Home
Shop
Wishlist0

banner

SENIOR’S MEMBER DISCOUNT DAYS! SAVE 25% EACH TUESDAY
প্রিয় মানুষের মন ভালো করার মেসেজ

কিভাবে প্রিয়জনের মন জয় করবেন

বিয়েটা হয়েছে পারিবারিক ভাবেই। আর তাই বিয়ের পর থেকেই মন জিতে নেয়ার চেষ্টা করছেন তার। কিন্তু কেন যেন সব চেষ্টাকেই বৃথা মনে হয় দিন শেষে। কোনো ভাবেই বুঝতে পারছেন না কিভাবে জীবন সঙ্গীর মন জিততে পারবেন।

প্রতিটি মানুষই নিজের মনের মানুষটির কাছে হয়ে উঠতে যায় একজন আদর্শ সঙ্গী। আর তাই প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার জন্য কত কিছুই না করে থাকে মানুষ। জীবন সঙ্গীর কাছে নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ বানিয়ে তোলার এই প্রয়াসটি সৃষ্টির শুরু থেকেই দেখা যায়। মনে রাখবেন, প্রিয় মানুষটির মন জিতে নেয়া খুব বেশি কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন শুধু একটু সদিচ্ছা। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রিয় মানুষটির মন জিতে নেয়ার ৬টি উপায়।[wp_ad_camp_2]

 

কিভাবে প্রিয়জনের মন জয় করবেন

সুবিধা অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখুন
জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিনের সংসারেই জীবন সঙ্গীর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সঙ্গী কী খাবে, কখন ঘুমাবে, ক্ষুধা লেগেছে কিনা, ক্লান্ত কিনা, কী প্রয়োজন ইত্যাদি সব বিষয়ের প্রতিই জীবন সঙ্গীর হয়ে উঠতে হবে সচেতন। প্রতিদিনের একটু একটু আদর যত্নই ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। তাই জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিন সঙ্গীর সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী।

উপহার দিন
সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সঙ্গীকে মাঝে মাঝে উপহার দেয়া উচিত। পৃথিবীর সব মানুষই জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার আশা করে। প্রেমের সময় অধিকাংশ যুগলই উপহার আদান প্রদান করলেও বিয়ের পরে অধিকাংশ মানুষই তা করে না। সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী মাঝে মাঝে উপহার দিন তাকে। আর কিছু না হোক একটি ফুল নিয়ে তো চমকে দেয়াই যায় তাই না

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলুন
জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলাটা জরুরী। জীবন সঙ্গী আপনাকে সব সময়ই দেখে বলে নিজেকে অগোছালো রাখা উচিত না। প্রতিনিয়তই নিজের যত্ন নিন। সেই সঙ্গে জীবন সঙ্গীর পছন্দের সুন্দর পোষাক পরুন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে গুছিয়ে রাখলে সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

সঙ্গীর পরিবারের যত্ন নিন
একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সাথে আত্মীয়তা হওয়া। আপনার জীবন সঙ্গীর সব চাইতে কাছের মানুষ তো তারাই। তাই আপনার জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তার পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখুন। তাদের বিপদে আপদে সব সময় তাদেরকে সাহায্য করুন। তাহলে আপয়ান্র জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন সহজেই।

সঙ্গীকে স্বাধীনতা দিন
একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তার জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়া নয়। আপনার জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দিন। তাকে তার নিজস্ব জগতটাকে উপভোগ করতে দিন। সারাক্ষণ তার পিছে পিছে না থেকে তাকে তার মত করে জীবনটাকে উপভোগ করতে দিন মাঝে মাঝে। তাহলে আপনার সঙ্গীর মন জিতে নিতে পারবেন আপনি।

নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন
দাম্পত্য সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজার করে দেয়া নয়। জীবন সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজার করে দিলে এক পর্যায়ে জীবনসঙ্গী একঘেয়ে বোধ করে। তাই জীবন সঙ্গীর সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। জীবন সঙ্গীর প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব ও আত্মনির্ভরশীলতা আপনার জীবন সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।

ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস

ত্বক তারুণ্যদীপ্ত দেখানোর ৮ টিপস

বয়স বাড়ার সাথে সাথে সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা, কালো দাগ নানা ধরনের সমস্যা ধীরে ধীরে দেখা দেয় যা ত্বককে নিস্তেজ ও প্রাণহীন করে তোলে। ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করতে পারে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ত্বকের সঠিক যত্ন। টানটান ও উজ্জ্বল ত্বক ধরে রাখতে চাইলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিন।

১। এক্সফোলিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ
ত্বকের মৃত কোষ অপসারণের পাশাপাশি ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করে এক্সফোলিয়েশন। ত্বকে সূর্যের ক্ষতির প্রভাবগুলো কমাতেও সহায়তা করে এটি। তাই নিয়মিত স্ক্রাব ব্যবহার করুন এবং এক্সফোলিয়েট করুন ত্বক।

২। ভুলবেন না ময়শ্চারাইজিং করতে 
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে প্রাকৃতিক তেলের অভাব শুরু হয়। এর মানে হচ্ছে বয়স বাড়লে ময়েশ্চারাইজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি বেড়ে যায়। একটি ভালো মানের ক্রিম বা লোশন ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩। রোজ ওয়াটার এবং গ্লিসারিন ফেসিয়াল ময়েশ্চারাইজার
ময়শ্চারিং যেকোনো অ্যান্টি-এজিং ত্বকের যত্নের রুটিনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গোলাপজলে তুলো ভিজিয়ে ত্বকে ঘষুন। সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। ত্বক দেখাবে উজ্জ্বল ও টানটান।

৪। ফেসলিফ্ট মাস্ক ব্যবহার করুন
ত্বকের বলিরেখা কমানো এবং বার্ধক্যের ঝুঁকি দূর করে ফেসলিফ্ট মাস্ক। সপ্তাহে একদিন এ ধরনের মাস্ক ব্যবহার করুন ত্বকে।

৫। কনসিলার ব্যবহার করুন
কনসিলারের ব্যবহার আরও কম বয়সী দেখাতে বেশ কার্যকর। স্কিন টোনের সাথে মানানসই একটি কনসিলার ব্যবহার করলে কালো দাগ এবং সেই সাথে ডার্ক সার্কেল দূর করা সম্ভব।

৬। প্রাইমার ব্যবহার করুন
প্রাইমার বেশ কার্যকর মেকআপের জন্য। একটি মসৃণ ভিত্তি তৈরি করে প্রাইমার। সঠিকভাবে এটি ব্যবহার করলে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়।

৭। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এমন ফাউন্ডেশন বেছে নিন
বাজারে অনেক ধরনের তরল ফাউন্ডেশন পাওয়া যায় যেগুলোতে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এ ধরনের ফাউন্ডেশন ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত করে।

৮। পেঁপে ও মধুর মাস্ক
দুই টেবিল চামচ পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার ত্বকে মিশ্রণটি ঘষুন ৫ মিনিট। তুলোর বল ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন। এরপর মুখে একটি আইস কিউব ঘষুন এবং ময়েশ্চারাইজ করুন।

তথ্যসূত্র: রিয়েল সিম্পল 

ভিটামিন সি কি সব ধরনের ত্বকে মানায়

ভিটামিন সি কি সব ধরনের ত্বকে মানায়

ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি একটি অপরিহার্য উপাদান। ত্বকের পরিচর্যায় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায় ভিটামিন সি। হতে পারে লেবু, কমলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল বা ভিটামিন সি–যুক্ত সিরাম বা ক্রিম।

ভিটামিন সি–যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ত্বকে টোনার লাগিয়ে নিতে পারেন। এরপর মুখে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন সি সিরাম লাগিয়ে নিন। বেশি পরিমাণে লাগালে ত্বকের জন্য খারাপ। কারণ, অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন সির ব্যবহার ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে। ধীরে ধীরে ত্বক সিরাম শুষে নিলে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ভালো করে মালিশ করে নিন। দিনের বেলা হলে পরে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। রাত হলে ময়েশ্চারাইজারের বদলে নাইট ক্রিম লাগাতে পারেন।

ত্বকের পরিচর্যায় লেবু, কমলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি ফল বা ভিটামিন সি–যুক্ত সিরাম বা ক্রিম।

