেয়ার স্টাইলার ব্যবহার করা।

৬। চুল নরম ও উজ্জ্বল রাখতে লিভ ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এই কন্ডিশনার চুল থেকে ধুয়ে ফেলতে হয় না এবং এটি চুল নরম ও শক্ত করতে সাহায্য করে। চুলে শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে বা হালকা ভেজা চুলে লিভ ইন কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করুন। তবে এটি সরাসরি স্ক্যাল্পে না দিয়ে স্ক্যাল্পের ১-২ ইঞ্চি নিচ থেকে অ্যাপ্লাই করা শুরু করুন। Dove, Loreal, Garnier এই ব্র্যান্ড গুলোর কিছু লিভ ইন কন্ডিশনার রয়েছে, দাম ৩৫০-৬০০ টাকা। তবে কেনার আগে কন্ডিশনারের উপাদান গুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখে নিন যে তাতে সিলিকন, সালফেট বা সালফার আছে কিনা কারণ এই উপাদান গুলো চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

৭। কিছু হেয়ার মাস্কঃ

কালার করা চুলের সৌন্দর্য ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার হেয়ার মাস্ক লাগান। এর ফলে চুল প্রয়োজনীয় পরিমাণ ময়েশ্চার পাবে এবং চুল ফাটা বা রুক্ষতা দূর হয়ে চুল সুন্দর থাকবে।

মধু এবং কলার হেয়ার মাস্কঃ

-আধা কাপ মধু

– ২ টি পাকা কলা

-১/৪ কাপ অলিভ অয়েল

এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো মতো লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

ডিম এবং মধুর হেয়ার মাস্কঃ

– দুইটি ডিম

– আধা কাপ মধু

– আধা কাপ টক দই

প্রথমে ডিম নিয়ে ভালো মতো ব্লেন্ড করে এর সাথে মধু যোগ করুন। ডিম এবং মধু ভালো মতো মিশে গেলে এটি সারা চুলে লাগিয়ে চুলে হেয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

 

Back to Top
Product has been added to your cart