Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY

দিনের শেষে যেভাবে নিজের যত্ন নিবেন

দিনের শেষে যেভাবে নিজের যত্ন নিবেন

ত্বক পরিষ্কার
কিশোরী বয়সে মেকআপ করা উচিত নয়। তবে কেউ করে থাকলে, মেকআপ না তুলে কোনোভাবেই ঘুমাতে যাওয়া যাবে না। এটি সব বয়সীর জন্য বাধ্যতামূলক হলেও কিশোরী বয়সে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। এই বয়সের ত্বক বেশি সংবেদনশীল থাকে। মেকআপ দেওয়া না থাকলেও শোবার আগে মুখ পরিষ্কার করে ধুতে হবে। ফেসওয়াশ বা ক্লিঞ্জিং মিল্ক দিয়ে ভালো করে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিনই করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকে বাইরের ধুলোবালি ও ময়লা থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না। ত্বক থেকে নিঃসৃত অতিরিক্ত তেলও জমবে না। লোমকূপগুলোর মুখ পরিষ্কার থাকায় ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।
ফেসওয়াশ বা ক্লিঞ্জিং মিল্কের পরিবর্তে চালের গুঁড়ো, বেসন ও শসার রস দিয়ে ঘরে তৈরি ক্লিঞ্জিংও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে উপকার বেশি হবে।
সেই সঙ্গে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন ত্বকে টোনিং করতে হবে। কাঁচা দুধ অথবা ডাবের পানি দিয়ে টোনিং করা যায়।
মুখের ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করুন, মিষ্টি খাবার অল্প খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনময়েশ্চারাইজার
সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি। সাধারণত ত্বকের ভেতরের অংশ থেকে পানি ওপরের স্তরে এসে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। ত্বকে পানির অভাব হলেই ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও খসখসে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিচের স্তর থেকে পানিকে ওপরের স্তরে আনার কাজ করে থাকে। প্রতি রাতেই ত্বক পরিষ্কার করার পরে মুখে ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগাতে হবে।
মুখের ত্বকের জন্য ক্রিম ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখুন—
* ময়েশ্চারাইজার যেন অবশ্যই মুখের ত্বকের মানানসই হয়।
* ময়েশ্চারাইজারের ধরনটি হতে হবে হালকা, অর্থাৎ ঘন বা কোনো প্রকার তেলযুক্ত হওয়া চলবে না।

হাত-পায়ের যত্ন

শুধু মুখের ত্বকের প্রতি যত্নবান হলেই চলবে না। সেই সঙ্গে যত্ন নিতে হবে হাত ও পায়ের। শোবার আগে অবশ্যই পুরো হাত-পা পরিষ্কার করে ধুতে হবে। সারা দিনের বিভিন্ন কাজে হাত-পায়ে অনেক ধুলোবালি ও ময়লা জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাত-পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তবে এই ময়েশ্চারাইজার অপেক্ষাকৃত ঘন প্রকৃতির হবে। হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে ত্বক নরম হয়। এ ছাড়া কেউ চাইলে হাতের জন্য আলাদা হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁট

ঠোঁটের যত্নটা একটু আলাদা। কেননা, এর ত্বক সবচেয়ে কোমল। প্রতিদিন রাতে যাদের ঠোঁট ফাটে, তারা তো অবশ্যই, যাদের ফাটে না, তাদেরও উচিত আঙুল দিয়ে আলতো ঘষে ঠোঁট পরিষ্কার করে এতে লিপ বাম লাগিয়ে ঘুমানো।

চোখ

চোখের চারপাশের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় পাতলা হয়। সে কারণে সম্ভব হলে ভিটামিন এ, সি, ই অথবা কে যুক্ত আই ক্রিম ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা। এটি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।