যেভাবে রূপচর্চায় ভিটামিন সি ব্যবহার করবেন

১ চা-চামচ কমলার খোসার গুঁড়া, ১ চা-চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখের মরা চামড়া তুলে ত্বককে কোমল ও নরম করতে প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। পরিষ্কার মুখে প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতোভাবে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। টক দইয়ের পরিবর্তে ১ চা-চামচ বেসন এবং ১-২ টেবিল চামচ দুধ দিয়েও প্যাকটি তৈরি করা যায়।

তবে সরাসরি মুখে কমলা বা লেবু না লাগানোর পরামর্শ দিলেন রূপচর্চাবিশারদ রাহিমা সুলতানা রিতা। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। যেকোনো ধরনের ত্বকের অধিকারীরাই ভিটামিন সি প্যাক লাগাতে পারবেন, তবে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এটি অধিক উপযোগী। সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারীদের ভিটামিন সি প্যাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ত্বকের ধরন যা–ই হোক, সপ্তাহে তিনবারের বেশি এসব প্যাক লাগানো উচিত নয় বলে জানান তিনি।

ত্বকে দাগছোপ বা কালচে ভাব দেখা দিলে কিংবা ত্বক মলিন হয়ে পড়লে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেন
ত্বকে দাগছোপ বা কালচে ভাব দেখা দিলে কিংবা ত্বক মলিন হয়ে পড়লে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সিরাম ব্যবহার করতে পারেনছবি: কবির হোসেন

ভিটামিন সির উপকারিতা

ত্বকের কালো দাগ, দাগছোপ এবং অসমান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ভিটামিন সি কার্যকর। এটি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দাগছোপ কমিয়ে আনে।

ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখা কমায়।

ভিটামিন সি–যুক্ত খাবার খাবেন, নাকি ভিটামিন সি–যুক্ত উপাদান রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন—এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না বললেন রূপচর্চাবিশারদ রাহিমা সুলতানা রিতা। ত্বকের যত্নে দুটিই উপকারী।

ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাদ্য ভেতর থেকে কোলাজেনের বৃদ্ধি ঘটিয়ে ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখে।

ভিটামিন সি–যুক্ত প্যাক বা সিরাম ব্যবহার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

ঘুমানোর আগে রূপচর্চার জন্য যা করতে পারেন

ঘুমানোর আগে রূপচর্চার জন্য যা করতে পারেন

রাতে ঘুমানোর সময় ত্বক নিজেকে মেরামত করে নেয় নিজ দায়িত্বেই। রাতের আট ঘণ্টায় পুনরুজ্জীবন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় ত্বক। তবে শুধু ঘুমালেই হবে না। ত্বককে কীভাবে আপনার ঘুমের জগতে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যত ক্লান্তই থাকুন না কেন, রাতে ত্বক পরিষ্কার করে ঘুমানোর ওপর জোর দেওয়া হয় সংগত কারণেই। প্রতিদিনের মানসিক ও পারিপার্শ্বিক চাপ সামলানো, ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা, বলিরেখা পড়া রোধ করা ইত্যাদি বিষয় ত্বক মোকাবিলা করে রাতের এই ঘুমের সময়ই। পুরো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে যখন রাতের রূপচর্চাটাও হয় ঠিকভাবে।

ত্বক অনুযায়ী ফেইস ওয়াশ বেছে নিন
ত্বক অনুযায়ী ফেইস ওয়াশ বেছে নিনছবি: কবির হোসেন

রাতের রূপচর্চার ধাপগুলোতে যেসব পণ্য ব্যবহার করবেন, সেটা বাছাই করতে হবে ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী। সব ধরনের ত্বককেই পরিষ্কার করে নিতে হবে প্রথমে। সম্ভব হলে প্রথমে ফেস অয়েল দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। এরপর ত্বক অনুযায়ী ফেসওয়াশ বেছে নিন। ত্বক তৈলাক্ত হলে তেল নিয়ন্ত্রণ করবে, এমন ফেসওয়াশ বেছে নিন। তেমনি ত্বক শুষ্ক হলে মিল্ক ক্লিনজার আর সংবেদনশীল ত্বকের জন্য প্রয়োজন মেডিকেটেড ক্লিনজার। এরপর আসবে স্ক্রাব ব্যবহারের পালা। তবে প্রতিদিন নয়। সপ্তাহে দু-তিন দিন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন।

ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে সিরাম
ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান দিতে পারে সিরামছবি: কবির হোসেন

টক দই আর ওটস মিশিয়ে বানানো স্ক্রাব সব ধরনের ত্বকের জন্যই মানানসই।

পরের ধাপে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক করার জন্য টোনার লাগাতে হবে। বাড়িতে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন শসার রস আর গোলাপজল মিশিয়ে। তুলার সহায়তায় লাগালে ত্বকের ওপর বাড়তি কোনো ময়লা থাকলে চলে যাবে। তবে টোনার কিন্তু ত্বক পরিষ্কারের জন্য নয়। ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী টোনার বেছে নিতে পারেন। পিগমেন্টেশনের জন্য নির্দিষ্ট টোনার, ব্রণ থাকলে সেটার জন্য মানানসই টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনারকে ত্বকের ভেতরে যাওয়ার জন্য অন্তত ৬০ সেকেন্ড সময় দিন।

বলিরেখা রোধ করা, উজ্জ্বলতা বাড়ানো, ব্রণ কমানো বা ডার্ক স্পট কমানো—লক্ষ্য যেটাই থাকুক না কেন, সিরামটাও বেছে নিন সে অনুযায়ী। ত্বকের শুষ্কতা থেকে শুরু করে বলিরেখা রোধ করা পর্যন্ত যত রকম সমস্যা আছে ত্বকের, সব সমস্যার সক্রিয় সমাধান পাওয়া যাবে সিরাম থেকে।

ঘুমানোর আগে চুল আঁচরানো আবশ্যক
ঘুমানোর আগে চুল আঁচরানো আবশ্যকছবি: কবির হোসেন

ত্বক শুষ্ক হলে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম, ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য গ্লাইকোলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি বেছে নিতে পারেন, ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে, এমন সিরাম দরকার ত্বকের জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী নাইট ক্রিম লাগাতে হবে।

সকালে উঠে ত্বক কিন্তু আবার পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেকে মনে করেন, রাতে এত যত্ন নিলাম, সকালে কিছু না করলেও হবে। বিষয়টি একেবারেই উল্টো। সকালে মুখে পানি দিয়ে, দাঁত ব্রাশ করে বের হয়ে গেলেই হবে না। রাতে ত্বক থেকে যেই সিবাম বের হয়, সেটা দীর্ঘক্ষণ অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ত্বকের ওপর মিশে থাকলে পরবর্তী সময়ে সমস্যা দেখা দেবে। এ কারণে সকালেও একই প্রক্রিয়ায় ত্বকের যত্ন নিতে হবে। বাড়তি যুক্ত হবে সানস্ক্রিন।

চুল খোলা রেখেও ঘুমাতে পারেন
চুল খোলা রেখেও ঘুমাতে পারেনছবি: কবির হোসেন

চেহারার পর আসবে চুলের বিষয়টি। আপনার আরামের ওপর নির্ভর করে বেঁধেও ঘুমাতে পারেন, আবার চুল খোলা রেখেও ঘুমাতে পারেন। চুল বাঁধতে চাইলে ঢিলেঢালাভাবে বাঁধুন। চুলের গোড়ায় চাপ না পড়লেই হলো।

শীতের সময় ত্বক নিয়ে হওয়া ৫ সমস্যার সমাধান পাবেন যেভাবে

শীতের সময় ত্বক নিয়ে হওয়া ৫ সমস্যার সমাধান পাবেন যেভাবে

ত্বকের সমস্যা বছরজুড়েই থাকে। তবে শীতে একটু বেশি থাকে। শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক কিংবা মিশ্র—ত্বক যে ধরনেরই হোক, সমস্যা হবেই। কারণ, একটাই, ত্বকের সবচেয়ে ওপরের যে স্তর, সেই এপিডারমিসে এ সময় পানির পরিমাণ কমে গিয়ে শুষ্কতা বেড়ে যায়। পাশাপাশি এ সময় পানি খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে উঠতে থাকে। এই শুষ্কতাকে আর্দ্রতায় না নিয়ে আসতে পারলেই সমস্যা। শুষ্কতা, সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ইত্যাদি কারণকে ধরে শীতে ত্বকের পাঁচ ধরনের সমস্যার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা। সমাধানও আছে।