দাঁত

নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। এতে দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা জমে থাকতে পারে না।
এ তো গেল ত্বকের বাহ্যিক পরিচর্যার কথা। রাতের বেলা ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি খাবার গ্রহণের পরিমাণ ও সময়ের দিকেও রাখতে হবে। পরিপূর্ণ পরিচর্যা তখনই হবে যখন ত্বকের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই সমান গুরুত্ব পাবে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাজেদা আক্তার জানালেন, কিশোরী বয়সটাতে মেয়েদের খাবারে প্রোটিন ও আয়রন থাকতে হবে। এক গ্লাস দুধ ও একটি ডিম তো আবশ্যক। সেই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও গরুর/খাসির কলিজা খেতে হবে লেবু দিয়ে। এ ছাড়া যে কাজগুলো করা উচিত:
* রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবারের পর্ব চুকিয়ে ফেলতে হবে।
* রাত আটটার পর থেকে ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। পানিও পরিমাণে কম খেতে হবে।
* ১২টায় ঘুমালে, রাত ১০টা সাড়ে ১০টার দিকে হালকা খাবার খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় যেমন: পুডিং, পায়েস, দুধ বা মিষ্টি দধি অল্প পরিমাণে খাবেন।
* রাতের খাবারের পর থেকে আধা গ্লাস-এক গ্লাসের বেশি পানি পান না করাই উত্তম।
* আট ঘণ্টা ঘুম এই বয়সে আবশ্যক।
* হাসিখুশি থাকা এই বয়সটাতে সবচেয়ে জরুরি। মানসিকভাবে যেমন প্রয়োজন, তেমনি হাসিখুশি থাকাটা শরীরের জন্যও উপকারী। কিশোরী বয়সে হাসিখুশি একটা মুখ। প্রাণবন্ত ও লাবণ্যময়ী হতে আর কী লাগে!
সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুম জরুরিআরও টিপস
শোবার আগে বালিশের কভার পাল্টিয়ে বা বালিশের ওপর একটা ধোয়া কাপড় বিছিয়ে নিতে পারেন। বালিশের কভারে জমে থাকা ধুলোবালি ত্বকের ক্ষতি করতে পারবে না।

চুলের যত্ন

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে বেঁধে ঘুমালে চুল দ্রুত বাড়ে। সুন্দরও থাকে। চুলে বেণি করেই ঘুমোতে হবে তা নয়, উঁচু করে জাপানিজ পনিটেইল অর্থাৎ ঝুঁটি করেও শোয়া যায়। চুল যদি কেউ একেবারেই বাঁধতে না চায়, তাহলে একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঘুমোতে পারে। এটি চুলকে আগা ফাটা থেকে রক্ষা করবে। সেই সঙ্গে সকালে চুলে এনে দেবে একটা ওয়েভি ভাব। এতে চুল ঘন দেখাবে।

পানি চিকিৎসা

মুখে সজোরে, শব্দ করে একনাগাড়ে ২৫ বার পানির ঝাপ্টা দেওয়া। দিনে যতবার খুশি ততবার। প্রতিদিন করতে পারেন। চেহারার সতেজ ভাব ধরে রাখবে আজীবন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে যে খাবারগুলো

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে যে খাবারগুলো

গাজর

গাজরে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি ও ক্যারোটিন এবং গাজর হল সবজির মধ্যে সেরা সবজি যার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি ও এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ভালো। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গাজর কিংবা গাজরের জুস খাদ্য তালিকায় রাখুন।

পেঁপে

দারুন মজার সুস্বাদু ফল পেঁপে খেতে কে না ভালবাসে। পেঁপেতে আছে ভিটামিন-সি, এ, ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও ত্বককে ব্রন ও ব্লেমিসেস থেকে রক্ষা করে। পেঁপে আপনি খেতেও পারেন অথবা পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে পারেন।

টম্যাটো

লাল রঙের তাজা এই জুসি সবজিটিতে আছে লাইকোফেন। ত্বকের জন্য টম্যাটো খুবই ভালো, তাছাড়া টম্যাটো দেহের ওজন কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

সবুজ পাতার শাকসবজি

সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর ভিটামিন যা শুধু ত্বকের জন্যই নয় পুরো দেহের জন্য অনেক ভালো। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি।

স্ট্রবেরি

স্ট্রবেরিতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বককে সুরক্ষা দান করে ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি হল একটি হারবাল পানীয় যা ত্বকের জন্য অনেক ভালো। এটি ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে, ত্বক নরম রাখে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের গভীর কাল দাগ দূর করে ও ব্লেমিসেস দূর করে।

ব্রকলি

ব্রকলির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ ও সি প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।

মাছ

মাছের গুরুত্বপূর্ণ উপদান ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও বিভিন্ন ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই ভালো। তাই উজ্জ্বল ত্বক পেতে বেশি করে মাছ খাওয়া উচিত।

সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভেরার বহুরূপী ব্যবহার

সৌন্দর্য চর্চায় অ্যালোভেরার বহুরূপী ব্যবহার

কী কী করতে পারে এই অ্যালোভেরা-

একনে বা পিম্পল দূর করে
পায়ের গোড়ালি ফাঁটা কমায়
সান বার্ন দূর করে
ত্বকে বলিরেখা রোধ করে
ত্বকের যৌবন ধরে রাখে
ত্বককে সজীব রাখে
চুলের বৃদ্ধি ঘটায়
মেকআপ উঠাতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আসুন জেনে নিই অ্যালোভেরার কিছু সহজ ব্যবহার-
শুষ্ক ত্বকের যত্নের কসমেটিক্স এ অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব করে যা আপনিও বাসায় করতে পারেন। ছুরি দিয়ে অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে মুখের ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ , উজ্জ্বল আর নরম হবে।
বয়সের বাড়ার সাথে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ,বি,সি ও এ উপাদান ত্বকের পুস্টি যোগায়।
রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়। ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল যা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মাস্কটি মুখে আর গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন । সপ্তাহে ১ বার এটি ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একনে সারাতে আর নুতন কোষ জন্মাতে কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে করে এলোভেরার আইস কিউব তৈরি করে এই কিউব দিনে দু তিনবার আপনার একনেতে ঘষলে একনের সমস্যা কমে যাবে।
ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক দরকারি । অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুসকিও দূর হয় । ২ঃ ১ অনুপাতে এলেভেরা জেল আর ক্যাস্টর ওয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল খুসকিমুক্ত থাকবে।
ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃন করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুড়া, আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে । দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ আর নরম।
অ্যালোভেরার এন্টিসেপটিক গুনাগুনও উল্লেখযোগ্য । অ্যালোভেরার পাতার জেল বের ফ্রিজে রাখুন আর অল্প কেটে গেলে বা ক্ষত হলে লাগান । দিনে দুই বা তিন বার লাগালেই ক্ষত আরাম হবে।
অতি অল্প খরচে বাজারে এই অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। আপনার রূপচর্চার এই ঘরোয়া উপাদান টি আপনাকে সতেজ, সুন্দর আর উজ্জীবিত রাখবে।