শুষ্কতায় সমাধান

হাত-পা-ঠোঁট ফেটে যাওয়া, চামড়া ওঠা এ সময় খুব সাধারণ। তৈলাক্ত ত্বক এ সময় ভালো থাকলেও শুষ্কতার সমস্যায় অনেকেই পড়েন, জানালেন আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। সমাধান হলো বেশি বেশি পানি পান এবং ত্বক যেন সারাক্ষণ আর্দ্র থাকে, তা খেয়াল রাখা। তৈলাক্ত ত্বক ছাড়া বাকি ত্বকে যদি মানিয়ে যায়, তাহলে তেল আছে, এমন ভারী ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। গলা ও চেহারা ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর লাগাতে হবে। এ ছাড়া জলপাই তেল, গোলাপজল, গ্লিসারিন সমপরিমাণে মিলিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে সঙ্গে রাখুন। যখনই প্রয়োজন হবে, ত্বকে স্প্রে করে নেবেন।

পানি পান করতে হবে বেশি
পানি পান করতে হবে বেশি ছবি: কবির হোসেন

রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি জানালেন আরেকটি সমাধান। মন না চাইলেও প্রতিদিন গোসল করতে হবে। মুখ ধুতে হবে কয়েকবার। এতে ত্বকের ওপরের স্তর পানির ছোঁয়া পাবে। আর্দ্রতা ফিরে আসবে। সাবান ও ময়েশ্চারাইজারে যেন ক্রিমের পরিমাণ বেশি থাকে। বেশি ক্ষারযুক্তগুলো এই দুই মাস এড়িয়ে চলুন।

ত্বক পুড়ে যায়

শীতের সময় রোদের তাপে আরাম করে বসেন অনেকেই। কিন্তু এই সময় আপনার ত্বক পুড়ে যেতে পারে। সরাসরি ত্বকে প্রভাব ফেলে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি। ভালোভাবে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বের হোন। আর কোনো কারণে ত্বক যদি পুড়েই যায়, ডাবের পানি দিন, রোদে পোড়া ভাব কমবে, জানালেন রাহিমা সুলতানা। ডাবের পানি বরফের কিউব করেও ব্যবহার করা যায়। বেসন আর ডাবের পানি মিলিয়ে পেস্টের মতো করেও লাগাতে পারেন। তবে পেস্ট বানিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চেহারায় প্রয়োগ করুন।

ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারে সমাধান পাবেন সমস্যার
ঘরোয়া প্যাক ব্যবহারে সমাধান পাবেন সমস্যারছবি: কবির হোসেন

রোদে পোড়ার কারণে চেহারায় অসম একটা টোন আসে। কোথাও পোড়া ভাব থাকে, কোথাও থাকে না। এ ক্ষেত্রে আলুর রস ১ চা-চামচ, বেসন আধা চা-চামচ, মধু সিকি চা-চামচ, দুধ ১ চা-চামচ মিশিয়ে লাগাতে পারেন। ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে দুধের বদলে টক দই বেছে নিন। ডাবের পানিতে আছে পটাশিয়াম, মিনারেল; আলুতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচ; টমেটোতে প্রাকৃতিক ব্লিচ, লাইকোপিন, ভিটামিন সি। এ কারণে ত্বকের টোনের অসম ভাব কমিয়ে আনতে এই উপকরণগুলো কমবেশি সহায়তা করে।

ত্বকের নানা অ্যালার্জি

শীতের সময় ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যাও বেশ বেড়ে যায়। সোরিয়াসিস, অ্যাকজিমা, দাদ, উইন্টার র‌্যাশ ইত্যাদি সমস্যার কথা উল্লেখ করলেন শারমিন কচি। অনেকের সোরিয়াসিস শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে অ্যাকজিমা হতে পারে। ফুসকুড়ির মতো পুরু হয়ে স্থানটি শক্ত হয়ে যায়। চুলকায়ও। অনেকের গুটি গুটি উঠে মুখ ভরে যায়। অনেকের আবার চাকা চাকা হয়ে ত্বক ফুলে ওঠে। উলের পোশাক পরার কারণেও অনেকের দাদ হয়। ত্বকের যে জায়গাগুলোয় ভাঁজ পড়ে,