ত্বকের দাগ দূর করতে পরামর্শ

ত্বকের দাগ দূর করতে পরামর্শ

১. দাগের ওপর ক্যালামিন লোশন লাগান। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে নেয় এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
২. পাতলা কাপড় বা ছোট তোয়ালেতে একটি বরফ টুকরা নিয়ে দাগের ওপর পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন। এটি ধীরে ধীরে ত্বকের দাগ ও অন্যান্য জ্বালাপোড়া দূর করতে সাহায্য করবে।
৩. বাইরে বের হওয়ার আগে ভালো মানের সানস্ক্রিন (এসপিএফ ১৫+) লাগিয়ে বের হবেন। সূর্যের তাপ আপনার দাগের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
৪. রান্নায় বা খাবার মেন্যুতে আদা ও রসুন রাখার চেষ্টা করুন। প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত ফল ও সবজি খান। নিয়মিত ৬-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
৫. প্রতিদিন বালিশের কাভার বদলে নিন। কারণ, এটি দ্রুত ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হতে পারে।
৬. লেবুর রস ত্বকে ব্লিচের কাজ করে। এ ছাড়া ঘুমানোর আগে দাগের ওপর ভিটামিন ই কিংবা ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৭. এক ফোঁটা অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আট ফোঁটা পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে প্রতিদিন একবার বা দুবার মুখ ধুয়ে নিন।
৮. রসুনের একটি কোয়া নিয়ে পেস্ট করে তাতে এক টেবিল চামচ ময়েশ্চারাইজার মিশিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন।
৯. ক্যামোমিল, লেবুর রস ও পানি একসঙ্গে সেদ্ধ করে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে ব্রণ বা অন্য সমস্যা থেকে সৃষ্টি হওয়া দাগ দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর।
১০. সামান্য পরিমাণে ভিনেগার এবং তিনটি আলু (থেঁতলে নেওয়া) একসঙ্গে মেশান। সারা রাত দাগের ওপর দিয়ে রাখুন।
১১. তিনটি গাজর থেঁতলে মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। তার পর দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১২. সবুজ, অর্থাৎ কাঁচা পেঁপে থেঁতলে ১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।
১৩. সামান্য পরিমাণ মধু, লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে লাগান। এই মিশ্রণ ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।
১৪. চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। চন্দন গুঁড়া ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল, ব্রণ, দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
১৫. তিনটি স্ট্রবেরি একটি পাত্রে নিয়ে থেঁতলে নিন। ভিনেগার দিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের যেখানে দাগ আছে, সেখানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। বালিশের ওপর একটি তোয়ালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী ৫টি ফেসপ্যাক

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী ৫টি ফেসপ্যাক

১। বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক

দুই টেবিল চামচ বেসন, আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং কিছু পরিমাণ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। বেসন এবং হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

২। মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং অল্প একটু লেবুর রস একসাথে মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গোলাপ জল ত্বক ময়শ্চারাইজ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে।

৩। টমেটো এবং লেবুর রস

দুই টেবিল চামচ টমেটো রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক স্কিন টোন ধরে রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৪। নিম ফেইস প্যাক

চারটি নিম পাতা কুচি করে সিদ্ধ করে বেটে নিন। এরপর এর সাথে এক চা চামচ গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। আপনার ত্বকে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে নিম অনেক কার্যকরী। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে।

৫। কমলার খোসার ফেসপ্যাক

কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরসাথে পানি অথবা টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। কমলার এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কমলার এই প্যাকটি ত্বকের অভ্যন্তরীণ ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়া এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে দেয়।

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ফেসপ্যাক

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ফেসপ্যাক

(১) কাঁচা দুধ, বেসন ও মুলতানি মাটির প্যাক

এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারূণ কাজ করে। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ত্বকের রঙ হালকা করে। বেসন ও মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করে।
একটা পাত্রে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের গভীর থেকে ময়লা উঠে আসবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

(২) কাঁচা দুধ ও কলার প্যাক

এই প্যাকটির জন্য লাগবে অর্ধেক পাঁকা কলা ও পরিমাণ মত (প্রায় ২ চা চামচ) কাঁচা দুধ। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

(৩) কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধুর প্যাক

এই প্যাকটি মূলত বয়স্ক ত্বকের জন্য। যাদের ত্বকে হালকা রিংকেল পড়ে গেছে তারা এই প্যাকটি থেকে অনেক উপকার পাবেন। দুই টুকরা পাঁকা পেঁপে খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ ও ১ চা চামচ মধু। এটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

(৪) কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসের প্যাক

কাঁচা দুধ মধু ও লেবুর রসের সাথে মিশালে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা কেমিকেল ব্লিচের মত কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। দুই চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

(৫) শুধুই কাঁচা দুধ

আর এত কিছু যদি আপনার জন্য কষ্টকর মনে হয় তবে আপনার জন্য অতি সহজ একটা রূপচর্চার উপায় বলে দিচ্ছি। শুধু কাঁচা দুধ হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন এই শুধু কাজটিও করতে পারেন, তাহলেও আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে।
Back to Top
Product has been added to your cart