পড়ে, অনেকের সেখানে আলগা একটা ত্বকের স্তরও হয়।

র‌্যাশের জন্য জলপাই তেল অল্প একটু পানির সঙ্গে মিলিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন
র‌্যাশের জন্য জলপাই তেল অল্প একটু পানির সঙ্গে মিলিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেনছবি: কবির হোসেন

সমস্যা অনেক। তবে সমাধানও আছে, পথ বাতলে দিলেন শারমিন কচি। শুষ্কতা এই সমস্যাগুলোর অন্যতম মূল কারণ। বছরের তিন মাস ভিটামিন খাওয়ার যে পরামর্শ দেওয়া হয়, সেটা এ সময়কে ঘিরে খেলেই ভালো। ভিটামিন ই, ডি ও সি যদি খাবারের মাধ্যমে নেওয়া না যায়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ট্যাবলেট আকারেও খাওয়া যায়। র‌্যাশের জন্য জলপাই তেল অল্প একটু পানির সঙ্গে মিলিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। পানির সঙ্গে মিলিয়ে লাগালে ত্বকের ভেতরে সহজে চলে যাবে। আলগা ত্বকের জন্য ভ্যাসলিন ভালো কাজ করবে। গ্লিসারিন আর তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে শরীরে লাগাতে পারেন। জায়গাটা এরপর সেলোফিন পেপার দিয়ে মুড়িয়ে দিন। সোরিয়াসিসের জন্য এক বালতি পানিতে ১ চা-চামচ ফিটকিরি আর এক চা-চামচ গোলাপজল মিলিয়ে গোসলের সময় ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন, আশ্বাস দিলেন শারমিন কচি।

ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করার ৫ ঘরোয়া উপায়

ঠোঁটের কালচে দাগ দূর করার ৫ ঘরোয়া উপায়

আমাদের ঠোঁটে উপস্থিত হাইপারপিগমেন্টেশনের ফলাফল হতে পারে কালচে ঠোঁট। এতে ঠোঁটের ত্বকের কোষগুলোর স্তরে মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি, ধূমপান, লিপস্টিক, এমনকি ক্যাফেইন সেবনের কারণেও হতে পারে এমনটা। কালচে দাগ কমিয়ে স্বাভাবিক গোলাপি ঠোঁট চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চলতে পারেন। পাশাপাশি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।

  1. ঘুমানোর আগে লেবুর খোসা ঘষতে পারেন ঠোঁটে। মেলানিন ইনহিবিটরের মতো কাজ করে এটি। পরের দিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ঠোঁট। একটানা এক মাস এভাবে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে ঠোঁটের কালো দাগ কমে যাবে।
  2. আরেকটি উপায় হচ্ছে লেবুর সাথে চিনি মিশিয়ে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করা। রাতে ঘুমানোর আগে এভাবে ঘষে নিন। পরের দিন সকালে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  3. রাতে ঘুমানোর আগে লেবুর রস, মধু এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন।
  4. হলুদ একটি দুর্দান্ত মেলানিন ইনহিবিটার। ১ টেবিল চামচ দুধ এবং হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আলতো করে ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঠোঁট মুছে একটি ময়শ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করুন।  একটানা ২ সপ্তাহ এই প্যাক ব্যবহার করুন।
  5. একটি দুর্দান্ত এক্সফোলিয়েটর হচ্ছে মধু এবং চিনি। এই স্ক্রাব ত্বকের উপরের স্তরে থাকা মৃত ত্বকের কোষগুলোকে সরিয়ে দেবে। মধু এবং ১ চা চামচ চিনি ব্যবহার করে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। বৃত্তাকার গতিতে মিশ্রণটি ঘষুন এবং তারপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবারের বেশি এক্সফোলিয়েট করবেন না এই স্ক্রাব দিয়ে।
  6. ঠোঁটে বাদামের তেল বা আমন্ড অয়েল ম্যাসাজ করুন। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কার্যকর। তেল ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

Back to Top
Product has been added to your cart